নিজস্ব প্রতিবেদক :
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ঢাকায় সংঘটিত পৃথক ছয়টির হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকী আল ফারাবী আদালত এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলারগুলো মধ্যে রয়েছে, আদাবর থানার গার্মেন্টস কর্মী রুবেল হত্যা, লালবাগ থানার আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা ও বাড্ডা থানার পৃথক চারটি হত্যা মামলা রয়েছে।
এদিন সকাল ৮টার পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার উপস্থিতিতে গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানি হয়।
এদিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের শুনানি সময় তিনি গ্রেপ্তার দেখানো মামলায় মিথ্যা বানোয়াট দাবি করে নিজেকে নিরপরাধ মর্মে উল্লেখ করেন।
বিচারপতি মানিককে গত ২৩ আগস্ট সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্থানীয় জনতার সহায়তায় আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হলে সিলেটের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১-এর বিচারক আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতে ওঠানোর সময় তার ওপর হামলা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে কারা হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় মানিককে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দেয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এরপরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মানিককে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। গতকাল সিলেট অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অঞ্জন কান্তি দাস তার জামিন মঞ্জুর করেন। তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি। পরে সিলেট থেকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়।