Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়ালের জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই তাকে ঘিরে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। তবে শুরুর কয়েক ম্যাচে সেটা মেটাতে পারেননি ফরাসি তারকা। অবশেষে জ্বলে উঠলেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর পর জ্বলে উঠলো রিয়ালও। লিগ ম্যাচে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে এমবাপ্পের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে তারা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল বেটিস।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি করেন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে, দ্বিতীয়টি পেনাল্টি থেকে।

রিয়াল অধ্যায়ের শুরুটা তিনি দারুণ করেছিলেন অভিষেক ম্যাচে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা লড়াইয়ে গোল করে। তবে লিগের প্রথম তিন ম্যাচে দেখা যায়নি তার চেনা ধার, পাননি গোলের দেখাও। অবশেষে ঘুচল অপেক্ষা।

ম্যাচের শুরুটা রিয়ালের ভালো ছিল না। প্রথম ১০ মিনিটে তিন দফায় তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় বেতিস। এই সময়ে তেমন কিছুই করতে পারেনি রিয়াল। প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা ২০তম মিনিটে। রদ্রিগোর কর্নারে এদের মিলিতাওয়ের হেড ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক রুই সিলভা। ২৪তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পান এমবাপ্পে। ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড।

এরপর এমবাপ্পের দুটি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় রক্ষণে। ৪০তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের দারুণ থ্রু বলে বক্সে পা ছোঁয়াতে পারেননি এই ফরাসি তারকা, বেতিস গোলরক্ষক কিছুটা গড়বড় করে ফেললেও কোনো বিপদ হয়নি।

৫০তম মিনিটে ভিনিসিউসের শটে বল বেতিসের এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। ফিরতি বল ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে উড়িয়ে মারেন এমবাপ্পে। ৫৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যায় বেতিস। বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে আব্দের শট পাশের জালে লাগে। ৬৩তম মিনিটে বক্সে এমবাপ্পের শট প্রতিহত করেন ম্যাচ জুড়ে দারুণ খেলা বেতিস ডিফেন্ডার দিয়েগো ইয়োরেন্তে।

৬৭তম মিনিটে ‘ডেডলক’ ভাঙেন এমবাপ্পে। বাঁ দিকে প্রতিপক্ষের দুজনের বাধা এড়িয়ে রদ্রিগো বক্সের বাইরে খুঁজে নেন ভালভের্দেকে। উরুগুয়ের এই ফুটবলারের ব্যাকহিল ফ্লিকে ক্ষিপ্রতায় ভেতরে ঢুকে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপ্পে।

৭৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া ভিনিসিউসকে বেতিস গোলরক্ষক ফেলে দিলে প্রথমে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান। ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আগের ম্যাচে পেনাল্টি কিক নেওয়া ভিনিসিউস এবার নিজেই এই দায়িত্ব দেন এমবাপ্পেকে।

৮৪তম মিনিটে এমবাপ্পেকে তুলে লুকা মদ্রিচকে নামান আনচেলত্তি। ৮৯তম মিনিটে রদ্রিগোর বদলি নেমে প্রথম স্পর্শেই গোলে শট নেন এন্দ্রিক, ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়নি কেউ।

ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা বললেন, ‘আমি সারা জীবনই গোল করেছি, ভবিষ্যতেও করব। গোল আসবেই। টানা তিন ম্যাচে গোল না পাওয়াটা আমার জন্য বড় ব্যাপারই ছিল। কিন্তু এমনটা হতেই পারে। আমার ওপর সতীর্থদের আত্মবিশ্বাস আছে।’

৪ ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে রেয়াল। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে পরের দুটি স্থানে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও ভিয়ারেয়াল। একমাত্র দল হিসেবে আসরে প্রথম চার ম্যাচ জয়ী বার্সেলোনা ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়ালের জয়

