কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘আধিপত্য বিস্তারের’ জেরে পৃথক ঘটনায় প্রতিপক্ষের গুলি ও ছুরিকাঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং লাল পাহাড় ৪ নম্বর এক্সটেনশন নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন।
কুতুপালং লাল পাহাড়ে নিহত হয়েছেন ৪ নম্বর এক্সটেনশন ক্যাম্পের সি-১ ব্লকের রশিদ আহমেদের ছেলে কবির আহমেদ (২৭) ও জমতালী ১৫ নম্বর ক্যাম্পে নিহত হয়েছেন মৃত হাবিবের ছেলে নুর বশর (৫৪)।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের নিজ ঘর থেকে নুর বশরকে ৩০/৪০ জন অস্ত্রধারীরা তুলে নিয়ে রাস্তার ওপর এনে গুলি করে। একটি গুলি তার বুকের বাঁ পাশে ও কোমরে লাগে। ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
ভোরে উখিয়ার কুতুপালং লাল পাহাড় ৪ নম্বর এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ৮/১০ জন সন্ত্রাসী বাহির থেকে প্রবেশ করে। পরে তারা ক্যাম্পটির স্থানীয় একটি মসজিদে নামাজ আদায় করতে যাওয়া কবির আহমদকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে ক্যাম্পের সীমানা কাঁটাতারের বাইরে এনে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়।
ওসি জানান, খবর পেয়ে পুলিশের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত অবস্থায় দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর নিহতদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে দুটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর মধ্যে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে ঘটনা দুটি ঘটে।