Dhaka রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে সংসদেই ফয়সালা হবে : ফারুক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে সংসদেই ফয়সালা হবে

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সরকারি ছুটি পুনর্বহালের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, অচিরেই একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করুন। যে নির্বাচনে মাধ্যমে এ দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। দেশের জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। তখন একটা সংসদ হবে সেই সংসদে সিদ্ধান্ত হবে রাষ্ট্রপতি কে হবেন এবং সংবিধানের কি হবে।

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেন এটা আমরা চাই না। আমাদের আশা, যিনি ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, গত ১৬ বছর আমাদের ওপর জুলুম নির্যাতন হামলা মামলা চালিয়েছে সেই শেখ হাসিনা যেন এদেশে রাজনীতি না করতে পারে। এদেশের সাধারণ জনগণের চাওয়া সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ার নিশ্চিয়তা। যেটা তারা গত ১৫ বছরে পারেনি। তাই অতি তাড়াতাড়ি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

ফারুক বলেন, শেখ হাসিনা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধানকে ধ্বংস করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারেক রহমান এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।

তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের সজাগ থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আবারো দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অনুযায়ী সাংগঠনিকভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার গতকালের বক্তব্যের প্রশংসাও করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে দেশের রাজনীতিতে কোনো জায়গা নাই এমন বক্তব্যের কারণে ড. ইউনূসকে সাধুবাদ জানাই। একইসঙ্গে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব দিবসকে ছুটি ঘোষণা করার দাবিও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা জোর করে কোন প্রতিনিধি হতে চাই না। ২০১৪ সালের মত ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়ে সংসদ গঠন করতে চাই না। ২০১৮ সালের মতো দিনের ভোট রাতে চাইনা। আমরা একটা সুস্থ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে দেশের জনগণ যার ভোট সে নিজে দিবে। নিজের পছন্দমত প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অহংকার ছিল তার পতন হয়েছে। সে এখন দিল্লির একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছে। তারপরও এদেশের চক্রান্ত শেষ হয়নি। নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়। তাই আমাদের নেতা বলেছেন সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে সজাগ থাকতে হবে।

প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোঃ রহমতউল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভি ইব্রাহিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী রুমা প্রমুখ।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিমানের ফ্লাইটে ফের ত্রুটি, শারজাহ না গিয়ে ফিরে এলো ঢাকায়

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে সংসদেই ফয়সালা হবে : ফারুক

প্রকাশের সময় : ০৩:১২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, গণতন্ত্র রক্ষায় অবিলম্বে সুষ্ঠু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে সংসদেই ফয়সালা হবে

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সরকারি ছুটি পুনর্বহালের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, অচিরেই একটি নির্বাচনের রোডম্যাপ তৈরি করুন। যে নির্বাচনে মাধ্যমে এ দেশের জনগণ ভোটের অধিকার ফিরে পাবে। দেশের জনগণ তাদের পছন্দমতো প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। তখন একটা সংসদ হবে সেই সংসদে সিদ্ধান্ত হবে রাষ্ট্রপতি কে হবেন এবং সংবিধানের কি হবে।

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেন এটা আমরা চাই না। আমাদের আশা, যিনি ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, গত ১৬ বছর আমাদের ওপর জুলুম নির্যাতন হামলা মামলা চালিয়েছে সেই শেখ হাসিনা যেন এদেশে রাজনীতি না করতে পারে। এদেশের সাধারণ জনগণের চাওয়া সুষ্ঠুভাবে ভোট দেওয়ার নিশ্চিয়তা। যেটা তারা গত ১৫ বছরে পারেনি। তাই অতি তাড়াতাড়ি একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

ফারুক বলেন, শেখ হাসিনা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধানকে ধ্বংস করেছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে তারেক রহমান এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।

তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের সজাগ থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আবারো দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অনুযায়ী সাংগঠনিকভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার গতকালের বক্তব্যের প্রশংসাও করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে দেশের রাজনীতিতে কোনো জায়গা নাই এমন বক্তব্যের কারণে ড. ইউনূসকে সাধুবাদ জানাই। একইসঙ্গে ৭ নভেম্বরের বিপ্লব দিবসকে ছুটি ঘোষণা করার দাবিও জানান তিনি।

তিনি বলেন, আমরা জোর করে কোন প্রতিনিধি হতে চাই না। ২০১৪ সালের মত ১৫৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য হয়ে সংসদ গঠন করতে চাই না। ২০১৮ সালের মতো দিনের ভোট রাতে চাইনা। আমরা একটা সুস্থ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনে দেশের জনগণ যার ভোট সে নিজে দিবে। নিজের পছন্দমত প্রার্থীকে বিজয়ী করবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার অহংকার ছিল তার পতন হয়েছে। সে এখন দিল্লির একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আছে। তারপরও এদেশের চক্রান্ত শেষ হয়নি। নতুন করে চক্রান্ত শুরু হয়। তাই আমাদের নেতা বলেছেন সকল নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধভাবে সজাগ থাকতে হবে।

প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোঃ রহমতউল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভি ইব্রাহিম, সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর, ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী রুমা প্রমুখ।