Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূর্বাচল স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করল বিসিবি

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পূর্বাচলের শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের দরপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া বাতিল করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এছাড়াও একটি স্বাধীন অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন নতুন সভাপতি। এই স্টেডিয়ামসহ বিসিবির আর্থিক ব্যাপারগুলো খতিয়ে দেখবে এই ফার্ম।

নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের পর বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) তিনি অংশ গ্রহণ করেছেন প্রথম বোর্ড সভায়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ফারুক।

বিসিবি সভাপতি বলেন, আমাদের যে টেন্ডার প্রসেস ছিল, পূর্বাচলে যে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা, টেন্ডার প্রসেসের শেষ দিন ছিল কালকে। এটা বাতিল করেছি আমরা সর্বসম্মতিক্রমে।

দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করার কারণ ব্যাখ্যা করে বিসিবি সভাপতি বলেন, বাতিল হয়েছে কারণ আপনারা জানেন এত বড় প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে। ওখান থেকে আমরা খুব বেশিৃ হ্যাঁ বা না, কোনোটিই পাইনিৃ আর যেহেতু সময় নেই, আহামীকালই শেষ দিন, এজন্য আমাদের এটা করতে হতো (বাতিল)। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, যদি আমরা মনে করি, রিভাইজ করে কিছু করা যায় কি না, তাহলে আমরা চেষ্টা করব নতুন করে কিছু করার জন্য। এই মাঠ আমরা সবাই মিলে দেখতে যাচ্ছি। কারণ যে টাকাটা খরচ হয়েছেৃ পুরোনো শতভাগ তো পাওয়া যাবে না, কারণ প্রকল্প অনেক বড় ছিল। ওখান থেকে আমরা ছোট করেৃ যতটাকা খরচ হয়েছে, কিছু যদি আমরা রিকভারি করতে পারি ধরুন, খেলার দুটো মাঠ যদি আমরা করতে পারি মূল নকশা ঠিক করে, সেই চেষ্টা করব। কনসালটেন্সি ফার্মকে কিছু টাকা যে দেওয়া হয়েছে, ওখান থেকে যাতে আমরা কিছু রিটার্ন পাই আর কী।

রাজধানীর পূর্বাচলে সাড়ে ৩৭ একর জমিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল সদ্য বিগত সরকারের। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ দুটি মাঠ নির্মাণের কথা ছিল। নামমাত্র মূল্যে সরকার থেকে জমি বরাদ্দ পেয়েছিল বোর্ড। এখন পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামের জন্য অর্ধশত কোটি টাকা খরচও করে ফেলেছে বিসিবি।

এই অর্থ ব্যয় হয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, স্টেডিয়ামের ডিজাইন এবং প্রজেক্টের কাজে নানা খাতে। কাজের অগ্রগতি বাড়াতে প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থ বছরে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল বিসিবি। এই অর্থ নাজমুল হাসান পাপনের সবশেষ বোর্ড সভায় অনুমোদন করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন স্টেডিয়ামটি আলোর মুখ দেখতে পারছে না।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গঠনতন্ত্র এবং নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো উন্নয়ন এবং সংস্কারমূলক ক্রীড়া স্থাপনার কাজে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে। কিন্তু ‘দ্য বোট’ তৈরিতে বিসিবি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো তোয়াক্কা করেনি। কিন্তু ফারুক আহমেদের বোর্ড সেদিকে যাচ্ছে না। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বোর্ড। এজন্য নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখতে চায় বিসিবি।

তবে স্টেডিয়ামের জায়গায় যে মাঠ ও উইকেট তৈরি হয়েছে সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেই পথ খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার এজন্য পূর্বাচল স্টেডিয়ামে ভিজিট করবেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে বিসিবির আয়-ব্যয় এবং অন্যান্য অসঙ্গতি ঠিক এবং কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে ইন্ডিপেনডেন্ট অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের বোর্ড সভায়।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

পূর্বাচল স্টেডিয়ামের দরপত্র বাতিল করল বিসিবি

প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পূর্বাচলের শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজের দরপত্র গ্রহণ প্রক্রিয়া বাতিল করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এছাড়াও একটি স্বাধীন অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন নতুন সভাপতি। এই স্টেডিয়ামসহ বিসিবির আর্থিক ব্যাপারগুলো খতিয়ে দেখবে এই ফার্ম।

নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের পর বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ফারুক আহমেদ। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) তিনি অংশ গ্রহণ করেছেন প্রথম বোর্ড সভায়। সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ফারুক।

বিসিবি সভাপতি বলেন, আমাদের যে টেন্ডার প্রসেস ছিল, পূর্বাচলে যে স্টেডিয়াম হওয়ার কথা, টেন্ডার প্রসেসের শেষ দিন ছিল কালকে। এটা বাতিল করেছি আমরা সর্বসম্মতিক্রমে।

দরপত্র প্রক্রিয়া বাতিল করার কারণ ব্যাখ্যা করে বিসিবি সভাপতি বলেন, বাতিল হয়েছে কারণ আপনারা জানেন এত বড় প্রকল্পের জন্য মন্ত্রণালয়ের একটা ব্যাপার থাকে। ওখান থেকে আমরা খুব বেশিৃ হ্যাঁ বা না, কোনোটিই পাইনিৃ আর যেহেতু সময় নেই, আহামীকালই শেষ দিন, এজন্য আমাদের এটা করতে হতো (বাতিল)। যদি পরিস্থিতির উন্নতি হয়, যদি আমরা মনে করি, রিভাইজ করে কিছু করা যায় কি না, তাহলে আমরা চেষ্টা করব নতুন করে কিছু করার জন্য। এই মাঠ আমরা সবাই মিলে দেখতে যাচ্ছি। কারণ যে টাকাটা খরচ হয়েছেৃ পুরোনো শতভাগ তো পাওয়া যাবে না, কারণ প্রকল্প অনেক বড় ছিল। ওখান থেকে আমরা ছোট করেৃ যতটাকা খরচ হয়েছে, কিছু যদি আমরা রিকভারি করতে পারি ধরুন, খেলার দুটো মাঠ যদি আমরা করতে পারি মূল নকশা ঠিক করে, সেই চেষ্টা করব। কনসালটেন্সি ফার্মকে কিছু টাকা যে দেওয়া হয়েছে, ওখান থেকে যাতে আমরা কিছু রিটার্ন পাই আর কী।

রাজধানীর পূর্বাচলে সাড়ে ৩৭ একর জমিতে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল সদ্য বিগত সরকারের। প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্পের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ দুটি মাঠ নির্মাণের কথা ছিল। নামমাত্র মূল্যে সরকার থেকে জমি বরাদ্দ পেয়েছিল বোর্ড। এখন পর্যন্ত এই স্টেডিয়ামের জন্য অর্ধশত কোটি টাকা খরচও করে ফেলেছে বিসিবি।

এই অর্থ ব্যয় হয়েছে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, স্টেডিয়ামের ডিজাইন এবং প্রজেক্টের কাজে নানা খাতে। কাজের অগ্রগতি বাড়াতে প্রকল্পের জন্য চলতি অর্থ বছরে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল বিসিবি। এই অর্থ নাজমুল হাসান পাপনের সবশেষ বোর্ড সভায় অনুমোদন করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন স্টেডিয়ামটি আলোর মুখ দেখতে পারছে না।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের গঠনতন্ত্র এবং নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো উন্নয়ন এবং সংস্কারমূলক ক্রীড়া স্থাপনার কাজে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সরাসরি সম্পৃক্ত থাকবে। কিন্তু ‘দ্য বোট’ তৈরিতে বিসিবি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের কোনো তোয়াক্কা করেনি। কিন্তু ফারুক আহমেদের বোর্ড সেদিকে যাচ্ছে না। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বোর্ড। এজন্য নির্মাণ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখতে চায় বিসিবি।

তবে স্টেডিয়ামের জায়গায় যে মাঠ ও উইকেট তৈরি হয়েছে সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করা যায় সেই পথ খোঁজার প্রক্রিয়া চলছে। শনিবার এজন্য পূর্বাচল স্টেডিয়ামে ভিজিট করবেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে বিসিবির আয়-ব্যয় এবং অন্যান্য অসঙ্গতি ঠিক এবং কোথায় কোথায় দুর্নীতি হয়েছে সেগুলো খুঁজে বের করতে ইন্ডিপেনডেন্ট অডিট ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের বোর্ড সভায়।