শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধি :
শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে মেঘনা নদীতে বরযাত্রীসহ একটি ট্রলার ডুবিতে দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন বরসহ আরও তিনজন।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- শাহানা আক্তার (৫০) ও তাঁর মেয়ে জলি আক্তার (২৬)। তাঁরা ঢাকার নারিন্দা এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন বর শান্ত, শাওন ও হৃদয়। তারা সবাই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ঢাকা থেকে রওনা হয়ে লঞ্চযোগে আটজনের একটি বরযাত্রীর দল শরীয়তপুরের কোদালপুর লঞ্চঘাটে পৌঁছান আজ শুক্রবার সকালে। সেখান থেকে একটি ট্রলার ভাড়ায় নিয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে মাঝের চরের উদ্দেশ্যে রওনা করেন বরযাত্রীসহ ১১ জন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। পরে চালকসহ স্থানীয় তিনজন সাঁতার কেটে ডাঙায় উঠতে পারলেও বরযাত্রীদের কেউ সাঁতার জানতেন না। খবর পেয়ে স্থানীয় জেলে ও পুলিশ পাঁচজনকে উদ্ধার করে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জলি ও সাহানাকে মৃত ঘোষণা করেন। উদ্ধারকৃত বাকি তিনজনের মধ্যে পারভীন ও সুফিয়া চিকিৎসাধীন থাকলেও সুস্থ রয়েছেন আকাশ। অন্যদিকে, বর শান্তসহ নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধার করতে কাজ করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুষ্পেন দেবনাথ বলেন, ঢাকার নারিন্দা এলাকা থেকে কয়েক ব্যক্তি বিয়ের কথাবার্তা চূড়ান্ত করতে গোসাইরহাটের মাঝেরচর এলাকায় কনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে তাঁদের বহন করা ট্রলারটি ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন সাতজনকে উদ্ধার করেন। তাঁদের মধ্যে দুই নারী মারা গেছেন। আর তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। জীবিত উদ্ধার করা পাঁচজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহমেদ সাব্বির সাজ্জাদ বলেন, শরীয়তপুরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল নেই। আমরা ফরিদপুরে খবর দিয়েছি। তারা এলে নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। তবে উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আরেকটি ট্রলার নিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান করছে।