Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদ্যমান সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দলের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) শহীদ মিনারে ‘৭২র মুজিববাদী সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর অপসারণ’ দাবিতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি’ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবেন তিনিই হবেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাকেই আমরা রাষ্ট্রপতি হিসেবে চাইবো।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীর বিলোপ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ১৫ বছরে যারা ভোট দিতে পারেনি, তারা তা পারবেন। আমরা শহীদ-আহতদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করি। তবে তাদের আকাঙ্ক্ষা ধারণের যে বাধা রয়েছে সে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে নিয়ে নির্বাচন প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসুক সমাজের বিজ্ঞ লোকগুলো একসঙ্গে বসুক, বসে তারা সিদ্ধান্ত নিক; কে রাষ্ট্রপতি হবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাষ্ট্রের প্রধান যিনি হবেন তিনি যেন রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। অন্যথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেনে নেবে না। রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবেন তিনি হবেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাকেই আমরা চাইবো।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে, তারা ৭২-এর সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না। ৭২-এর সংবিধান ছুড়ে ফেলে নতুন সংবিধান লিখব।

হাসনাত বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তারা ৭২-এর সংবিধানের পক্ষ থাকতে পারে না। একাত্তরের পরের সংবিধান আওয়ামী সংবিধান। মুবিজবাদীদের আদর্শ দিয়ে পরিচালিত হতো। এই সংবিধান গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীরা সমর্থন করে না। এই সংবিধান দ্রুত বাতিল করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনকে বহাল রাখতে চায়। এটা বাতিল করতে হবে। ৭২-এর সংবিধান বাতিল হলে রাষ্ট্রপতি বাতিল হয়ে যায়।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গভবনের সামনের আন্দোলনের দাবিকে সমর্থন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কিন্তু দাবি আদায়ে তাদের প্রক্রিয়া সমর্থন যোগ্য নয়।

তিনি বলেন, যারা সাংবিধানিক ধারার দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনেকে তার পদে দেখতে চায় তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারা আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। কারণ যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তারা বাহাত্তরের সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, মূল কথা বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করতে হবে। নতুন সংবিধান লিখতে হবে যেখানে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট প্রাধান্য পাবে। একই সঙ্গে এমন কোনো সুযোগ রাখা যাবে না যাতে আবার কোনো ফ্যাসিবাদি সরকার নতুন করে না আসতে পারে।

বঙ্গভবন ঘেরাও নিয়ে হাসনাত বলেন, আমাদের দাবি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ। তবে এ ধরনের আন্দোলন আমরা চাই না। আমরা এরই মধ্যে তাদের (বঙ্গভবন ঘেরাওকারীদের) সঙ্গে কথা বলেছি। যারা আন্দোলনে আছেন তাদের প্রতিও আহ্বান জানাব, আপনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা একসঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আবারও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।

তিনি আরও বলেন, আজ মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের মিছিল হয়েছে। তবে আমরা ছাত্রলীগের বিষয়ে আপসহীন। একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে যত এভিডেন্স দরকার সব আছে। আমরা অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিতে আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো দল যদি বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে না আসে তাহলে সে দলকেও আমরা বয়কট করবো ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে। আমরা বাহাত্তরের পচা-গলা সংবিধান মানবো না। বাহাত্তরের সংবিধান থাকলে রাজনৈতিক সংকট থাকবে দূর হবে না।

পূর্বঘোষিত ৫ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, অমীমাংসিত প্রশ্নে সংবিধান ও রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত অমীমাংসিত বিষয়গুলো রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, একদিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কোনোভাবেই ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। প্রতিটি ক্যাম্পাসে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মুজিববাদী ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

নাগরিক কমিটি বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ বিষয়ে নাগরিক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আমরা রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা কোনো গোলটেবিল আলোচনা চাই না। আমরা রাজপথে বিশ্বাসী, রাজপথে থেকেই সমাধান করতে চাই। রাজপথে থেকে হাসিনা পালিয়েছে, রাজপথেই সিদ্ধান্ত হবে চুপ্পু কোথায় যাবে। রাজনৈতিক কোনো দল যদি কোনো ইনডোর রুমে বসে সিদ্ধান্ত নিতে চায় তবে আমরা রাজপথে থেকেই সেটার সমাধান করবো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক সারজিস আলম, আব্দুল কাদের, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিন, আরিফুল ইসলাম আদীবসহ প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল : ইসি সানাউল্লাহ

রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক

প্রকাশের সময় : ০৯:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিদ্যমান সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ চেয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দলের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) শহীদ মিনারে ‘৭২র মুজিববাদী সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতি চুপ্পুর অপসারণ’ দাবিতে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী। ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি’ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবেন তিনিই হবেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাকেই আমরা রাষ্ট্রপতি হিসেবে চাইবো।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ফ্যাসিবাদীর বিলোপ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ১৫ বছরে যারা ভোট দিতে পারেনি, তারা তা পারবেন। আমরা শহীদ-আহতদের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ধারণ করি। তবে তাদের আকাঙ্ক্ষা ধারণের যে বাধা রয়েছে সে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে নিয়ে নির্বাচন প্রাসঙ্গিক হতে পারে না।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বসুক সমাজের বিজ্ঞ লোকগুলো একসঙ্গে বসুক, বসে তারা সিদ্ধান্ত নিক; কে রাষ্ট্রপতি হবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই রাষ্ট্রের প্রধান যিনি হবেন তিনি যেন রাষ্ট্রের জন্য কল্যাণকর হন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না। অন্যথায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মেনে নেবে না। রাষ্ট্রের জন্য যিনি সবচেয়ে মঙ্গলজনক হবেন তিনি হবেন রাষ্ট্রপ্রধান। তাকেই আমরা চাইবো।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে, তারা ৭২-এর সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না। ৭২-এর সংবিধান ছুড়ে ফেলে নতুন সংবিধান লিখব।

হাসনাত বলেন, যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তারা ৭২-এর সংবিধানের পক্ষ থাকতে পারে না। একাত্তরের পরের সংবিধান আওয়ামী সংবিধান। মুবিজবাদীদের আদর্শ দিয়ে পরিচালিত হতো। এই সংবিধান গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনকারীরা সমর্থন করে না। এই সংবিধান দ্রুত বাতিল করতে হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আইনের দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিনকে বহাল রাখতে চায়। এটা বাতিল করতে হবে। ৭২-এর সংবিধান বাতিল হলে রাষ্ট্রপতি বাতিল হয়ে যায়।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গভবনের সামনের আন্দোলনের দাবিকে সমর্থন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কিন্তু দাবি আদায়ে তাদের প্রক্রিয়া সমর্থন যোগ্য নয়।

তিনি বলেন, যারা সাংবিধানিক ধারার দোহাই দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনেকে তার পদে দেখতে চায় তাদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে আপনারা আপনাদের অবস্থান স্পষ্ট করুন। কারণ যারা গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তারা বাহাত্তরের সংবিধানের পক্ষে থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, মূল কথা বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল করতে হবে। নতুন সংবিধান লিখতে হবে যেখানে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিট প্রাধান্য পাবে। একই সঙ্গে এমন কোনো সুযোগ রাখা যাবে না যাতে আবার কোনো ফ্যাসিবাদি সরকার নতুন করে না আসতে পারে।

বঙ্গভবন ঘেরাও নিয়ে হাসনাত বলেন, আমাদের দাবি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ। তবে এ ধরনের আন্দোলন আমরা চাই না। আমরা এরই মধ্যে তাদের (বঙ্গভবন ঘেরাওকারীদের) সঙ্গে কথা বলেছি। যারা আন্দোলনে আছেন তাদের প্রতিও আহ্বান জানাব, আপনারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর আস্থা রাখুন। আমরা একসঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আবারও আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।

তিনি আরও বলেন, আজ মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের মিছিল হয়েছে। তবে আমরা ছাত্রলীগের বিষয়ে আপসহীন। একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে যত এভিডেন্স দরকার সব আছে। আমরা অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানাই।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ এবং জাতীয় পার্টি ছাড়া সব রাজনৈতিক দলকে জাতীয় ঐক্যের ডাকে সাড়া দিতে আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো দল যদি বাহাত্তরের সংবিধান বাতিল ও রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিতে জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে না আসে তাহলে সে দলকেও আমরা বয়কট করবো ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে। আমরা বাহাত্তরের পচা-গলা সংবিধান মানবো না। বাহাত্তরের সংবিধান থাকলে রাজনৈতিক সংকট থাকবে দূর হবে না।

পূর্বঘোষিত ৫ দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক বলেন, অমীমাংসিত প্রশ্নে সংবিধান ও রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত অমীমাংসিত বিষয়গুলো রাজনৈতিকভাবে সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, একদিনের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। কোনোভাবেই ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের সুযোগ নেই। প্রতিটি ক্যাম্পাসে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মুজিববাদী ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

নাগরিক কমিটি বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ বিষয়ে নাগরিক কমিটির সদস্য নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, আমরা রাজনৈতিক মহলের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা কোনো গোলটেবিল আলোচনা চাই না। আমরা রাজপথে বিশ্বাসী, রাজপথে থেকেই সমাধান করতে চাই। রাজপথে থেকে হাসিনা পালিয়েছে, রাজপথেই সিদ্ধান্ত হবে চুপ্পু কোথায় যাবে। রাজনৈতিক কোনো দল যদি কোনো ইনডোর রুমে বসে সিদ্ধান্ত নিতে চায় তবে আমরা রাজপথে থেকেই সেটার সমাধান করবো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক সারজিস আলম, আব্দুল কাদের, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মানজুর আল মতিন, আরিফুল ইসলাম আদীবসহ প্রমুখ।