Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ বক্স ও এপিবিএনের ট্রাক ভাঙচুর

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) গাড়ি ও পুলিশ বক্স ভাংচুর করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে মহাসড়কের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

তবে ভাংচুরের ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সংগঠক। তাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে দুস্কৃতিকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা ১১টার দিকে বিএম কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে সাড়ে ১১টায় নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। টার্মিনালের সামনে দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কের হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন মহাসড়কে যায় শিক্ষার্থীরা। সেখানে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করে।

এসময় সারাদেশে আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনার বিচার এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তারা। এর আগে মহাসড়কের আমতলা মোড় এলাকায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) শিক্ষার্থীরা। তিন ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের কারণে দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে যাত্রী দুর্ভোগ হয়।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় খাবার বহনকারী ওই গাড়িটি চৌমাথা পুলিশ বক্সের সামনে আসে। শিক্ষার্থীরা গাড়িটিকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বললেও তা চালক শুনছিল না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। এছাড়া পুলিশ বক্সটিও ভেঙে ফেলা হয়। আহত ও আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের বিকেল ৪টার দিকে ওই মসজিদ থেকে অ্যাম্বেুলেন্স দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

তবে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, এই হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীরা জড়িত নয়। তাদের অহিংস আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীনরা ভাঙচুর চালিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাইছে।

এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দিতে দেখা যায়নি। বরিশাল নগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে কোন বাধা দেইনি। তারপরও শিক্ষার্থীরা অযথা পুলিশের উপর হামলা করেছে।

এছাড়া সকালে ঢাকা বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালী এলাকায় শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা একজনকে মারধর করেছে। তাঁকে উদ্ধার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আমরা কোনো বাধা দিইনি। তবে কোনো নাশকতা কিংবা সহিংসতার চেষ্টা করা হলে অবশ্যই তা প্রতিরোধ করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নারায়ণগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০

বরিশালে মহাসড়ক অবরোধ, পুলিশ বক্স ও এপিবিএনের ট্রাক ভাঙচুর

প্রকাশের সময় : ১০:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

বরিশাল জেলা প্রতিনিধি : 

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধের কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) গাড়ি ও পুলিশ বক্স ভাংচুর করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে মহাসড়কের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

তবে ভাংচুরের ঘটনায় কোনো শিক্ষার্থী জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের একাধিক সংগঠক। তাদের আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে দুস্কৃতিকারীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এর আগে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে বেলা ১১টার দিকে বিএম কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিল নিয়ে সাড়ে ১১টায় নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। টার্মিনালের সামনে দেড়টা পর্যন্ত অবস্থান করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়কের হাতেম আলী কলেজ সংলগ্ন মহাসড়কে যায় শিক্ষার্থীরা। সেখানে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করে।

এসময় সারাদেশে আন্দোলনে শিক্ষার্থী নিহত ও আহতের ঘটনার বিচার এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করে তারা। এর আগে মহাসড়কের আমতলা মোড় এলাকায় ঘণ্টাখানেক অবরোধ করে শেরে বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ের (শেবাচিম) শিক্ষার্থীরা। তিন ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধের কারণে দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে যাত্রী দুর্ভোগ হয়।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা ফিরে যাওয়ার সময় খাবার বহনকারী ওই গাড়িটি চৌমাথা পুলিশ বক্সের সামনে আসে। শিক্ষার্থীরা গাড়িটিকে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বললেও তা চালক শুনছিল না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা গাড়িটি ভাঙচুর করে। এ সময় এক পুলিশ সদস্যকে মারধর করা হয়। এছাড়া পুলিশ বক্সটিও ভেঙে ফেলা হয়। আহত ও আটকে পড়া পুলিশ সদস্যদের বিকেল ৪টার দিকে ওই মসজিদ থেকে অ্যাম্বেুলেন্স দিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

তবে আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, এই হামলার সঙ্গে আন্দোলনকারীরা জড়িত নয়। তাদের অহিংস আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে ক্ষমতাসীনরা ভাঙচুর চালিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর দায় চাপিয়ে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চাইছে।

এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইন শৃংখলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দিতে দেখা যায়নি। বরিশাল নগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে কোন বাধা দেইনি। তারপরও শিক্ষার্থীরা অযথা পুলিশের উপর হামলা করেছে।

এছাড়া সকালে ঢাকা বরিশাল কুয়াকাটা মহাসড়কের লেবুখালী এলাকায় শেখ হাসিনা ক্যান্টনমেন্টের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা একজনকে মারধর করেছে। তাঁকে উদ্ধার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আমরা কোনো বাধা দিইনি। তবে কোনো নাশকতা কিংবা সহিংসতার চেষ্টা করা হলে অবশ্যই তা প্রতিরোধ করা হবে।