Dhaka বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বার্সেলোনা থেকে ম্যানসিটিতে ফিরলেন গুন্ডোগান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪
  • ২০০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইলকাই গুন্ডোগানের সাম্প্রতিক সময়টা যেন নাটকীয়তায় মোড়ানো। জার্মান তারকা সদ্যই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার ক্লাব ফুটবলে গুন্দোগান ফিরলেন নিজের পুরোনো ঠিকানা ম্যানচেষ্টার সিটিতে। ২০২৩ সালে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দুই বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মৌসুম পরেই বার্সা ছেড়ে সিটিজেন শিবিরে ফিরলেন ৩৩ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার।

কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, পুরোনো ঠিকানায় ফিরতে যাচ্ছেন এই জার্মান। দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আপাতত এক বছরের চুক্তিতে সিটিতে ফিরেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার; থাকছে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ।

পেপ গুয়ার্দিওলা ২০১৬ সালে সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর, ওই বছরই তার পছন্দের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দলটিতে যোগ দেন গিন্দোয়ান। অল্প সময়েই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন তিনি। দলকে দেন নেতৃত্বও।

প্রথম মেয়াদে সিটির জার্সিতে ১৪টি ট্রফি জয়ের স্বাদ পান গিন্দোয়ান। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ৩০৪ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৬০টি।

সেখানে সাত বছর খেলে নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে গত বছর পাড়ি জমান বার্সেলোনায়। তবে কাতালান ক্লাবটিতে সময়টা সুখকর হয়নি তার; শিরোপাশূন্য মৌসুম শেষ করে তারা।

‘প্রিয় ঠিকানায়’ ফিরে ভীষণ খুশি গুন্ডোগান। উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে করে বলেন, কোচ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে আবারও কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটিতে আমার সাতটি বছর কেটেছিল দারুণ আনন্দে, মাঠে ও মাঠের বাইরে। সবাই জানে, পেপ গুয়ার্দিওলাকে আমি কতটা সম্মান করি-তিনি বিশ্বের সেরা ম্যানেজার এবং তার সঙ্গে প্রতিদিন কাজ করতে পারাটা একজনকে আরও ভালো খেলোয়াড় করে তোলে। সত্যি বলতে, আবারও সিটির জার্সি পরতে আমার তর সইছে না।

দলগত বিচারে বার্সেলোনার গত মৌসুম হতাশায় কাটলেও, গুন্ডোগানের পারফরম্যান্স ছিল বেশ ভালো। তাকে ধরেও রাখতে চেয়েছিল ক্লাবটি; কিন্তু আবারও বাধা হয়ে আসে তাদের আর্থিক সমস্যা।

কিছুদিন আগে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড দানি ওলমোকে দলে টেনেছে বার্সেলোনা। কিন্তু তাকে নিবন্ধন করাতে পারছে না তারা। মূলত এই কারণেই গিন্দোয়ানকে ফ্রি ট্রান্সফারেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে লা লিগার দ্বিতীয় সফলতম ক্লাবটি।

বার্সেলোনার সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন গুন্ডোগান। ফলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর ওলমোকে নিবন্ধন করাতে আর কোনো সমস্যা হবে না তাদের। আর দলের ‘ভালোর জন্য’ ক্লাব ছাড়তে হওয়ায় কোনো খারাপ লাগা নেই বলেও জানালেন গুন্ডোগান।

গুন্ডোগানের ফেরা সিটির জন্য দারুণ ব্যাপার। কারণ জুলিয়ান আলভারেজ চলে গেছেন। তার শূন্যতা পূরণে জার্মান তারকা বড় ছাপ রাখতে পারেন। সিটির হয়ে ৩০৪ ম্যাচে ৬০ গোল করা গুন্ডোগানের পরের লক্ষ্য নিশ্চয় টানা পঞ্চম লিগ শিরোপা জেতা।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জয়ের পর, চেলসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার পথচলা শুরু করেছে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার ইপ্সউইচ টাউনের মুখোমুখি হবে গত মৌসুমে টানা চতুর্থবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়া দলটি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আপস করলে খালেদা জিয়া অনেক আগেই ক্ষমতায় বসতে পারতেন : সেলিমা রহমান

