Dhaka শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ত্রাণ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কত জনের চাকরি হয়েছে এর তালিকা হচ্ছে। এখানে কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধা বলে সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন অপরাধের তথ্য-প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতো। মন্ত্রণালয় সেখানে তদারকি করতো না। সব মন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতরে চিঠি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি প্রাপ্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।

ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি হয়েছে সেসব তালিকা হবে, তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না তা নিরুপণ হবে। সেইসঙ্গে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কি না তাও রিভিউ হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সম্মানিত হন সে বিষয়টিও দেখা হবে।

উপদেষ্টা ফরুক ই আজম বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আমরা বলেছি বন্যার কারণে মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেউ মাছ চাষ করতেন, কেউ হাঁস মুরগি পালন করতেন, গ্রামীণ পর্যায়ে অর্থনৈতিক উদ্যোগ ছিল, সেই উদ্যোগগুলো তারা হারিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। তারা সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ব্যাকের মাধ্যমে এখনো তারা সহযোগিতা করছেন। এনজিওগুলো তাদের সহযোগিতা নিয়ে মাঠে কাজ করছে। কিছু কিছু জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্যগুলো আসছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ হিসাব এখনো করা হয়নি। আগামী ১৭ তারিখ আমরা সেটা জানাতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, বন্যায় পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া পদ্ধতি সকল মন্ত্রণালয় করবে, সেটি সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা জেলা পর্যায়ের কমিটি হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও হবে। এই কমিটিতে সকল পর্যায়ের নেতৃত্ব রাখা হয়েছে। পুনর্বাসনের যে কাজগুলো হবে সেগুলো তারা মনিটরিং করবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ত্রাণ উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৩:২৬:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফারুক-ই-আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে কত জনের চাকরি হয়েছে এর তালিকা হচ্ছে। এখানে কোনও অনিয়ম হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা না হয়ে মুক্তিযোদ্ধা বলে সুবিধা গ্রহণ করে থাকেন, তাহলে এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন অপরাধের তথ্য-প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতো। মন্ত্রণালয় সেখানে তদারকি করতো না। সব মন্ত্রণালয়, দফতর, অধিদফতরে চিঠি দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি প্রাপ্তদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।

ফারুক ই আজম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তানের কোটায় সরকারি ও আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানে কতজনের চাকরি হয়েছে সেসব তালিকা হবে, তারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কি না তা নিরুপণ হবে। সেইসঙ্গে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কি না তাও রিভিউ হবে। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা যাতে সম্মানিত হন সে বিষয়টিও দেখা হবে।

উপদেষ্টা ফরুক ই আজম বলেন, অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। আমরা বলেছি বন্যার কারণে মানুষের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কেউ মাছ চাষ করতেন, কেউ হাঁস মুরগি পালন করতেন, গ্রামীণ পর্যায়ে অর্থনৈতিক উদ্যোগ ছিল, সেই উদ্যোগগুলো তারা হারিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আর্থিক সহযোগিতা তাদের প্রয়োজন। এই বিষয়গুলো আমরা তাদেরকে জানিয়েছি। তারা সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেন, ব্যাকের মাধ্যমে এখনো তারা সহযোগিতা করছেন। এনজিওগুলো তাদের সহযোগিতা নিয়ে মাঠে কাজ করছে। কিছু কিছু জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির তথ্যগুলো আসছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিপূর্ণ হিসাব এখনো করা হয়নি। আগামী ১৭ তারিখ আমরা সেটা জানাতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, বন্যায় পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া পদ্ধতি সকল মন্ত্রণালয় করবে, সেটি সমন্বয় করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা জেলা পর্যায়ের কমিটি হয়েছে, উপজেলা পর্যায়েও হবে। এই কমিটিতে সকল পর্যায়ের নেতৃত্ব রাখা হয়েছে। পুনর্বাসনের যে কাজগুলো হবে সেগুলো তারা মনিটরিং করবে।