ফেনী জেলা প্রতিনিধি :
ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের লেমুয়া-ছনুয়া রাস্তার মাথা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম (৩০), ছাত্রদল কর্মী মেহেদী হাসান (২৪), ইউনিয়ন তাঁতিদল নেতা আবদুল মোতালেব, ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সৈকত (২৫), কালিদহ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল আলম সৌরভ (২৪), স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাঈন উদ্দিন (৪০), সিরাজ (৫০), ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম (২৯), স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আক্তার হোসেন শিমুল (৩০), ছাত্রদলকর্মী রিফাউল আলম মজুমদার (১৯), ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আহসান সুমন (২৯), তার ভাতিজা সামি (২০), সংবাদকর্মী এম কাওছার (২১) ও জাহিদুল আলম রাজন (২৬)।
আহতদের মধ্যে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার সংবাদকর্মী কাওছার, ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলাম, ছাত্রদল কর্মী মেহেদী হাসান, তাঁতিদল নেতা আবুল মোতালেব, ছাত্রদল নেতা সৈকত, সৌরভ ও সিরাজকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম জানান, কর্মীরা ছনুয়াতে দলীয় একটি প্রোগ্রামে যায়। এসময় সাবেক ছাত্রদল নেতা আহসান সুমন ও ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা নিজাম গ্রুপের সদস্যরা নজরুল ইসলাম ও তার সঙ্গে থাকা কর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলের দিকে ছনুয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় ছাত্রদলের একটি বৈঠক শেষে ফেরার পথে সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব নজরুল ইসলামসহ নেতা-কর্মীদের ওপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ছাত্রদল নেতা আহসান সুমন হামলা করে তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জের ধরে আজ সকালে সুমনের লোকজন ছনুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শরীফকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যান। পরে সদর উপজেলা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধারে গেলে ছনুয়া রাস্তার মাথায় সুমনের নেতৃত্বে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নিজাম উদ্দিন, সুমনের অনুসারী সোলিমুল হাসান, ছানাউল্ল্যাহ টিপু, মনির, ইমরান, মুজাহিদসহ কয়েকজন তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন বলেন, সুমন একসময় ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও তারপর প্রবাসে ছিল। তুচ্ছ একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। তাৎক্ষণিক আমরা একটি প্রতিবাদ মিছিল করেছি। এ বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শীর্ষ নেতাদের অবহিত করা হয়েছে।
ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার প্রকৃত কারণ বের করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।