Dhaka বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১ অক্টোবর থেকে পলিথিনের বিকল্প ব্যবহার কার্যক্রম শুরু করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য পলিথিন শপিংব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ১ অক্টোবর থেকে শপিংমলগুলোতে এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নিজ দায়িত্বে সবাইকে পলিথিন পরিহার করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পণ্যসামগ্রী নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা যারা অংশীজন আছেন তাদের সঙ্গে বসেছি, আপনারা যে তারিখের কথা বলেছেন আমরা আপনাদের সঙ্গে একমত হয়েছি। কোনো সমস্যা হলে বলবেন, আমরা সেটা দেখব। এ উদ্যোগ মানুষকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, মানুষের জীবন নিরাপদ করার জন্য।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আইন অনুযায়ী পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। শপিং সেন্টার ও দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে আমরা বলেছি, আমাদের দেশের পাটের টাকায় পশ্চিম পাকিস্তানে ইসলামাবাদ করা হচ্ছে। ইতিহাসেও আমরা সে কথা পড়েছি। এখন আমাদের এখানকার পাট পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ কেনে না। আপনারা মাসে ২০ টাকা দিয়ে একটি পরিবেশসম্মত ব্যাগ কিনবেন, এটা আপনার দেশের জন্য, পরিবেশের জন্য, নিজের ও নিজের পরিজনের স্বাস্থ্যের জন্য।

পলিথিন বন্ধ করতে হবে নিজের প্রয়োজনে, নিজের বোধের তাগিদে। যে পলিথিনে আপনি আপনার সন্তানের জন্য মাছ, মাংস কিনছেন, সেই মাছ ও মাংসে যাতে পলিথিনের সঙ্গে থাকা বিষাক্ত কেমিক্যাল না মিশে যায়, সে জন্য আপনি পলিথিন বন্ধ করবেন, বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পলিথিন ব্যবহারে পুলিশি অভিযানে যাব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করছি। তারা পলিথিন ব্যবহার না করতে উদ্বুদ্ধ করতে সুপারশপে যাবে। তাদের সেভাবে ওরিয়েন্টেশন করানো হবে। তারা সুপারশপে দুদিনও যেতে পারে, পাঁচ দিনও যেতে পারে। এটা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০০০ সাল থেকে পলিথিনের ব্যাগ উৎপাদন নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও ২৪ বছর ধরে পলিথিন উৎপাদন করা হচ্ছে। আইন বাস্তবায়নের জন্যই এসব পলিথিন উৎপাদন বন্ধে অভিযান শুরু হয়ে যাবে। আর যারা পলিথিন উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত তারা শুধু পলিথিন উৎপাদন করে বিষয়টি এমন না। তারা সাথে আরও অন্য পণ্য উৎপাদন করে। এজন্য বেআইনি এসব পণ্য উৎপাদন পুনর্বাসনের কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, এসডো মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন এবং বিইউপির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুর রহমান ভূঁইয়া।

এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা নিষিদ্ধ পলিথিন শপিংব্যাগের বিকল্প পণ্যসামগ্রীর মেলা উদ্বোধন করেন এবং ২৪টি স্টল ঘুরে দেখেন।

আবহাওয়া

১ অক্টোবর থেকে পলিথিনের বিকল্প ব্যবহার কার্যক্রম শুরু করতে হবে : পরিবেশ উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৯:০০:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য পলিথিন শপিংব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। ১ অক্টোবর থেকে শপিংমলগুলোতে এবং ১ নভেম্বর থেকে কাঁচাবাজারে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। নিজ দায়িত্বে সবাইকে পলিথিন পরিহার করতে হবে। ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পণ্যসামগ্রী নিয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আপনারা যারা অংশীজন আছেন তাদের সঙ্গে বসেছি, আপনারা যে তারিখের কথা বলেছেন আমরা আপনাদের সঙ্গে একমত হয়েছি। কোনো সমস্যা হলে বলবেন, আমরা সেটা দেখব। এ উদ্যোগ মানুষকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নয়, মানুষের জীবন নিরাপদ করার জন্য।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, আইন অনুযায়ী পলিথিন বর্জনের কার্যক্রম ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। শপিং সেন্টার ও দোকান মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এ কার্যক্রম চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে সচিবালয়কে প্লাস্টিকমুক্ত ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে আমরা বলেছি, আমাদের দেশের পাটের টাকায় পশ্চিম পাকিস্তানে ইসলামাবাদ করা হচ্ছে। ইতিহাসেও আমরা সে কথা পড়েছি। এখন আমাদের এখানকার পাট পণ্য বিদেশে রপ্তানি করা হয়, কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ কেনে না। আপনারা মাসে ২০ টাকা দিয়ে একটি পরিবেশসম্মত ব্যাগ কিনবেন, এটা আপনার দেশের জন্য, পরিবেশের জন্য, নিজের ও নিজের পরিজনের স্বাস্থ্যের জন্য।

পলিথিন বন্ধ করতে হবে নিজের প্রয়োজনে, নিজের বোধের তাগিদে। যে পলিথিনে আপনি আপনার সন্তানের জন্য মাছ, মাংস কিনছেন, সেই মাছ ও মাংসে যাতে পলিথিনের সঙ্গে থাকা বিষাক্ত কেমিক্যাল না মিশে যায়, সে জন্য আপনি পলিথিন বন্ধ করবেন, বলেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

পলিথিন ব্যবহারে পুলিশি অভিযানে যাব না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত করছি। তারা পলিথিন ব্যবহার না করতে উদ্বুদ্ধ করতে সুপারশপে যাবে। তাদের সেভাবে ওরিয়েন্টেশন করানো হবে। তারা সুপারশপে দুদিনও যেতে পারে, পাঁচ দিনও যেতে পারে। এটা আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০০০ সাল থেকে পলিথিনের ব্যাগ উৎপাদন নিষিদ্ধ। কিন্তু তারপরও ২৪ বছর ধরে পলিথিন উৎপাদন করা হচ্ছে। আইন বাস্তবায়নের জন্যই এসব পলিথিন উৎপাদন বন্ধে অভিযান শুরু হয়ে যাবে। আর যারা পলিথিন উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত তারা শুধু পলিথিন উৎপাদন করে বিষয়টি এমন না। তারা সাথে আরও অন্য পণ্য উৎপাদন করে। এজন্য বেআইনি এসব পণ্য উৎপাদন পুনর্বাসনের কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম, দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, এসডো মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন এবং বিইউপির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফুর রহমান ভূঁইয়া।

এর আগে পরিবেশ উপদেষ্টা নিষিদ্ধ পলিথিন শপিংব্যাগের বিকল্প পণ্যসামগ্রীর মেলা উদ্বোধন করেন এবং ২৪টি স্টল ঘুরে দেখেন।