বরিশাল জেলা প্রতিনিধি :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পাহাড় শান্ত না থাকলে কেউই শান্তিতে থাকতে পারবে না। পার্বত্য অঞ্চলে যাই হচ্ছে না কেনো সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে, এটা আমাদের উপলব্ধি করতে হবে।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সরকারি এক সফরে বরিশালের বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
পাহাড়ি অঞ্চলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব পক্ষকে আহ্বান জানান তিনি। পাহাড় অশান্ত হলে ক্ষতি সবার। পাহাড়ে কেউ যাতে ইন্ধন যোগাতে না পারে সেজন্য পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা বুঝে, শান্তি বজায়ে সৌহার্দ্য স্থাপনে সবপক্ষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, পাহাড় অশান্ত থাকলে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবে না। পার্বত্য অঞ্চলে যাই হোক না কেনো সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। গত ১৫ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পুকুর-সাগর নয় দুর্নীতির মহাসাগর চুরি করা হয়েছে।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আমি দুটি মন্ত্রণালয়ে আছি। এই দুটি জায়গায় সাগর নয়, হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগর চুরি। এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসা খুবই ডিফিকাল্ট। কোনো ডিপার্টমেন্ট নেই, কোনো সিস্টেম নেই যে দুর্নীতিগ্রস্ত করা হয়নি। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় তো শেষ করে ফেলা হয়েছে। অলমোস্ট ফিনিশ।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, যে অবস্থায় রয়েছে সেখান থেকে উত্তরণে আমরা চেষ্টা করছি। এটা ২-৩ বছরে ঠিক করা সম্ভব না। সরকারি পাটকল একটাও চলছে না, আমরা চেষ্টা করছি সেগুলো লিজ দিয়ে চালু করার।
বাংলাদেশের মেরিনদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে দুবাই ও সিঙ্গাপুর অ্যাম্বাসিতে নতুন দুটি পদ সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালায়ে কিছু কিছু প্রজেক্ট আছে, অনেকে জানেই না কেন হয়েছে এই প্রজেক্ট।
সবাইকে আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি মনে করি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অ্যাকশন নেওয়া উচিত। আমাদের পাহাড়ি অঞ্চলে সব সময় সমস্যা ছিল। সেখানে বাঙালি অবাঙালি বাদে আরও ১৩-১৪টি কমিউনিটি আছে। সৌহার্দ্য বজায় রাখতে হলে অপাহাড়ি যারা আছে তাদের বুঝতে হবে পাহাড়িদের দুঃখ-বেদনা। স্থানীয়ভাবে এই সৌহার্দ্য বাড়াতে হবে। কেউ যাতে ইন্ধন যোগাতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলকে খেয়াল রাখতে হবে। সম্প্রীতি বজায় না রাখলে সবারই ক্ষতি। একই সঙ্গে কোনো ধরনের মব অ্যাটাক সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় শেখ হাসিনা সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মো. মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।