Dhaka মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সমতা ফিরলো ইংল্যান্ড

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৩ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। নিজের জাতটা আবারও চেনাতেই হতো। কার্ডিফে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সেই লিয়াম লিভিংস্টোনকেই দেখা গেল, যেমনটা দেখতে চান ইংল্যান্ডের ভক্তরা। অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেটে ১৯৩ তাড়া করতে নেমে ৮.২ ওভারে ৭৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জয়ের নেপথ্য নায়ক লিভিংস্টোন। তার ম্যাচসেরা ভূমিকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৩ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। তাতে তিন ম্যাচে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড।

১৯৪ রানের জবাব দিতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। দ্রুতই ফিরে যান উইল জ্যাকস ও জর্দান কক্স। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি নিয়ে ম্যাচে চার নম্বরে নামেন হার্ড হিটার হিসেবে পরিচিত লিভিংস্টোন। এরপর ওপেনার ফিল সল্টকে নিয়ে দলের রান পৌঁছে দেন ৭৯ রান পর্যন্ত। এই রানে ২৩ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন অধিনায়ক সল্ট।

চতুর্থ উইকেটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুটি গড়েন লিভিংস্টোন ও তরুণ জ্যাকব বেথেল। মাত্র ৪৭ বলে এই দুজন দলের সঙ্গে যোগ করেন ৯০ রান। ১৬৯ রানের মাথায় ফেরেন ২৪ বলে ৪৪ রান করা বেথেল। ছয়ে নেমে ১ রানের বেশি করতে পারেননি স্যাম কারেন। এরপর জেমি ওভারটনকে নিয়ে প্রায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ছিলেন লিভিংস্টোন। তবে স্কোর সমতায় আসার পর বোল্ড হন এই অলরাউন্ডার। যদিও জয় তখন একপ্রকার নিশ্চিত। ৪৭ বলে ৮৭ রান করেন এই তারকা। ঝোড়ো এই ইনিংসে ৬টি চারের পাশাপাশি ছিল ৫টি ছক্কার মার। একই রানে ব্রাইডন কার্স গোল্ডেন ডাক মারলেও আদিল রশিদকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ওভারটন। বৃথা যায় মূলত ব্যাটার ম্যাথিউ শর্টের দুর্দান্ত বোলিং। ৩ ওভার বল করে ২২ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আলো ছড়ানো ব্যাটার ছিলেন ম্যাকগার্ক। ৩১ বলে ৫০ রান করেছেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়। সঙ্গে ভূমিকা রাখেন জশ ইংলিস। ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তার আগে দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও ট্রাভিস হেড দারুণ শুরু এনে দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। হেড ১৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে যখন ফেরেন, স্কোর ছিল ৫২। শর্ট ছিলেন ধীরস্থির। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২৮ রান। শেষ দিকে কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যারন হার্ডি। ৮ বলে ১৩* রানে অপরাজিত থাকেন গ্রিন, হার্ডি ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।

ম্যাচে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার লিভিংস্টোন। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় ম্যাকগার্ক ও মার্কাস স্টোয়নিসের মূল্যবান উইকেট তুলে নেন এই লেগ স্পিনার। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে আশার পথ দেখান কার্সও। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সমতা ফিরলো ইংল্যান্ড

প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। নিজের জাতটা আবারও চেনাতেই হতো। কার্ডিফে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সেই লিয়াম লিভিংস্টোনকেই দেখা গেল, যেমনটা দেখতে চান ইংল্যান্ডের ভক্তরা। অস্ট্রেলিয়ার ৬ উইকেটে ১৯৩ তাড়া করতে নেমে ৮.২ ওভারে ৭৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেখান থেকে শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ৬ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জয়ের নেপথ্য নায়ক লিভিংস্টোন। তার ম্যাচসেরা ভূমিকায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ৩ উইকেটে জিতেছে স্বাগতিকরা। তাতে তিন ম্যাচে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে ইংল্যান্ড।

১৯৪ রানের জবাব দিতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে ইংল্যান্ড। দ্রুতই ফিরে যান উইল জ্যাকস ও জর্দান কক্স। ব্যাটিং অর্ডারে উন্নতি নিয়ে ম্যাচে চার নম্বরে নামেন হার্ড হিটার হিসেবে পরিচিত লিভিংস্টোন। এরপর ওপেনার ফিল সল্টকে নিয়ে দলের রান পৌঁছে দেন ৭৯ রান পর্যন্ত। এই রানে ২৩ বলে ৩৯ রান করে ফেরেন অধিনায়ক সল্ট।

চতুর্থ উইকেটে ম্যাচের সবচেয়ে বড় জুটি গড়েন লিভিংস্টোন ও তরুণ জ্যাকব বেথেল। মাত্র ৪৭ বলে এই দুজন দলের সঙ্গে যোগ করেন ৯০ রান। ১৬৯ রানের মাথায় ফেরেন ২৪ বলে ৪৪ রান করা বেথেল। ছয়ে নেমে ১ রানের বেশি করতে পারেননি স্যাম কারেন। এরপর জেমি ওভারটনকে নিয়ে প্রায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ছিলেন লিভিংস্টোন। তবে স্কোর সমতায় আসার পর বোল্ড হন এই অলরাউন্ডার। যদিও জয় তখন একপ্রকার নিশ্চিত। ৪৭ বলে ৮৭ রান করেন এই তারকা। ঝোড়ো এই ইনিংসে ৬টি চারের পাশাপাশি ছিল ৫টি ছক্কার মার। একই রানে ব্রাইডন কার্স গোল্ডেন ডাক মারলেও আদিল রশিদকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন ওভারটন। বৃথা যায় মূলত ব্যাটার ম্যাথিউ শর্টের দুর্দান্ত বোলিং। ৩ ওভার বল করে ২২ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে আলো ছড়ানো ব্যাটার ছিলেন ম্যাকগার্ক। ৩১ বলে ৫০ রান করেছেন ৪ চার ও ২ ছক্কায়। সঙ্গে ভূমিকা রাখেন জশ ইংলিস। ২৬ বলে ৪২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তার আগে দুই ওপেনার ম্যাথু শর্ট ও ট্রাভিস হেড দারুণ শুরু এনে দিলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। হেড ১৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে যখন ফেরেন, স্কোর ছিল ৫২। শর্ট ছিলেন ধীরস্থির। ২৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় করেছেন ২৮ রান। শেষ দিকে কার্যকরী ইনিংস খেলেন ক্যামেরন গ্রিন ও অ্যারন হার্ডি। ৮ বলে ১৩* রানে অপরাজিত থাকেন গ্রিন, হার্ডি ৯ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন।

ম্যাচে ইংল্যান্ডের সেরা বোলার লিভিংস্টোন। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় ম্যাকগার্ক ও মার্কাস স্টোয়নিসের মূল্যবান উইকেট তুলে নেন এই লেগ স্পিনার। ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে আশার পথ দেখান কার্সও। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সিরিজের তৃতীয় ও সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।