Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দায়িত্ব নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের স্বপ্ন দেখালেন সিমন্স

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯৯ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কদিন আগেও কোন আলোচনায় ছিলেন না ফিল সিমন্স। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রস্তুতির মাঝে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে চাকরীচ্যুত করে নাটকীয়ভাবে সিমন্সকে কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। বলা যায়, আচমকা উড়ে এসে দায়িত্ব নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। দায়িত্ব নিয়েই অবশ্য বড় স্বপ্নের কথা উচ্চরণ করে ফেলেছেন তিনি।

বুধবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকায় পা রাখেন সিমন্স। এসেই ছুটে যান মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আলাপ পরিচয়ের পর বৃহস্পতিবার থেকে কাজে যোগ দেন তিনি। দুই দিন অনুশীলনের পর শনিবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়েছেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই ক্রিকেটার।

দায়িত্ব গ্রহণের শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী কোচ।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে বাংলাদেশ বর্তমানে আছেন ৭ নম্বরে। এই চক্র শেষে ফাইনালে যেতে হলে থাকতে হবে সেরা দুইয়ে। সেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতন দলের সঙ্গে লড়াইয়ে আছে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা আছে পাঁচে।

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অ্যাওয়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোট চার টেস্ট আছে বাংলাদেশের। সিমন্স মনে করছেন হাতে থাকা এই টেস্টগুলো জিততে পারলে ফাইনালের দৌড়ে থাকবেন তারাও, ভালো ব্যাপার হচ্ছে আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ আছে যার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা পরের কয়েকটা টেস্ট জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে থাকব। আমার প্রথম মনোযোগের জায়গা হচ্ছে সোমবারের (২১ অক্টোবর, প্রথম টেস্টের শুরুর দিন) জন্য স্কোয়াডকে প্রস্তুত করা। গত দুই দিন দারুণ ছিলো। আমরা ক্রিকেটের বাইরের সব সংশয় দূর করতে চাই এবং সমস্ত মনোযোগ সোমবারে নিয়োজিত করতে চাই। খুব গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ। যদি আগামী কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে আমরা ফাইনালের (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের) লড়াইয়ে যেতে পারব।’

সাকিবের দেশে আসা না আসা এবং হাথুরুসিংহে বরখাস্ত হওয়ার পর মামলার হুমকি, সবমিলিয়ে বেশ উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। আসন্ন সিরিজে এর প্রভাব পড়তে পারে কিনা? সিমন্স বললেন, ‘আমার প্রথম ব্যাপার হচ্ছে ক্রিকেট। আমার সামনে যে স্কোয়াড আছে, তাদের সোমবারের (প্রথম টেস্ট) জন্য প্রস্তুত করা। গত দুই দিন দুর্দান্ত ছিল, ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। ক্রিকেটের বাইরের সব দ্বিধা দূরে রেখে আমরা ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে চাই।’

এরপর সাকিবের প্রসঙ্গে উঠলে আবারও সেটি এড়িয়ে ক্রিকেটে ফিরতে বলেন সিমন্স, ‘এটাও একটা ব্যাপার (বাইরের আলোচনা)। আগামী কয়েকদিন আমাদের কাজের বড় একটা অংশ হচ্ছে, সব মনোযোগ ক্রিকেটে যেন থাকে তা নিশ্চিত করা। আমি যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটাই। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কীভাবে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেব সেটি। ছেলেদের নজরেও আমি এটা রাখতে চাই।’

কোচিং ক্যারিয়ারে বেশ লম্বা অভিজ্ঞতাই আছে ফিল সিমন্সের। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ অবধি আয়ারল্যান্ডের হেড কোচ ছিলেন। এরপর কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে, তাদের জিতিয়েছেন বিশ্বকাপও। অভিজ্ঞতা আছে আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনির মতো দলে কাজ করারও।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক বড় সাফল্য পেয়েছেন, কখনও হয়েছেন ব্যর্থও। এমনিতে তার দর্শন কী? জানতে চাওয়া হয়েছিল সিমন্সের কাছে। বিভিন্ন দেশে কোচিং করানোর যে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা, সেটিও কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন সিমন্স।

তিনি বলেন, ‘আমার দর্শন হচ্ছে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করা, এরপর ফল চলে আসবে। আমি গত কয়েকদিনে যা দেখেছি, এই ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করে তাদের খেলা, স্কিল ও ফিটনেস নিয়ে। আমি খুব খুশি গত কয়েকদিন নিয়ে। সব অভিজ্ঞতাই আমাকে সাহায্য করবে আগামী কয়েকদিন তৈরি হওয়ার জন্য। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করেছে ভাষাগত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে। আয়ারল্যান্ড সাহায্য করেছে তরুণদের গড়ে তোলার ব্যাপারে। দিনশেষে এসব কিছুই চলে আসে। আমার সব অভিজ্ঞতাই এখানে কাজে লাগাতে হবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংসদ নির্বাচনে কালো টাকার ছড়াছড়ি হলে ব্যবস্থা নেবে দুদক : দুদক চেয়ারম্যান

দায়িত্ব নিয়েই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের স্বপ্ন দেখালেন সিমন্স

