Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে গুজব ছড়িয়ে স্বৈরাচারের দোসরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে : নজরুল ইসলাম খান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
  • ১৯২ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশে গুজব ছড়িয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। নব্বইয়ের গণতন্ত্র হত্যাকারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রসেনানী শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ- এর ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ষড়যন্ত্রকারী থেমে নাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে বলেই মনে করবেন না, সব স্বৈরাচাররা, ফ্যাসিবাদের দোসরা পালিয়ে গেছে না; আছে তারা। নানা রকম গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের হুঁশিয়ার এবং সাবধান থাকতে হবে। কোনো রকমের গুজবন ও বিভ্রান্তিতে যেন আমরা পা না দেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ওদের (পতিত আওয়ামী লীগ) পক্ষে দেশে-বিদেশে শক্তি আছে, ওদের অনেক টাকা-পয়সা আছে… তারা নানাভাবে চেষ্টা করতে পারে আমাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরৃ সেটা যেন করতে না পারে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে শহীদ জেহাদ থেকে আরম্ভ করে এর আগের এবং পরের যারাই আমাদের ভাই-বোনেরা শহীদ ও গুম হয়েছেন তাদের রক্ত কিংবা তাদের স্মৃতির প্রতি আমাদের দায় আছে, এই দায় আমাদেরকে পরিশোধ করতে হবে।

নজরুল ইসলাম বলেন, জেহাদের ১০ অক্টোবরের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটেছিল, সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সেদিন জেহাদ, নুর হোসেনের মতো কর্মী আর ডা: মিলনের মতো সাহসী মানুষ না থাকলে স্বৈরাচারের পতন হতো না।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আর একটি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিবর্তন একটি ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত রূপ মাত্র। আলাদা কোনো আন্দোলন, আলাদা কোনো অভ্যুত্থান নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি দালান একটি ইটের পর ইট দিয়ে সিমেন্ট দিয়ে রঙ করে সুন্দর একটি দালান হয়। এই রঙ যদি তার ভিতরের ইট বালু সিমেন্টকে ভুলে যায়, তবে তা অন্যায় হবে। তবে রঙ-বালু-ইট মিলিয়ে ওই দালানটি। জেহাদ ওইসব দ্রব্যাদির একটি অংশ মাত্র।

তিনি বলেন, আমরা যারা বেঁচে আছি আমাদের দায়িত্ব হলো শহীদদের স্মৃতি মনে রাখা। যা তারা চেয়েছিলেন যার জন্য তারা জীবন দিয়েছেন সেটা অর্জন করা। আর সেই অর্জন করার পথে যে বাধা আসবে সেই বাধাকে আমাদের অতিক্রম করতে হবে। অতিক্রম করতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগনকে সাথে নিয়ে। মনে রাখবেন, রাজনীতিতে জনগণের চাইতে বেশি শক্তিশালী আর কেউ নাই। আল্লাহর মেহেরবাণীতে সেই জনগণের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা আছে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। কাজেই আমাদের উচিত জনগনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ক্ষুদিরাম থেকে শুরু করে সিপাহী বিদ্রোহ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে, ৯০’র অভ্যুত্থানে এবং ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছরে শত শত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। এ জীবন শুধু ছাত্র-জনতাই নয়, নানা পেশাজীবী মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। তাদের একটাই আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদের পতন গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আজকে আমরা ওই লড়াইয়ে বিজয়ী হলাম, আমরা ফ্যাসিবাদ পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু গণতন্ত্র এখনো আমরা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। অথচ লড়াই এটাই ছিল ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

পতিত ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন বলেই মনে করবেন না সব ফ্যাসিবাদের দোসর ও স্বৈরাচারের দোসরা পালিয়ে গেছে। না, আছে তারা। এমনও আছে, যাদের আমরা চিনতে ভুল করছি। মনে হচ্ছে আমাদের পক্ষের। ওই লোকগুলো আমাদের ভিতরে অনৈক্য তৈরি করার জন্য স্লোগান দেয়। যাতে করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে লড়াই করে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেটির বিভেদ হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নানা ধরনের গুজব ও অপপ্রচার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের হুঁশিয়ার ও সাবধান থাকতে হবে। কোনো ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তিতে আমাদের পা দেয়া যাবে না। ওদের (পতিত স্বৈরাচার) মধ্যে বিদেশে অনেক লোক আছে, আবার টাকা পয়সা আছে। ওরা চেষ্টা করবে আমাদের ভিতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। সেটি যেন করতে না পারে।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ছাত্রদল নেতা জেহাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। জেহাদের লাশ ছুঁয়ে তৎকালীন ছাত্রনেতারা শপথ নেন স্বৈরাচার এরশাদকে হঠানোর। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়েন এরশাদ।

নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, কামরুজ্জামান রতন, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ছাত্র দলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব ও শহীদ জেহাদের বড় বোন চামেলী মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশে গুজব ছড়িয়ে স্বৈরাচারের দোসরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে : নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশের সময় : ০৮:৩০:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

