Dhaka রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সবজির দাম স্থিতিশীল, চড়া ডিম মুরগির বাজার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে আবারও চড়েছে ডিম ও মুরগির বাজার। তবে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কাঁচাপণ্যের দামে তেমন বেশি হেরফের হয়নি। আর অপরিবর্তিত রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের বাজারে তেমন দেখা মিলেনি। শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের অন্যতম সবজি পাতা ও ফুলকপি। ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। আজকের বাজারে পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৬০ টাকা। তবে তুলনামূলক দাম কমার তালিকায় আছে মুলা। শীতের আগাম এ সবজিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। এদিকে শিমসহ নতুন কিছু সবজি আসায় কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, ধুন্দলসহ সব ধরনের সবজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে অপরিবর্তিত আছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে চড়া ডিম ও মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসুরের ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। ১০ টাকা বেড়ে ছোটদানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি, বড় দানার মসুর ডাল ৫-১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা। মুগ ডাল ১৮০ ও খেসারি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাঝারি চাল বিআর-২৮ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি মানভেদে সরু চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা।

মাস দেড়েক আগেও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ ও মাঝারি চালের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর সরু চাল বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়। অর্থাৎ, চালের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আগৈলঝাড়ায় ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ঝুঁকিপূর্ণ

সবজির দাম স্থিতিশীল, চড়া ডিম মুরগির বাজার

প্রকাশের সময় : ১২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীতে আবারও চড়েছে ডিম ও মুরগির বাজার। তবে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন কাঁচাপণ্যের দামে তেমন বেশি হেরফের হয়নি। আর অপরিবর্তিত রয়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার, কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত, যা গত সপ্তাহের বাজারে তেমন দেখা মিলেনি। শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের অন্যতম সবজি পাতা ও ফুলকপি। ছোট আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা পিস, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ টাকা। আজকের বাজারে পাতাকপি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৬০ টাকা। তবে তুলনামূলক দাম কমার তালিকায় আছে মুলা। শীতের আগাম এ সবজিটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০-৬০ টাকা। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা কেজি। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। এদিকে শিমসহ নতুন কিছু সবজি আসায় কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে করলা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়স, ধুন্দলসহ সব ধরনের সবজি। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাজারে অপরিবর্তিত আছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। আর প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৪০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে বাজারে চড়া ডিম ও মুরগির দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৭৫ টাকা, সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০-২৬০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকায়।

বাজারে মুরগির প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকা, আর সাদা ডিম ১৫০ টাকায়। আর প্রতি ডজন হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মসুরের ডালের দাম কিছুটা বেড়েছে। ১০ টাকা বেড়ে ছোটদানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি, বড় দানার মসুর ডাল ৫-১০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা। মুগ ডাল ১৮০ ও খেসারি ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

মাঝারি চাল বিআর-২৮ ও পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি মানভেদে সরু চালের কেজি ৭০ থেকে ৭৮ টাকা।

মাস দেড়েক আগেও মোটা চাল ৫০ থেকে ৫২ ও মাঝারি চালের কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। আর সরু চাল বিক্রি হতো কেজিপ্রতি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকায়। অর্থাৎ, চালের দাম গত এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৪ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।