Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের বিশেষ অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি : মৎস্য উপদেষ্টা

  • প্রতিনিধির নাম
  • প্রকাশের সময় : ০১:৫১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ২২৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছে। তারা একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে দিয়েছেন। ভারতের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছেন। সেটা তাদের তো আমি জোর করতে পারি না।

তিনি বলেন, অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এর সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের সেই কমিটমেন্টটা এখনো আগের মতোই আছে, আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ইলিশের প্রাপ্যতা যেন নিশ্চিত করতে পারি।

ফরিদা আখতার বলেন, দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩ হাজার মেট্রিক টন। কতটুকু যাবে সেটা এখনও বলা যায় না। পূজার সঙ্গে ইলিশ রফতানির কোনও সম্পর্ক নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোলকাতার ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করেছে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ভারতে ইলিশ রফতানির সঙ্গে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনও সম্পর্ক নাই। আমি এখনও আমার আগের সিদ্ধান্তেই আছি যে, আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে, পরে রফতানি। তবে রফতানির সিদ্ধান্তের পর ইলিশের দাম বেড়ে গেলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে, সে বিষয়ে আপনার মতামত কী- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, যেটা গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সেটা ভারতের মৎস্য ব্যবসায়ী বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ অনুমোদন দিয়েছে। এর সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এখনও আগের অবস্থানেই আছি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে যেন ইলিশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা বলছেন ইলিশের দাম ইতোমধ্যেই বেড়ে গেছে, সেখানে আপনারা একটা ভূমিকা রাখতে পারেন। মাছটি এখন যায়নি কাগজে আছে। এর প্রভাবে যদি বাড়ে, সেটা উচিত হবে না। আমাদের এ বছর ইলিশের উৎপাদন পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টন। এর মধ্য থেকে মাত্র তিন হাজার টন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত বছর তিন হাজার টনের বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সে অনুযায়ী রপ্তানি হয়নি। মাত্র এক হাজার টন দেওয়া হয়েছিল।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কী রপ্তানি বন্ধ রাখার বিষয়ে বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি প্রথমেই বলেছি, আগে দেশের মানুষ খাবে পরে রপ্তানি হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে অনুমোদন দিয়েছে এবং একটা বিশেষ অনুরোধে দিয়েছেন। ভারতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে বিষয়ে তো আমি তাদের কিছু বলতে পারি না।

দাম বাড়লে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করবেন কিনা- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, যদি দাম বাড়ে সেই দাম বাড়ার বিষয়ে অবশ্যই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। দামের বিষয়টি আমরা প্রতিনিয়তই মনিটরিং করছি, মজুদ হয় কিনা দেখা হচ্ছে। সরকার যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। আমরা আমাদের কাজে যদি অবহেলা করে থাকি, তাতে দেশের ক্ষতি, জনগণের ক্ষতি হলে সেই দায় আমরা নেব।

বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানি করবেন কিনা বা বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা-  এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের দায়িত্ব তো আমার না। আমি আহ্বান জানাতে পারি কিন্তু বন্ধ করতে পারি না। আমিতো আহ্বান আগেই জানিয়েছি। এখন তারা বলছে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমিতো জোর করে কিছু করতে পারি না।

মাছ তো আপনার সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে গিয়ে বলুন। মাছ আমার ঠিক আছে। আরো অন্যান্য পণ্যও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি করে। সেগুলো কী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উৎপাদন করে। কিন্তু রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে। ধর্মীয়ভাবে ইলিশের সঙ্গে পূজার কোনো সম্পর্ক নেই। উৎসবে আমরা ভালো খাবার খাই তার অংশ হিসেবে তারা নিতে চাচ্ছে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যদি দাম বাড়ে সেই বিষয়ে অবশ্যই আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের দায়িত্ব তো আমার না। আমি আহ্বান জানাতে পারি কিন্তু বন্ধ করতে পারি না। রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।

নজিরবিহীন বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে গত মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতা নেয়। এরপর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কিছুটা টানাপড়েন তৈরি হয়। এর মধ্যেই এবার পূজায় প্রতিবেশী দেশটিতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ–বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

কিন্তু দেড় মাসের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকার। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৫৫ বছরের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

ভারতের বিশেষ অনুরোধে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি : মৎস্য উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০১:৫১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতের বিশেষ অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে এটা (রপ্তানির অনুমোদন) দিয়েছে। তারা একটা অনুরোধের প্রেক্ষিতে দিয়েছেন। ভারতের দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে অনুযায়ী তারা করেছেন। সেটা তাদের তো আমি জোর করতে পারি না।