প্রকাশের সময় : ০১:১৪:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর থেকেই তাকে ঘিরে ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বী। তবে শুরুর কয়েক ম্যাচে সেটা মেটাতে পারেননি ফরাসি তারকা। অবশেষে জ্বলে উঠলেন এমবাপ্পে। সেই সঙ্গে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট খোয়ানোর পর জ্বলে উঠলো রিয়ালও। লিগ ম্যাচে রিয়াল বেটিসের বিপক্ষে এমবাপ্পের জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে তারা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচের শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল বেটিস।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি করেন ২৫ বছর বয়সী এমবাপ্পে, দ্বিতীয়টি পেনাল্টি থেকে।

রিয়াল অধ্যায়ের শুরুটা তিনি দারুণ করেছিলেন অভিষেক ম্যাচে উয়েফা সুপার কাপের শিরোপা লড়াইয়ে গোল করে। তবে লিগের প্রথম তিন ম্যাচে দেখা যায়নি তার চেনা ধার, পাননি গোলের দেখাও। অবশেষে ঘুচল অপেক্ষা।

ম্যাচের শুরুটা রিয়ালের ভালো ছিল না। প্রথম ১০ মিনিটে তিন দফায় তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় বেতিস। এই সময়ে তেমন কিছুই করতে পারেনি রিয়াল। প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় তারা ২০তম মিনিটে। রদ্রিগোর কর্নারে এদের মিলিতাওয়ের হেড ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক রুই সিলভা। ২৪তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পান এমবাপ্পে। ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস বক্সে পেয়ে কোনাকুনি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড।

এরপর এমবাপ্পের দুটি প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় রক্ষণে। ৪০তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের দারুণ থ্রু বলে বক্সে পা ছোঁয়াতে পারেননি এই ফরাসি তারকা, বেতিস গোলরক্ষক কিছুটা গড়বড় করে ফেললেও কোনো বিপদ হয়নি।

৫০তম মিনিটে ভিনিসিউসের শটে বল বেতিসের এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। ফিরতি বল ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে উড়িয়ে মারেন এমবাপ্পে। ৫৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যায় বেতিস। বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে আব্দের শট পাশের জালে লাগে। ৬৩তম মিনিটে বক্সে এমবাপ্পের শট প্রতিহত করেন ম্যাচ জুড়ে দারুণ খেলা বেতিস ডিফেন্ডার দিয়েগো ইয়োরেন্তে।

৬৭তম মিনিটে ‘ডেডলক’ ভাঙেন এমবাপ্পে। বাঁ দিকে প্রতিপক্ষের দুজনের বাধা এড়িয়ে রদ্রিগো বক্সের বাইরে খুঁজে নেন ভালভের্দেকে। উরুগুয়ের এই ফুটবলারের ব্যাকহিল ফ্লিকে ক্ষিপ্রতায় ভেতরে ঢুকে ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এমবাপ্পে।

৭৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া ভিনিসিউসকে বেতিস গোলরক্ষক ফেলে দিলে প্রথমে অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান। ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আগের ম্যাচে পেনাল্টি কিক নেওয়া ভিনিসিউস এবার নিজেই এই দায়িত্ব দেন এমবাপ্পেকে।

৮৪তম মিনিটে এমবাপ্পেকে তুলে লুকা মদ্রিচকে নামান আনচেলত্তি। ৮৯তম মিনিটে রদ্রিগোর বদলি নেমে প্রথম স্পর্শেই গোলে শট নেন এন্দ্রিক, ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। বাকি সময়ে আর উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায়নি কেউ।

ম্যাচ শেষে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা এই তারকা বললেন, ‘আমি সারা জীবনই গোল করেছি, ভবিষ্যতেও করব। গোল আসবেই। টানা তিন ম্যাচে গোল না পাওয়াটা আমার জন্য বড় ব্যাপারই ছিল। কিন্তু এমনটা হতেই পারে। আমার ওপর সতীর্থদের আত্মবিশ্বাস আছে।’

৪ ম্যাচে দুটি করে জয় ও ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে রেয়াল। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে পরের দুটি স্থানে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও ভিয়ারেয়াল। একমাত্র দল হিসেবে আসরে প্রথম চার ম্যাচ জয়ী বার্সেলোনা ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে।