Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমতলী-পুরাকাটা খেয়া পারাপারে অনিয়ম চরমে

আমতলী-পুরাকাটা খেয়া পারাপারে অনিয়ম

আমতলী-পুরাকাটা খেয়া পারাপারে অনিয়ম চরমে উঠেছে। যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। দীর্ঘদিন যাবৎ আমতলী-পুরাকাটা ফেরীঘাটের পন্টুন ব্যবহার করে খেয়া পারাপার অব্যহত রয়েছে। বরগুনা জেলা থাকার সুবাদে আমতলী ও বরগুনার শত সহস্র লোক দৈনিক এই খেয়া পারাপার হচ্ছে।

বর্তমান বছরে এই খেয়া ঘাটের ইজারা মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা (১ কোটি ৯৩ লাখ)। গত বছর ইজারা মূল্য ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এই ঘাটে দৈনিক গড়ে ২০/২৫ টি ইঞ্জিন চালিত খেয়া নৌকা যাত্রী পারাপার করে থাকে। গত বছর যাত্রী প্রতি পারাপারের রেট ছিল ১০ টাকা। সেখান থেকে জেলা পরিষদ এক লাপে দেড়গুণ ভাড়া বৃদ্ধি করেন।

এ নিয়ে প্রায় যাত্রীদের সাথে হাতাহাতি গালাগালি চলে খেয়ার মাঝিদের সাথে। খেয়া মাঝিরা খুব সকালে ও রাত ৮টার পরে জেলা পরিষদের নির্ধারিত রেট অতিক্রম করে যাত্রীদের প্রতি জুলুম চালিয়ে ৩/৪ গুণ ভাড়া আদায় করে থাকে। নদীর প্রস্থতা প্রবল স্রোত ও ভয়াবহতার দিক বিবেচনা করে প্রতিটি খেয়ায় ২ জন মাঝি ও ২০/২৫ জন যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও প্রতিটি খেয়ায় ১ জন মাঝি, ১০/১২টি মোটর সাইকেল ও ৬০/৬৫জন যাত্রী পারাপার করে থাকে।

এই অবস্থা নিরসন করার লক্ষ্যে বর্তমান বছর ৬ বার বরগুনার ভ্রাম্যমান আদালত খেয়া ইজারাদারকে প্রচুর পরিমানে আর্থিক জরিমানা করেছেন। ২ জনের পরিবর্তে ১ জন মাঝি থাকার ফলে মাঝ নদীতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া উত্তোলনের সময় আনকোরা যাত্রীদের কাছ হালের বৈঠা ছেড়ে দিয়ে ভাড়া উত্তোলন করে আসছে।

এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সমূহ সমূহ আশন্কা থেকে যাচ্ছে। সব চেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশন্কা ফেরীর পন্টুনের সাথে খেয়া ভীড়ানো নিয়ে। এ ব্যাপারে ফেরীর ইজারাদার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান গত ১৬/০৭/২০২০ ইং তারিখ নির্বাহী প্রকৌশলী,সওজ বরগুনা বরাবর এক লিখিত চিঠিতে

উল্লেখ করেন যে, আমতলী-পুরাকাটা ফেরীঘাটের আমতলী এবং পুরাকাটা প্রান্তে পন্টুনের সাথে সার্বক্ষণিক খেয়ার ট্রলার বাধিয়া রাখে যাহার ফলে ফেরী পরিচালনায় অনেক অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে ফেরী ঘাটে ভিরতে সমস্যা হয়।

তা ছাড়া পন্টুনের সাথে ধাক্কা লেগে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে বার বার খেয়ার ইজারাদারকে মৌখিক ভাবে বলা স্বত্ত্বেও তিনি কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই।

সওজ বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হায়দার কামরুজ্জামান বলেন, খেয়ার ইজারাদার/ খেয়া ফেরীর পন্টুনের সাথে না ভীরানোর জন্য জেলা পরিষদে গত ২৫/৮/২০২০ইং তারিখসহ কয়েক বার চিঠি দিয়েছি।

জেলা পরিষদ,প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইলে জানান, আমার স-পরিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকায় আছি দোয়া করবেন সুস্থ হয়ে কথা বলব।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

