Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রিজের স্প্যান দেবে যাওয়ায় দুর্ভোগে ১৩টি গ্রামের মানুষ

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : 

চার বছর আগে খাগড়াছড়ি সদরের সুরেন্দ্র মাস্টারপাড়ায় যাওয়ার জন্য চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মাণ করা ব্রিজ দেবে গেছে গত আড়াই মাস আগে। ব্রিজে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের সাইনবোর্ড দিয়েছে জেলা পরিষদ। সাম্প্রতিক বন্যায় পাহাড়ি ঢলে সেতুটির একটা স্প্যান দেবে গেছে। এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে ব্রিজের একটা স্প্যান দেবে যাওয়ায় চিন্তিত স্থানীয়রা। সুরেন্দ্র মাস্টারপাড়া, হেডম্যানপাড়া, বিরাশিপাড়া, নতুনপাড়াসহ ১৩টি গ্রামের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে।

স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজের ওপর দিয়ে অনেকগুলো গ্রামের মানুষ চলাচল করে। নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই ব্রিজের স্প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

জানা যায়, সুরেন্দ্র মাস্টারসহ আশপাশে কয়েটি গ্রামে যাতায়াতের জন্য ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে শুরু হওয়া ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৮০ লাখ টাকা।

সুরেন্দ্র মাস্টার গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ওপর দিয়ে মানুষরা জুম ও তাদের বাগানে উৎপাদিত ফসল কাদে বয়ে প্রধান সড়কে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষরা পায়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছে। সব প্রকার যান বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে তের গ্রামের মানুষরা।

অটোরিকশা চালক দিপন চাকমা ও সুমন চাকমা করে বলেন, ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে বেশি বছর হয়নি। অল্প সময়ে ব্রিজ দেবে গেছে। ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা পরিষদ। দুর্গম এলাকারা গ্রামবাসী মালামাল নিয়ে কী করবে।
ব্রিজের পাশে চায়ের দোকানদার দিপন চাকমা বলেন, নদীর পার ভাঙন রক্ষা করতে সেলিম টিকাদার ব্রিজের বিশ গজ দূর ব্রিজের দুইপাশ থেকে বালি উত্তোলন করার ফলে এই অবস্থা হয়েছে।

রতনজয়কাবারি পাড়ার কাবারি কুসুমমনি চাকমা জানান, ব্রিজ দেবে যাওয়ায় ১৩ গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছে। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে ব্রিজটি। সপ্তাহে দশ গাড়ি কলা যায়। তাছাড়া বাঁশ, কাঠ, বিভিন্ন ফল বাগান আছে। এখন গ্রামবাসী কৃষি পণ্য নিয়ে যেতে পারে না।

সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুজন চাকমা বলেন, ৫ আগস্টের আগে ব্রিজটি দেবে গেছে। জেলা পরিষদের প্রকৌশলীরা দেখে গেছেন। খোঁজ-খবর রাখছেন।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার হালদার বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে ব্রিজের একটা স্প্যান দেবে গেছে। শুষ্ক মৌসুমের সেতুর মেরামত কাজ শুরু হবে। মেরামতে না ঠিকলে একটি স্প্যান নির্মাণ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রিজের স্প্যান দেবে যাওয়ায় দুর্ভোগে ১৩টি গ্রামের মানুষ

প্রকাশের সময় : ০১:৪৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধি : 

চার বছর আগে খাগড়াছড়ি সদরের সুরেন্দ্র মাস্টারপাড়ায় যাওয়ার জন্য চেঙ্গী নদীর ওপর নির্মাণ করা ব্রিজ দেবে গেছে গত আড়াই মাস আগে। ব্রিজে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধের সাইনবোর্ড দিয়েছে জেলা পরিষদ। সাম্প্রতিক বন্যায় পাহাড়ি ঢলে সেতুটির একটা স্প্যান দেবে গেছে। এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে ব্রিজের একটা স্প্যান দেবে যাওয়ায় চিন্তিত স্থানীয়রা। সুরেন্দ্র মাস্টারপাড়া, হেডম্যানপাড়া, বিরাশিপাড়া, নতুনপাড়াসহ ১৩টি গ্রামের মানুষ এই ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করে।

স্থানীয়রা বলছেন, ব্রিজের ওপর দিয়ে অনেকগুলো গ্রামের মানুষ চলাচল করে। নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণেই ব্রিজের স্প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

জানা যায়, সুরেন্দ্র মাস্টারসহ আশপাশে কয়েটি গ্রামে যাতায়াতের জন্য ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে শুরু হওয়া ব্রিজের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৮০ লাখ টাকা।

সুরেন্দ্র মাস্টার গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ ওপর দিয়ে মানুষরা জুম ও তাদের বাগানে উৎপাদিত ফসল কাদে বয়ে প্রধান সড়কে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষরা পায়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছে। সব প্রকার যান বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে তের গ্রামের মানুষরা।

অটোরিকশা চালক দিপন চাকমা ও সুমন চাকমা করে বলেন, ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে বেশি বছর হয়নি। অল্প সময়ে ব্রিজ দেবে গেছে। ব্রিজ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে জেলা পরিষদ। দুর্গম এলাকারা গ্রামবাসী মালামাল নিয়ে কী করবে।
ব্রিজের পাশে চায়ের দোকানদার দিপন চাকমা বলেন, নদীর পার ভাঙন রক্ষা করতে সেলিম টিকাদার ব্রিজের বিশ গজ দূর ব্রিজের দুইপাশ থেকে বালি উত্তোলন করার ফলে এই অবস্থা হয়েছে।

রতনজয়কাবারি পাড়ার কাবারি কুসুমমনি চাকমা জানান, ব্রিজ দেবে যাওয়ায় ১৩ গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে আছে। যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে ব্রিজটি। সপ্তাহে দশ গাড়ি কলা যায়। তাছাড়া বাঁশ, কাঠ, বিভিন্ন ফল বাগান আছে। এখন গ্রামবাসী কৃষি পণ্য নিয়ে যেতে পারে না।

সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুজন চাকমা বলেন, ৫ আগস্টের আগে ব্রিজটি দেবে গেছে। জেলা পরিষদের প্রকৌশলীরা দেখে গেছেন। খোঁজ-খবর রাখছেন।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার হালদার বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে ব্রিজের একটা স্প্যান দেবে গেছে। শুষ্ক মৌসুমের সেতুর মেরামত কাজ শুরু হবে। মেরামতে না ঠিকলে একটি স্প্যান নির্মাণ করা হবে।