দেশে গুজব ছড়িয়ে পতিত স্বৈরাচারের দোসররা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। নব্বইয়ের গণতন্ত্র হত্যাকারী এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে অগ্রসেনানী শহীদ নাজির উদ্দিন জেহাদ- এর ৩৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৯০’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ এই স্মরণ সভার আয়োজন করে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ষড়যন্ত্রকারী থেমে নাই। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে বলেই মনে করবেন না, সব স্বৈরাচাররা, ফ্যাসিবাদের দোসরা পালিয়ে গেছে না; আছে তারা। নানা রকম গুজব এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। আপনাদের হুঁশিয়ার এবং সাবধান থাকতে হবে। কোনো রকমের গুজবন ও বিভ্রান্তিতে যেন আমরা পা না দেই।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে, ওদের (পতিত আওয়ামী লীগ) পক্ষে দেশে-বিদেশে শক্তি আছে, ওদের অনেক টাকা-পয়সা আছে… তারা নানাভাবে চেষ্টা করতে পারে আমাদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিরৃ সেটা যেন করতে না পারে সে দিকে সজাগ থাকতে হবে। কারণ মনে রাখতে হবে শহীদ জেহাদ থেকে আরম্ভ করে এর আগের এবং পরের যারাই আমাদের ভাই-বোনেরা শহীদ ও গুম হয়েছেন তাদের রক্ত কিংবা তাদের স্মৃতির প্রতি আমাদের দায় আছে, এই দায় আমাদেরকে পরিশোধ করতে হবে।

নজরুল ইসলাম বলেন, জেহাদের ১০ অক্টোবরের আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটেছিল, সেদিন গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছিল ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। সেদিন জেহাদ, নুর হোসেনের মতো কর্মী আর ডা: মিলনের মতো সাহসী মানুষ না থাকলে স্বৈরাচারের পতন হতো না।

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে আর একটি পরিবর্তন সাধিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই পরিবর্তন একটি ধারাবাহিকতার চূড়ান্ত রূপ মাত্র। আলাদা কোনো আন্দোলন, আলাদা কোনো অভ্যুত্থান নয়। আমাদের মনে রাখতে হবে, একটি দালান একটি ইটের পর ইট দিয়ে সিমেন্ট দিয়ে রঙ করে সুন্দর একটি দালান হয়। এই রঙ যদি তার ভিতরের ইট বালু সিমেন্টকে ভুলে যায়, তবে তা অন্যায় হবে। তবে রঙ-বালু-ইট মিলিয়ে ওই দালানটি। জেহাদ ওইসব দ্রব্যাদির একটি অংশ মাত্র।

তিনি বলেন, আমরা যারা বেঁচে আছি আমাদের দায়িত্ব হলো শহীদদের স্মৃতি মনে রাখা। যা তারা চেয়েছিলেন যার জন্য তারা জীবন দিয়েছেন সেটা অর্জন করা। আর সেই অর্জন করার পথে যে বাধা আসবে সেই বাধাকে আমাদের অতিক্রম করতে হবে। অতিক্রম করতে হবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগনকে সাথে নিয়ে। মনে রাখবেন, রাজনীতিতে জনগণের চাইতে বেশি শক্তিশালী আর কেউ নাই। আল্লাহর মেহেরবাণীতে সেই জনগণের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়তা আছে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানসহ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের। কাজেই আমাদের উচিত জনগনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা এবং তাদের কল্যাণের জন্য কাজ করা।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ক্ষুদিরাম থেকে শুরু করে সিপাহী বিদ্রোহ, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছাত্র আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে, ৯০’র অভ্যুত্থানে এবং ২০০৯ সাল থেকে ১৫ বছরে শত শত নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। এ জীবন শুধু ছাত্র-জনতাই নয়, নানা পেশাজীবী মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। তাদের একটাই আকাঙ্ক্ষা ফ্যাসিবাদের পতন গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা। আজকে আমরা ওই লড়াইয়ে বিজয়ী হলাম, আমরা ফ্যাসিবাদ পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু গণতন্ত্র এখনো আমরা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। অথচ লড়াই এটাই ছিল ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

পতিত ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছেন বলেই মনে করবেন না সব ফ্যাসিবাদের দোসর ও স্বৈরাচারের দোসরা পালিয়ে গেছে। না, আছে তারা। এমনও আছে, যাদের আমরা চিনতে ভুল করছি। মনে হচ্ছে আমাদের পক্ষের। ওই লোকগুলো আমাদের ভিতরে অনৈক্য তৈরি করার জন্য স্লোগান দেয়। যাতে করে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে লড়াই করে ঐক্য তৈরি হয়েছে, সেটির বিভেদ হয়।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নানা ধরনের গুজব ও অপপ্রচার সৃষ্টি করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনাদের হুঁশিয়ার ও সাবধান থাকতে হবে। কোনো ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তিতে আমাদের পা দেয়া যাবে না। ওদের (পতিত স্বৈরাচার) মধ্যে বিদেশে অনেক লোক আছে, আবার টাকা পয়সা আছে। ওরা চেষ্টা করবে আমাদের ভিতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার। সেটি যেন করতে না পারে।

১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ছাত্রদল নেতা জেহাদ পুলিশের গুলিতে নিহত হলে আন্দোলন আরো তীব্র হয়। জেহাদের লাশ ছুঁয়ে তৎকালীন ছাত্রনেতারা শপথ নেন স্বৈরাচার এরশাদকে হঠানোর। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে ক্ষমতা ছাড়েন এরশাদ।

নব্বইয়ের ডাকসুর ভিপি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় নব্বইয়ের সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন, সালাহউদ্দিন আহমেদ, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, কামরুজ্জামান রতন, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান আসাদ, মীর সরাফত আলী সপু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, ছাত্র দলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব ও শহীদ জেহাদের বড় বোন চামেলী মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।