স্পোর্টস ডেস্ক :
শ্রীলঙ্কায় তৃতীয় টি-টোয়েন্টি জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ ‘এ’ নারী দল। আগের দুই ম্যাচে সহজ জয় পেলেও তৃতীয় ম্যাচটি জিততে ঘাম ঝরাতে হয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে।
আগামী অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসছে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। কাগজে-কলমে ‘এ’ দলের সিরিজ হলেও আসন্ন নারী বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই জাতীয় দলের প্রায় সব ক্রিকেটারকে নিয়েই শ্রীলঙ্কা সফরে খেলছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়াও আছেন অভিজ্ঞ জাহানারা ও শামীমা সুলতানারাও।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ৯৭ রানের স্বল্প পুঁজি গড়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিক মেয়েরা। তাতে দুই ম্যাচ আগেই ৩-০ ব্যবধান বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সিরিজ নিশ্চিত হয়েছেছে।
৯৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২ রানেই শ্রীলঙ্কার উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায়। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে লঙ্কান ওপেনার ইমেশা দুলানিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মারুফা আকতার। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর নাহিদা আকতার ও সুলতানা খাতুনের ঘূর্ণিতে থরথর করে কাঁপতে থাকে লঙ্কানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা শ্রীলঙ্কার স্কোর হয়ে যায় ৭.২ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮ রান।
বিপদে পড়া শ্রীলঙ্কার হাল ধরেন নীলাক্ষনা সান্দামিনি ও কৌশিনী নুথিয়াঙ্গা। এই দুই ব্যাটার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পরিবর্তে ঢুকে যান খোলসের মধ্যে। পঞ্চম উইকেটে ৪৩ বলে ২৬ রানের জুটি গড়েন তাঁরা দুজন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুথিয়াঙ্গাকে বোল্ড করেন রাবেয়া খান। ২২ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২১ রান করেন নুথিয়াঙ্গা।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে বলতে গেলে রান করেছেন নুথিয়াঙ্গা ও সান্দামিনি। যেখানে ইনিংস সর্বোচ্চ ২২ রান করেছেন সান্দামিনি। ৩৭ বলের ইনিংসে কোনো চার-ছক্কা মারতে পারেননি তিনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ৮৭ রান করেছে লঙ্কানরা।
সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন নাহিদা, মারুফা ও রাবেয়া। যেখানে মারুফা, নাহিদা দুই বোলারই ১৬ রান করে খরচ করেছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সুলতানা ও ফাহিমা খাতুন। বাংলাদেশ অধিনাংক রাবেয়াসহ পাঁচ বোলারই ৪ ওভার করে বোলিং করেছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। ২.৪ ওভারে দুই ওপেনার দিলার আক্তার ও সাথী রানী মিলে ২৮ রান যোগ করেন। দিলার ১০ বলে ১৩ রান করে রান আউট হতেই অবশ্য ছন্দপতনও ঘটে। ওপেনার সাথী রানী এবং মিডল অর্ডার ব্যাটার রিতু মনি কেবল প্রতিরোধ গড়েছেন। সাথীর ব্যাট থেকে এসেছে ২৬ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস। রিতু খেলেন অপরাজিত ২৫ রানের ইনিংস। অধিনায়ক নিগার সুলতানার ব্যাট থেকে আসে ১২ রানের ইনিংস। এই চার ব্যাটার ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে মালশা শেহানী সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া মাদুশানি নেন দুটি উইকেট।