Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশালের গৌরনদীতে রাশেদ সিকদার (২২) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।

বরিশালে গৌরনদীতে রাসেদ সিকদার নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার বার্থী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশেদ বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের আবুল কালাম শিকদারের ছেলে।

এ ঘটনায় রাশেদের বড় ভাই রাসেল সিকদার বাদী হয়ে বার্থী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

রাশেদের বাবা কালাম সিকদার বলেন, আমার বড় ছেলে রাসেল সিকদারের ঢাকার ইসলামপুরে একটি প্লাস্টিকের কারখানা রয়েছে। ছোট ছেলে রাশেদ সেই কারখানায় কাজ করে। শুক্রবার সকালে রাশেদ বাড়িতে আসে। সন্ধ্যায় তার আড়াই বছরের ছেলের জন্য মিষ্টি কিনতে বার্থী বাজারে যায়। সেখানে ছাত্রদল নেতা আল আমিনসহ কয়েকজন রাশেদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা এনেছে কি-না জানতে চায়। একপর্যায়ে তারা রাশেদের ওপর চড়াও হয়। আত্মরক্ষার্থে পাশের ঘরে আশ্রয় নেয় রাশেদ। সেখানে তাকে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তারা।

তিনি বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা অবনতি হলে রাশেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কালাম সিকদারের দাবি, তার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। লেখাপড়ার সার্মথ্য না থাকায় তাকে ঢাকায় কাজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্লাস্টিক কারখানা দিয়ে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়ায় তার ছেলের কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করত ছাত্রদলের ওই নেতা। টাকা না দেওয়ায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার পরিবারের কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, হত্যাকারী যে-ই হউক না কেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বার্থী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপুল সরকার বলেন, রাশেদ শিকদার মাঠে নেমে রাজনীতি করত না। সে (রাশেদ) তার ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগের সমর্থনে বিভিন্ন সময় পোস্ট দিয়ে আসছিল। ছাত্রলীগ সমর্থন করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিপুল সরকার।

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাশেদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে রাশেদকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ এনে নিহতের ভাই রাসেল শিকদার বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বরিশালে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০৮:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৪

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

বরিশালের গৌরনদীতে রাশেদ সিকদার (২২) নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।

বরিশালে গৌরনদীতে রাসেদ সিকদার নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার বার্থী বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশেদ বার্থী ইউনিয়নের বড়দুলালী গ্রামের আবুল কালাম শিকদারের ছেলে।

এ ঘটনায় রাশেদের বড় ভাই রাসেল সিকদার বাদী হয়ে বার্থী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আল আমিনসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।

রাশেদের বাবা কালাম সিকদার বলেন, আমার বড় ছেলে রাসেল সিকদারের ঢাকার ইসলামপুরে একটি প্লাস্টিকের কারখানা রয়েছে। ছোট ছেলে রাশেদ সেই কারখানায় কাজ করে। শুক্রবার সকালে রাশেদ বাড়িতে আসে। সন্ধ্যায় তার আড়াই বছরের ছেলের জন্য মিষ্টি কিনতে বার্থী বাজারে যায়। সেখানে ছাত্রদল নেতা আল আমিনসহ কয়েকজন রাশেদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা এনেছে কি-না জানতে চায়। একপর্যায়ে তারা রাশেদের ওপর চড়াও হয়। আত্মরক্ষার্থে পাশের ঘরে আশ্রয় নেয় রাশেদ। সেখানে তাকে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করেন তারা।

তিনি বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা অবনতি হলে রাশেদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কালাম সিকদারের দাবি, তার ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। লেখাপড়ার সার্মথ্য না থাকায় তাকে ঢাকায় কাজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্লাস্টিক কারখানা দিয়ে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হওয়ায় তার ছেলের কাছে বিভিন্ন সময় টাকা দাবি করত ছাত্রদলের ওই নেতা। টাকা না দেওয়ায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার পরিবারের কেউ কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিন্টু বলেন, হত্যাকারী যে-ই হউক না কেন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

বার্থী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপুল সরকার বলেন, রাশেদ শিকদার মাঠে নেমে রাজনীতি করত না। সে (রাশেদ) তার ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগের সমর্থনে বিভিন্ন সময় পোস্ট দিয়ে আসছিল। ছাত্রলীগ সমর্থন করায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিপুল সরকার।

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে রাশেদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে রাশেদকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ এনে নিহতের ভাই রাসেল শিকদার বাদি হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।