Dhaka মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসস্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।

উপদেষ্টা ফরিদা আকতার বলেন, বাংলাদেশে ইলিশ মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈজ্ঞানিকভাবে এ মাছ সংরক্ষণের দিন নির্ধারণ করা হয়। ইলিশ মাছ সুরক্ষায় বিজ্ঞানীরা পূর্ণিমা ও আমবস্যার সঙ্গে মিল রেখে করে থাকেন। আজকের বৈঠকে যে তারিখটা নির্ধারণে সবাই একমত হয়েছি, সেটা হলো ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সব ধরনের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়েও কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। আমরা না। আমাদের কমিটমেন্ট আগের মতোই আছে।

মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানির বিপক্ষে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য ইলিশ রাখার পক্ষে এবং রফতানির বিপক্ষে। দেশে অনেক ইলিশ আছে। গতবারও ভারত কম ইলিশ নিয়েছে। হুট করে ইলিশের দাম বেড়ে যাবে এটাও ঠিক না। রপ্তানির খবরে দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রপ্তানি বন্ধ করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার কাজ নয় জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আমি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত না। এছাড়া ইলিশ মাছ পূজার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের থেকে বিষয়টি জেনেছেন বলেও জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাইলস্টোনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, আহত ৩

১৩ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ

প্রকাশের সময় : ০১:০৬:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনা নিয়ে আশ্বিন মাসের পূর্ণিমাকে ভিত্তি ধরে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক এ কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসস্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার।

উপদেষ্টা ফরিদা আকতার বলেন, বাংলাদেশে ইলিশ মাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বৈজ্ঞানিকভাবে এ মাছ সংরক্ষণের দিন নির্ধারণ করা হয়। ইলিশ মাছ সুরক্ষায় বিজ্ঞানীরা পূর্ণিমা ও আমবস্যার সঙ্গে মিল রেখে করে থাকেন। আজকের বৈঠকে যে তারিখটা নির্ধারণে সবাই একমত হয়েছি, সেটা হলো ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সব ধরনের ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়েও কথা বলেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। আমরা না। আমাদের কমিটমেন্ট আগের মতোই আছে।

মৎস ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশ রফতানির বিপক্ষে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য ইলিশ রাখার পক্ষে এবং রফতানির বিপক্ষে। দেশে অনেক ইলিশ আছে। গতবারও ভারত কম ইলিশ নিয়েছে। হুট করে ইলিশের দাম বেড়ে যাবে এটাও ঠিক না। রপ্তানির খবরে দাম বাড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রপ্তানি বন্ধ করা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার কাজ নয় জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, আমি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল করার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত না। এছাড়া ইলিশ মাছ পূজার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের থেকে বিষয়টি জেনেছেন বলেও জানান তিনি।