বার্সেলোনা থেকে ম্যানসিটিতে ফিরলেন গুন্ডোগান

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ইলকাই গুন্ডোগানের সাম্প্রতিক সময়টা যেন নাটকীয়তায় মোড়ানো। জার্মান তারকা সদ্যই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন। এবার ক্লাব ফুটবলে গুন্দোগান ফিরলেন নিজের পুরোনো ঠিকানা ম্যানচেষ্টার সিটিতে। ২০২৩ সালে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে দুই বছরের চুক্তিতে বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এক মৌসুম পরেই বার্সা ছেড়ে সিটিজেন শিবিরে ফিরলেন ৩৩ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডার।

কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, পুরোনো ঠিকানায় ফিরতে যাচ্ছেন এই জার্মান। দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। আপাতত এক বছরের চুক্তিতে সিটিতে ফিরেছেন ৩৩ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার; থাকছে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ।

পেপ গুয়ার্দিওলা ২০১৬ সালে সিটির দায়িত্ব নেওয়ার পর, ওই বছরই তার পছন্দের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে দলটিতে যোগ দেন গিন্দোয়ান। অল্প সময়েই দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠেন তিনি। দলকে দেন নেতৃত্বও।

প্রথম মেয়াদে সিটির জার্সিতে ১৪টি ট্রফি জয়ের স্বাদ পান গিন্দোয়ান। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দলটির হয়ে ৩০৪ ম্যাচ খেলে গোল করেন ৬০টি।

সেখানে সাত বছর খেলে নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে গত বছর পাড়ি জমান বার্সেলোনায়। তবে কাতালান ক্লাবটিতে সময়টা সুখকর হয়নি তার; শিরোপাশূন্য মৌসুম শেষ করে তারা।

‘প্রিয় ঠিকানায়’ ফিরে ভীষণ খুশি গুন্ডোগান। উচ্ছ্বাসভরা কণ্ঠে করে বলেন, কোচ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে আবারও কাজ করতে মুখিয়ে আছেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটিতে আমার সাতটি বছর কেটেছিল দারুণ আনন্দে, মাঠে ও মাঠের বাইরে। সবাই জানে, পেপ গুয়ার্দিওলাকে আমি কতটা সম্মান করি-তিনি বিশ্বের সেরা ম্যানেজার এবং তার সঙ্গে প্রতিদিন কাজ করতে পারাটা একজনকে আরও ভালো খেলোয়াড় করে তোলে। সত্যি বলতে, আবারও সিটির জার্সি পরতে আমার তর সইছে না।

দলগত বিচারে বার্সেলোনার গত মৌসুম হতাশায় কাটলেও, গুন্ডোগানের পারফরম্যান্স ছিল বেশ ভালো। তাকে ধরেও রাখতে চেয়েছিল ক্লাবটি; কিন্তু আবারও বাধা হয়ে আসে তাদের আর্থিক সমস্যা।

কিছুদিন আগে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড দানি ওলমোকে দলে টেনেছে বার্সেলোনা। কিন্তু তাকে নিবন্ধন করাতে পারছে না তারা। মূলত এই কারণেই গিন্দোয়ানকে ফ্রি ট্রান্সফারেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে লা লিগার দ্বিতীয় সফলতম ক্লাবটি।

বার্সেলোনার সবচেয়ে বেশি বেতনভুক্ত খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন গুন্ডোগান। ফলে তাকে ছেড়ে দেওয়ার পর ওলমোকে নিবন্ধন করাতে আর কোনো সমস্যা হবে না তাদের। আর দলের ‘ভালোর জন্য’ ক্লাব ছাড়তে হওয়ায় কোনো খারাপ লাগা নেই বলেও জানালেন গুন্ডোগান।

গুন্ডোগানের ফেরা সিটির জন্য দারুণ ব্যাপার। কারণ জুলিয়ান আলভারেজ চলে গেছেন। তার শূন্যতা পূরণে জার্মান তারকা বড় ছাপ রাখতে পারেন। সিটির হয়ে ৩০৪ ম্যাচে ৬০ গোল করা গুন্ডোগানের পরের লক্ষ্য নিশ্চয় টানা পঞ্চম লিগ শিরোপা জেতা।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জয়ের পর, চেলসিকে ২-০ গোলে হারিয়ে লিগ শিরোপা ধরে রাখার পথচলা শুরু করেছে সিটি। প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় ম্যাচে শনিবার ইপ্সউইচ টাউনের মুখোমুখি হবে গত মৌসুমে টানা চতুর্থবার লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়া দলটি।