স্পোর্টস ডেস্ক :
অবশেষে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিতে হবে এবং তা বোর্ড সভায় অনুমোদন হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিসিবি’র একজন পরিচালককে পদত্যাগের বিষয়ে সম্মতির কথা জানিয়েছেন পাপন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই পরিচালক।
তিনি বলেন, ওনার (নাজমুল) সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। অন্য এক পরিচালকের সঙ্গে আছে। উনিই জানিয়েছেন, পাপন ভাই সহযোগীতা (পদত্যাগ) করতে চান।
জানা গেছে, পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন নাজমুল হাসান। যেকোন সময় ইমেইলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠাতে পারেন। তবে এটা কার্যকর হবে বোর্ড সভার মাধ্যমে। বিসিবি সভাপতি পদত্যাগপত্র পাঠালে এই সভা ডাকা হবে। পরিচালকদের মধ্যে থেকে তখন একজনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক পরিচালকের দাবি, সভার কোরাম পূর্ণ হতে অন্তত নয়জন পরিচালকের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে সেটা সম্ভব বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। আর বকিদের মধ্যে যারা স্বশরীরে তিন সভায় অনুপস্থিত থাকবেন তাদের পরিচালকের পদ বাতিল হবে।
পাপন পদত্যাগ করলে আবারও নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সভাপতি নির্বাচিত হবে। সেক্ষেত্রে লম্বা সময় পর পরিবর্তন আসবে বিসিবির শীর্ষ নেতৃত্বে।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে বিসিবির কোনো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না পাপন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি দুই মাসে একটি করে পরিচালক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। পরপর তিন সভায় কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার পরিচালক পদ বাতিল বলে গণ্য করা হয়।
তাই নিজে থেকে পদ ত্যাগ না করে যদি কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকেন পাপন, তাহলে অন্তত ৬ মাসের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরিচালক ও সভাপতি পদে বহাল থাকবেন পাপন।
পাপনের পদত্যাগের পর কী হতে পারে? নিয়ম অনুযায়ী পাপনের পদত্যাগের পর ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অনুমতিক্রমে বোর্ডের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া পরিচালকদের মধ্যে থেকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হবেন দুজন। তাদের মধ্যে থেকে সভাপতি নির্বাচিত হতে পারেন যে কেউ। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপে যদি বোর্ডে পরিবর্তন আসে, সেক্ষেত্রে আইসিসির খড়গ নেমে আসতে পারে। তবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে যে পথে এগুনো প্রয়োজন, ঠিক সেই পথে চলার চেষ্টা করছেন বিসিবির পরিচালকরা।
পাপন ২০১২ সালে সরকার মনোনিত সভাপতি হয়েছিলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল আইসিসির সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর। ২০১৩ সালে নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার সুবিধা নিয়ে আরও দুইবার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে স্বেচ্ছাচার চালাতে থাকেন। নিয়মের তোয়াক্কা না করে ক্রিকেট এবং ক্রিকেটারদের ওপর হস্তক্ষেপ করে গেছেন। পাপনের ছত্রছায়ায় বেক্সিমকো ফার্মার অনেকে বিসিবি কর্মকর্তা হন। পরিচালক ইসামাইল হায়দার মল্লিকের সিদ্ধান্তই ছিল বিসিবির নিয়ম। অনিয়ম দুর্নীতি ও কমিশন বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
স্পোর্টস ডেস্ক 
























