গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের উপদেষ্টা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ১৫ দিন পর দেশে ফিরেছেন।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে জাহাঙ্গীর আলম হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
জাহাঙ্গীর আলমকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর, আব্দুল্লাপুর ও টঙ্গী এলাকায় হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ জড়ো হন। পরে বিশাল মোটরসাইকেল ও গাড়ির শোভাযাত্রা সহকারে নিরাপত্তা দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে গাজীপুরের ছয়দানাস্থ বাসভবনে নিয়ে আসা হয়। টঙ্গী থেকে তার বাসভবন পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক মানুষ রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে জাহাঙ্গীর আলমকে শুভেচ্ছা জানান। জাহাঙ্গীর আলম তার বাসভবনের সামনে উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উদ্দেশে বক্তব্য দেন।
এসময় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে চলমান সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার দাবি করেন তিনি।
আন্দোলনের সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুর্বৃত্তরা হামলা করেছিল দাবি করে সেদিনের ভয়াবহ হামলার কথা স্মরণ করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা যখন বাড়ি থেকে বের হই তখন রাজপথে আন্দোলনের নামে খুনিরা আমার ও আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে জুয়েল মোল্লাকে তারা হত্যা করেছে, আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একটি বাড়িতে আড়াই ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করেছে। তারা ভেবেছিল আমি মারা গেছি, সর্বশেষ তারা বিভিন্ন হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় আমি সেখান থেকে উদ্ধার হই এবং চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাই।
সাবেক এই মেয়র বলেন, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমরা চাই, আলোচনার মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু সমাধান হোক। আমাদের সন্তানরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাক। আর কারো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি অন্য কেউ দেশ প্রেমিক হতে পারে না। আর ভাঙচুর না করে, মায়ের বুক খালি না করে শান্ত থেকে তার সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতির সমাধান করতে হবে।
জাহাঙ্গীর আলম বিমান বন্দর থেকে সরাসরি তার কর্মী হামিদুল ইসলাম জুয়েল মোল্লার বাড়িতে যান। সেখানে তিনি জুয়েল মোল্লার কবর জিয়ারত করেন। পরে তিনি জুয়েলের বাবা ও বোনসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় সেখানে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯ জুলাই কোটা বিরোধী আন্দোন চলাকালে গাজীপুর সিটির মেয়র জায়েদা খাতুনের বড় ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে উত্তরায় হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। তাদের হামলায় জাহাঙ্গীর আলম গুরুতর আহত হন, মারা যান তার সঙ্গে থাকা জুয়েল মোল্লা নামে এক সহযোগী। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলমকে পরদিন সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি 






