তিনি বলেন, অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে। এর সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমাদের সেই কমিটমেন্টটা এখনো আগের মতোই আছে, আমরা বাংলাদেশের মানুষের জন্য ইলিশের প্রাপ্যতা যেন নিশ্চিত করতে পারি।

ফরিদা আখতার বলেন, দেশে ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি। রফতানির সিদ্ধান্ত হয়েছে ৩ হাজার মেট্রিক টন। কতটুকু যাবে সেটা এখনও বলা যায় না। পূজার সঙ্গে ইলিশ রফতানির কোনও সম্পর্ক নেই। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোলকাতার ব্যবসায়ীরা যোগাযোগ করেছে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ভারতে ইলিশ রফতানির সঙ্গে মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনও সম্পর্ক নাই। আমি এখনও আমার আগের সিদ্ধান্তেই আছি যে, আগে দেশের মানুষকে ইলিশ খাওয়াতে হবে, পরে রফতানি। তবে রফতানির সিদ্ধান্তের পর ইলিশের দাম বেড়ে গেলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে, সে বিষয়ে আপনার মতামত কী- এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, যেটা গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে সেটা ভারতের মৎস্য ব্যবসায়ী বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসায়ীদের অনুরোধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ অনুমোদন দিয়েছে। এর সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা এখনও আগের অবস্থানেই আছি। আমাদের বাংলাদেশের মানুষের কাছে যেন ইলিশের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা বলছেন ইলিশের দাম ইতোমধ্যেই বেড়ে গেছে, সেখানে আপনারা একটা ভূমিকা রাখতে পারেন। মাছটি এখন যায়নি কাগজে আছে। এর প্রভাবে যদি বাড়ে, সেটা উচিত হবে না। আমাদের এ বছর ইলিশের উৎপাদন পাঁচ লাখ ৩০ হাজার টন। এর মধ্য থেকে মাত্র তিন হাজার টন অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত বছর তিন হাজার টনের বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে সে অনুযায়ী রপ্তানি হয়নি। মাত্র এক হাজার টন দেওয়া হয়েছিল।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কী রপ্তানি বন্ধ রাখার বিষয়ে বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমি প্রথমেই বলেছি, আগে দেশের মানুষ খাবে পরে রপ্তানি হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে অনুমোদন দিয়েছে এবং একটা বিশেষ অনুরোধে দিয়েছেন। ভারতে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধ ছিল। সে বিষয়ে তো আমি তাদের কিছু বলতে পারি না।

দাম বাড়লে রপ্তানি নিরুৎসাহিত করবেন কিনা- এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, যদি দাম বাড়ে সেই দাম বাড়ার বিষয়ে অবশ্যই আমাদের ব্যবস্থা নিতে হবে। দামের বিষয়টি আমরা প্রতিনিয়তই মনিটরিং করছি, মজুদ হয় কিনা দেখা হচ্ছে। সরকার যেকোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। আমরা আমাদের কাজে যদি অবহেলা করে থাকি, তাতে দেশের ক্ষতি, জনগণের ক্ষতি হলে সেই দায় আমরা নেব।

বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানি করবেন কিনা বা বন্ধের কোনো ব্যবস্থা নেবেন কিনা-  এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের দায়িত্ব তো আমার না। আমি আহ্বান জানাতে পারি কিন্তু বন্ধ করতে পারি না। আমিতো আহ্বান আগেই জানিয়েছি। এখন তারা বলছে দুর্গাপূজা উপলক্ষে বিশেষ অনুরোধে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমিতো জোর করে কিছু করতে পারি না।

মাছ তো আপনার সে বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনারা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে গিয়ে বলুন। মাছ আমার ঠিক আছে। আরো অন্যান্য পণ্যও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রপ্তানি করে। সেগুলো কী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উৎপাদন করে। কিন্তু রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আছে। ধর্মীয়ভাবে ইলিশের সঙ্গে পূজার কোনো সম্পর্ক নেই। উৎসবে আমরা ভালো খাবার খাই তার অংশ হিসেবে তারা নিতে চাচ্ছে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যদি দাম বাড়ে সেই বিষয়ে অবশ্যই আমাদেরকে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রপ্তানি বন্ধের দায়িত্ব তো আমার না। আমি আহ্বান জানাতে পারি কিন্তু বন্ধ করতে পারি না। রপ্তানি বা আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের।

নজিরবিহীন বিক্ষোভ ও সহিংসতার মধ্যে গত মাসের শুরুতে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতা নেয়। এরপর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কিছুটা টানাপড়েন তৈরি হয়। এর মধ্যেই এবার পূজায় প্রতিবেশী দেশটিতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ–বিষয়ক উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

কিন্তু দেড় মাসের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্র্বতী সরকার। আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে।