Dhaka সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিদেশি কিছু মিডিয়া বাংলাদেশের সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদেশি কিছু মিডিয়া বাংলাদেশের সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদেশী কিছু গণমাধ্যম অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কিছু বিদেশি মিডিয়া বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু রাজনৈতিক কারণে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল, তবে তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষতি করতে পারেনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেখানে ধর্মে ধর্মে কোনো বিভেদ ও ঘৃণার কোনো রাজনীতি থাকবে না।

তিনি বলেন, আপনারা যে ৮ দফার কথা বলেছেন সেটি আমরা বিবেচনা করছি। এর যে মূল বিষয়টি সেটার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক যে সহানুভূতি রয়েছে। আপনাদের এটুকু বলতে পারি, অতীতে যেমন আমরা প্রতিটি সমস্যায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছি, ঠিক একইভাবে আগামীতেও আপনাদের সঙ্গে থাকব।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য একটি রাজনৈতিক দল, আমি নাম বলতে চাই না। তারা বরাবরই বলে তারাই নাকি এখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ত্রাণ কর্তা। কিন্তু আপনারা যদি অতীতে ঘটনাগুলো দেখেন, তাদের নেতৃত্বে কিন্তু তাদের লোকেরাই সেখানে ছিল। আপনাদের সম্প্রদায়ের মানুষের যত জমিজমা, সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হয়েছে তার মূলেও তারা ছিল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা আমাদের সরকার নয়, এটা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের সরকার এলে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করবোই।

৮ দফা দাবি তুলে ধরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, আমাদের ওপর যেসব অন্যায়, নির্যাতন হয়েছে তার ন্যায় বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আশা করি আপনি (মির্জা ফখরুল) আমাদের সাথে থাকবেন, আপনার দল থাকবে। কেন আশা করি? ৫ আগস্টের পরেও আপনার দলের নেতা-কর্মীরা আমাদের মন্দির পাহারায় ছিলেন, বাড়িঘর পাহারায় ছিলেন। সেজন্য আজকের দিনে কৃতজ্ঞা জানাচ্ছি।

গত ১৫ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আওয়ামী লীগ নির্যাতন করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসে, তাহলে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আট দফার বিষয়ে বিএনপির যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ও দখলদারিত্বের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি ঘটনারই বিচার হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট অসুর শক্তির পরাজয় হয়েছে। পূজা উদযাপনের বিষয়ে বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সব অঞ্চলের মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আজকে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের পূজা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে হচ্ছে। আমরা জানি যে অশুভ শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে দেশে বর্তমানে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আর এবারের পূজায় আমাদের দলের পক্ষ থেকে আপনাদের সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছি। পূজা উদযাপন কমিটির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছি। মত বিনিময় করেছি এবং আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের প্রতিটি মণ্ডপে সশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা এখন সে আদেশ পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে দেবী দুর্গা আগমণ ঘটে পৃথিবীতে অসুরকে বধ করার জন্যে। অন্যায়কে প্রতিহত করার জন্যে এবং মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য, বন্ধুত্ব সৃষ্টির জন্যে। আজকে সেই সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় শক্তিতে পরাজিত করে একটি সম্ভাবনাকে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে আমাদের একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে আমাদের কোন ভেদাভেদ থাকবে না, ধর্মান্ধতা থাকবে না। আরেক ধর্মের, বর্ণের প্রতি কোন ঘৃণা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি থাকবে না।

সবশেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি আমার দলের পক্ষ থেকে আপনাদের শারদীয়া দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক এই কামনা করছি ।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মাসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বিএনপি মহাসচিবকে স্বাগত জানান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিদেশি কিছু মিডিয়া বাংলাদেশের সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৬:১৩:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিদেশি কিছু মিডিয়া বাংলাদেশের সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গাপূজার মণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বিদেশী কিছু গণমাধ্যম অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কিছু বিদেশি মিডিয়া বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু রাজনৈতিক কারণে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল, তবে তা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষতি করতে পারেনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দানবীয় শক্তিকে পরাজিত করে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। যেখানে ধর্মে ধর্মে কোনো বিভেদ ও ঘৃণার কোনো রাজনীতি থাকবে না।