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

কদিন আগেও কোন আলোচনায় ছিলেন না ফিল সিমন্স। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রস্তুতির মাঝে চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে চাকরীচ্যুত করে নাটকীয়ভাবে সিমন্সকে কোচ নিয়োগ দেয় বিসিবি। বলা যায়, আচমকা উড়ে এসে দায়িত্ব নিয়েছেন এই ক্যারিবিয়ান। দায়িত্ব নিয়েই অবশ্য বড় স্বপ্নের কথা উচ্চরণ করে ফেলেছেন তিনি।

বুধবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে ঢাকায় পা রাখেন সিমন্স। এসেই ছুটে যান মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আলাপ পরিচয়ের পর বৃহস্পতিবার থেকে কাজে যোগ দেন তিনি। দুই দিন অনুশীলনের পর শনিবার গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়েছেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান এই ক্রিকেটার।

দায়িত্ব গ্রহণের শনিবার (১৯ অক্টোবর) প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক বিশ্বকাপজয়ী কোচ।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলে বাংলাদেশ বর্তমানে আছেন ৭ নম্বরে। এই চক্র শেষে ফাইনালে যেতে হলে থাকতে হবে সেরা দুইয়ে। সেখানে ভারত, অস্ট্রেলিয়ার মতন দলের সঙ্গে লড়াইয়ে আছে শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা আছে পাঁচে।

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অ্যাওয়েতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মোট চার টেস্ট আছে বাংলাদেশের। সিমন্স মনে করছেন হাতে থাকা এই টেস্টগুলো জিততে পারলে ফাইনালের দৌড়ে থাকবেন তারাও, ভালো ব্যাপার হচ্ছে আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ আছে যার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা পরের কয়েকটা টেস্ট জিতলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের দৌড়ে থাকব। আমার প্রথম মনোযোগের জায়গা হচ্ছে সোমবারের (২১ অক্টোবর, প্রথম টেস্টের শুরুর দিন) জন্য স্কোয়াডকে প্রস্তুত করা। গত দুই দিন দারুণ ছিলো। আমরা ক্রিকেটের বাইরের সব সংশয় দূর করতে চাই এবং সমস্ত মনোযোগ সোমবারে নিয়োজিত করতে চাই। খুব গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট ম্যাচ। যদি আগামী কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারি, তাহলে আমরা ফাইনালের (টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের) লড়াইয়ে যেতে পারব।’

সাকিবের দেশে আসা না আসা এবং হাথুরুসিংহে বরখাস্ত হওয়ার পর মামলার হুমকি, সবমিলিয়ে বেশ উত্তপ্ত দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। আসন্ন সিরিজে এর প্রভাব পড়তে পারে কিনা? সিমন্স বললেন, ‘আমার প্রথম ব্যাপার হচ্ছে ক্রিকেট। আমার সামনে যে স্কোয়াড আছে, তাদের সোমবারের (প্রথম টেস্ট) জন্য প্রস্তুত করা। গত দুই দিন দুর্দান্ত ছিল, ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করেছে। ক্রিকেটের বাইরের সব দ্বিধা দূরে রেখে আমরা ক্রিকেটে মনোযোগ দিতে চাই।’

এরপর সাকিবের প্রসঙ্গে উঠলে আবারও সেটি এড়িয়ে ক্রিকেটে ফিরতে বলেন সিমন্স, ‘এটাও একটা ব্যাপার (বাইরের আলোচনা)। আগামী কয়েকদিন আমাদের কাজের বড় একটা অংশ হচ্ছে, সব মনোযোগ ক্রিকেটে যেন থাকে তা নিশ্চিত করা। আমি যেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, সেটাই। আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কীভাবে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেব সেটি। ছেলেদের নজরেও আমি এটা রাখতে চাই।’

কোচিং ক্যারিয়ারে বেশ লম্বা অভিজ্ঞতাই আছে ফিল সিমন্সের। ২০০৭ সাল থেকে ২০১৫ অবধি আয়ারল্যান্ডের হেড কোচ ছিলেন। এরপর কাজ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজে, তাদের জিতিয়েছেন বিশ্বকাপও। অভিজ্ঞতা আছে আফগানিস্তান, পাপুয়া নিউগিনির মতো দলে কাজ করারও।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক বড় সাফল্য পেয়েছেন, কখনও হয়েছেন ব্যর্থও। এমনিতে তার দর্শন কী? জানতে চাওয়া হয়েছিল সিমন্সের কাছে। বিভিন্ন দেশে কোচিং করানোর যে ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতা, সেটিও কাজে লাগবে বলে জানিয়েছেন সিমন্স।

তিনি বলেন, ‘আমার দর্শন হচ্ছে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করা, এরপর ফল চলে আসবে। আমি গত কয়েকদিনে যা দেখেছি, এই ছেলেরা অনেক পরিশ্রম করে তাদের খেলা, স্কিল ও ফিটনেস নিয়ে। আমি খুব খুশি গত কয়েকদিন নিয়ে। সব অভিজ্ঞতাই আমাকে সাহায্য করবে আগামী কয়েকদিন তৈরি হওয়ার জন্য। আফগানিস্তানের অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করেছে ভাষাগত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে। আয়ারল্যান্ড সাহায্য করেছে তরুণদের গড়ে তোলার ব্যাপারে। দিনশেষে এসব কিছুই চলে আসে। আমার সব অভিজ্ঞতাই এখানে কাজে লাগাতে হবে।