আমতলী-পুরাকাটা খেয়া পারাপারে অনিয়ম চরমে

প্রকাশের সময় : ১১:৪৬:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০

আমতলী-পুরাকাটা খেয়া পারাপারে অনিয়ম চরমে উঠেছে। যে কোন সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা। দীর্ঘদিন যাবৎ আমতলী-পুরাকাটা ফেরীঘাটের পন্টুন ব্যবহার করে খেয়া পারাপার অব্যহত রয়েছে। বরগুনা জেলা থাকার সুবাদে আমতলী ও বরগুনার শত সহস্র লোক দৈনিক এই খেয়া পারাপার হচ্ছে।

বর্তমান বছরে এই খেয়া ঘাটের ইজারা মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা (১ কোটি ৯৩ লাখ)। গত বছর ইজারা মূল্য ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এই ঘাটে দৈনিক গড়ে ২০/২৫ টি ইঞ্জিন চালিত খেয়া নৌকা যাত্রী পারাপার করে থাকে। গত বছর যাত্রী প্রতি পারাপারের রেট ছিল ১০ টাকা। সেখান থেকে জেলা পরিষদ এক লাপে দেড়গুণ ভাড়া বৃদ্ধি করেন।

এ নিয়ে প্রায় যাত্রীদের সাথে হাতাহাতি গালাগালি চলে খেয়ার মাঝিদের সাথে। খেয়া মাঝিরা খুব সকালে ও রাত ৮টার পরে জেলা পরিষদের নির্ধারিত রেট অতিক্রম করে যাত্রীদের প্রতি জুলুম চালিয়ে ৩/৪ গুণ ভাড়া আদায় করে থাকে। নদীর প্রস্থতা প্রবল স্রোত ও ভয়াবহতার দিক বিবেচনা করে প্রতিটি খেয়ায় ২ জন মাঝি ও ২০/২৫ জন যাত্রী পারাপারের কথা থাকলেও প্রতিটি খেয়ায় ১ জন মাঝি, ১০/১২টি মোটর সাইকেল ও ৬০/৬৫জন যাত্রী পারাপার করে থাকে।

এই অবস্থা নিরসন করার লক্ষ্যে বর্তমান বছর ৬ বার বরগুনার ভ্রাম্যমান আদালত খেয়া ইজারাদারকে প্রচুর পরিমানে আর্থিক জরিমানা করেছেন। ২ জনের পরিবর্তে ১ জন মাঝি থাকার ফলে মাঝ নদীতে যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া উত্তোলনের সময় আনকোরা যাত্রীদের কাছ হালের বৈঠা ছেড়ে দিয়ে ভাড়া উত্তোলন করে আসছে।

এতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সমূহ সমূহ আশন্কা থেকে যাচ্ছে। সব চেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশন্কা ফেরীর পন্টুনের সাথে খেয়া ভীড়ানো নিয়ে। এ ব্যাপারে ফেরীর ইজারাদার মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান গত ১৬/০৭/২০২০ ইং তারিখ নির্বাহী প্রকৌশলী,সওজ বরগুনা বরাবর এক লিখিত চিঠিতে

উল্লেখ করেন যে, আমতলী-পুরাকাটা ফেরীঘাটের আমতলী এবং পুরাকাটা প্রান্তে পন্টুনের সাথে সার্বক্ষণিক খেয়ার ট্রলার বাধিয়া রাখে যাহার ফলে ফেরী পরিচালনায় অনেক অসুবিধা হচ্ছে। বিশেষ করে ফেরী ঘাটে ভিরতে সমস্যা হয়।

তা ছাড়া পন্টুনের সাথে ধাক্কা লেগে যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে বার বার খেয়ার ইজারাদারকে মৌখিক ভাবে বলা স্বত্ত্বেও তিনি কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই।

সওজ বরগুনা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হায়দার কামরুজ্জামান বলেন, খেয়ার ইজারাদার/ খেয়া ফেরীর পন্টুনের সাথে না ভীরানোর জন্য জেলা পরিষদে গত ২৫/৮/২০২০ইং তারিখসহ কয়েক বার চিঠি দিয়েছি।

জেলা পরিষদ,প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোবাইলে জানান, আমার স-পরিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকায় আছি দোয়া করবেন সুস্থ হয়ে কথা বলব।