তিনি বলেন, আপনারা যে ৮ দফার কথা বলেছেন সেটি আমরা বিবেচনা করছি। এর যে মূল বিষয়টি সেটার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক যে সহানুভূতি রয়েছে। আপনাদের এটুকু বলতে পারি, অতীতে যেমন আমরা প্রতিটি সমস্যায় পাশে এসে দাঁড়িয়েছি, ঠিক একইভাবে আগামীতেও আপনাদের সঙ্গে থাকব।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য একটি রাজনৈতিক দল, আমি নাম বলতে চাই না। তারা বরাবরই বলে তারাই নাকি এখানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ত্রাণ কর্তা। কিন্তু আপনারা যদি অতীতে ঘটনাগুলো দেখেন, তাদের নেতৃত্বে কিন্তু তাদের লোকেরাই সেখানে ছিল। আপনাদের সম্প্রদায়ের মানুষের যত জমিজমা, সম্পত্তি দখল করে নেওয়া হয়েছে তার মূলেও তারা ছিল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা আমাদের সরকার নয়, এটা একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের সরকার এলে প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে বিচারের ব্যবস্থা করবোই।

৮ দফা দাবি তুলে ধরে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা বলেন, আমাদের ওপর যেসব অন্যায়, নির্যাতন হয়েছে তার ন্যায় বিচার ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আশা করি আপনি (মির্জা ফখরুল) আমাদের সাথে থাকবেন, আপনার দল থাকবে। কেন আশা করি? ৫ আগস্টের পরেও আপনার দলের নেতা-কর্মীরা আমাদের মন্দির পাহারায় ছিলেন, বাড়িঘর পাহারায় ছিলেন। সেজন্য আজকের দিনে কৃতজ্ঞা জানাচ্ছি।

গত ১৫ বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর আওয়ামী লীগ নির্যাতন করেছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি যদি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসে, তাহলে হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে এবং সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা হবে।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের আট দফার বিষয়ে বিএনপির যথেষ্ট সহানুভূতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, বিশেষ একটি রাজনৈতিক দল হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অত্যাচার ও দখলদারিত্বের সঙ্গে জড়িত ছিল। বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি ঘটনারই বিচার হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট অসুর শক্তির পরাজয় হয়েছে। পূজা উদযাপনের বিষয়ে বিএনপির সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে সব অঞ্চলের মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আজকে একটা সুযোগ তৈরি হয়েছে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের।

মির্জা ফখরুল বলেন, এবারের পূজা একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে হচ্ছে। আমরা জানি যে অশুভ শক্তি ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা দেশ থেকে বিদায় নিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে দেশে বর্তমানে একটি অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আর এবারের পূজায় আমাদের দলের পক্ষ থেকে আপনাদের সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করেছি। পূজা উদযাপন কমিটির সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছি। মত বিনিময় করেছি এবং আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমানের নির্দেশে দেশের প্রতিটি মণ্ডপে সশরীরে উপস্থিত থাকার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারা এখন সে আদেশ পালন করছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন যে দেবী দুর্গা আগমণ ঘটে পৃথিবীতে অসুরকে বধ করার জন্যে। অন্যায়কে প্রতিহত করার জন্যে এবং মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য, বন্ধুত্ব সৃষ্টির জন্যে। আজকে সেই সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় শক্তিতে পরাজিত করে একটি সম্ভাবনাকে সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি। যেখানে আমাদের একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে আমাদের কোন ভেদাভেদ থাকবে না, ধর্মান্ধতা থাকবে না। আরেক ধর্মের, বর্ণের প্রতি কোন ঘৃণা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি থাকবে না।

সবশেষে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি আমার দলের পক্ষ থেকে আপনাদের শারদীয়া দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক এই কামনা করছি ।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির যুব বিষয়ক সহ-সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, ধর্ম বিষয়ক সহ সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব, সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র পাল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মাসহ পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বিএনপি মহাসচিবকে স্বাগত জানান।