স্পোর্টস ডেস্ক :
বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পেশাদার ফুটবলে কাটিয়ে দিয়েছেন ২৩টি বছর। নিজ দেশ ও ইউরোপের বিভিন্ন শীর্ষ ক্লাবের হয়ে পেয়েছেন অনেক সাফল্য। অবশেষে সেই পথচলা থামলো। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার পেপে।
২০২৪ ইউরোয় ফ্রান্সের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে হারার পর তার অবসরের গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু তখনই কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি তিনি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি সৃষ্টিকর্তা, সতীর্থ ও সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একাউন্টে দেওয়া এক ভিডিওতে অবসরের ঘোষণা দেন পেপে। সেখানে নিজের সতীর্থ-কোচ, সমর্থকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই। সবাই আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। এখন আমি ভারমুক্ত হতে চাই।
পেপের বিদায়ের কথা জেনে আবেগাপ্লুত হয়েছেন সতীর্থ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তিনি নিজের ইনস্টাগ্রামে লেখেন, তুমি আমার কাছে কতটা অর্থবহ, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না, বন্ধু। আমার বন্ধু, খেলার মাঠে আমি যা কিছু অর্জন করেছি, তার মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্জন হলো তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সম্মান। তুমি অনন্য।
গত ইউরোতে খেলতে নেমে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় রেকর্ড গড়েছেন ৪১ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। প্রথম ম্যাচ খেলতে যখন নামেন, তার বয়স তখন ৪১ বছর ১৩০ দিন। তার আগে এই রেকর্ডটি ছিল হাঙ্গেরির গোলরক্ষক গ্যাবোর কিয়ারলির। ২০১৬ ইউরোয় ৪০ বছর ৮৬ দিন বয়সে রেকর্ডটি গড়েছিলেন তিনি।
২০০৭ সালে পর্তুগালের হয়ে অভিষেক হয় পেপের। এরপর ১৭ বছরে জাতীয় দলের হয়ে ১৪১ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। রক্ষণভাগ সামলানোর দায়িত্বে থাকলেও দলের হয়ে করেছেন ৮ গোল। ২০১৬ সালে জিতেছেন ইউরো। পর্তুগিজ উইঙ্গার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাবেক সতীর্থ এই ডিফেন্ডার রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব পর্যায়ের সম্ভাব্য সব শিরোপাই জিতেছেন তিনি।
স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়ালের হয়ে ১০ মৌসুম খেলে তিনটি করে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন পেপে। সঙ্গে দুটি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপও রয়েছে। বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের শেষটা করলেন নিজ দেশের ক্লাব পোর্তোর হয়ে। সেখানেও দুই মেয়াদে জিতেছেন চারটি লিগ শিরোপা।