নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কার্যালয়ের সামনে থাকা একটি গাড়িতে আগুন দেয় তারা। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন গাড়িতে।
রোববার (৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সকাল সাড়ে ১০টার পর শাহবাগে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। তখন বিএসএমএমইউর সামনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় আন্দোলনকারীদের মিছিল থেকে তাদের ধাওয়া দেওয়া হয়। নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ঢুকে গেলে আন্দোলনকারীরাও ঢুকে যান। পরে সেখানে সংঘর্ষ শুরু হয়। এক পর্যায়ে ধাওয়া দিলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএসএমএমইউর ভেতরে চলে যান। পরে আন্দোলনকারীরা বিএসএমএমইউর ফটক ভেঙে ভেতরে ঢুকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন।
তখন হাসপাতাল প্রাঙ্গণে অ্যাম্বুলেন্সসহ বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করা হয়, পুড়িয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি মোটরসাইকেল ও বাস। পাশাপাশি হাসপাতালের বিভিন্ন ভবনে ঢিল ছুঁড়ে এবং লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে ফায়ার সার্ভিসের কোনো গাড়ি দেখা যায়নি।
একপর্যায়ে হামলাকারীরা একটি ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও কর্মচারীরা প্রতিরোধ গড়েন। তাদের ধাওয়ায় হামলাকারীরা ফটকের দিকে চলে যায়।
এক আন্দোলনকারী বলেন, ছাত্রলীগ আগে আমাদের ওপর হামলা করেছে। তারা বিল্ডিংয়ের ওপর থেকে আমাদের দিকে পাটকেল ছুড়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসপাতালে আক্রমণ কাম্য নয়। সবাইকে এই কাজ থেকে নিবৃত থাকা উচিত।’
এদিন সকাল থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে নিয়ে অবস্থান নেন বিপুলসংখ্যক আন্দোলনকারী।
এর আগে পুরান ঢাকা থেকে শাহবাগ অভিমুখে আসার পথে টিএসসিতে দায়িত্বপালনরত পুলিশ ও আনসারদের ধাওয়া করে আন্দোলনে থাকা ওই অংশটি। তারা শাহবাগ থানার সামনে এসেও পুলিশকে ধাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ থানার ভেতর চলে যাওয়ায় কোনো সংঘর্ষ বাধেনি।