Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ ফেসবুক

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আবারও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করা হলো। তবে এবার শুধু মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমুসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম চালু রয়েছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি এই নেটওয়ার্কে টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়েছে।

মোবাইল ডাটায় ফেসবুক ব্যবহার করেন, এমন অনেকে বলছেন, শুক্রবার দুপুর থেকে তাদের ফেসবুক চালাতে সমস্যা হচ্ছে। মেটার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোও চলছে না।

ঢাকার ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক চালাতে না পেরে তারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করে এ সামাজিকমাধ্যম চালাচ্ছেন। তা দিয়েই তাদের অনেকে ফেসবুকে সমস্যায় পড়া নিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।

তবে দুপুর ১টার পর ফেসবুকও অনেকে এলাকায় ডাউন (ধীরগতি) হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। ফলে তাদের সামনে (নিউজফিড) নতুন কোনো পোস্ট আসছে না।

তবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি অপারেটর প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুপুরে জানান, ঢাকার কিছু এলাকায় দুপুর থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে করেছে অপারেটররা। তার জানামতে সব অপারেটরকে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মীর রায়হান মাসুদ নামে একজন ব্যবহারকারী দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে তার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, মোবাইল ডাটা ব্যবহারে শুধু কি আমার ফেসবুক চালাতে সমস্যা হচ্ছে নাকি অন্যরাও এ অসুবিধায় পড়েছেন?

তার পোস্টে দেওয়া কমেন্টে অন্তত ১০ জন কমেন্ট করে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক চালাতে না পারার কথা জানিয়েছেন। শামীম আরা শিউলি জানান, এটা এরিয়াভিত্তিক বন্ধ করেছে মনে হয়। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে, আবার কোথাও ব্লক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি। ফেসবুক মোবাইল ডেটায় বন্ধ থাকলে আবার ভিপিএনের ব্যবহার বাড়বে এবং তা ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে তা চালু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়।

গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়েছে। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা সকল সামাজিক মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা হয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফেনীর তিন নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাজ এক নম্বর হতে হবে : ফারুক-ই-আজম

মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ ফেসবুক

প্রকাশের সময় : ০২:০২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ অগাস্ট ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আবারও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ করা হলো। তবে এবার শুধু মোবাইল নেটওয়ার্কে ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়েছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ, ইমুসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম চালু রয়েছে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়। পাশাপাশি এই নেটওয়ার্কে টেলিগ্রামও বন্ধ করা হয়েছে।

মোবাইল ডাটায় ফেসবুক ব্যবহার করেন, এমন অনেকে বলছেন, শুক্রবার দুপুর থেকে তাদের ফেসবুক চালাতে সমস্যা হচ্ছে। মেটার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোও চলছে না।

ঢাকার ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক চালাতে না পেরে তারা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করে এ সামাজিকমাধ্যম চালাচ্ছেন। তা দিয়েই তাদের অনেকে ফেসবুকে সমস্যায় পড়া নিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।

তবে দুপুর ১টার পর ফেসবুকও অনেকে এলাকায় ডাউন (ধীরগতি) হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন অনেকে। ফলে তাদের সামনে (নিউজফিড) নতুন কোনো পোস্ট আসছে না।

তবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কর্মকর্তারা এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি নন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি অপারেটর প্রতিষ্ঠানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দুপুরে জানান, ঢাকার কিছু এলাকায় দুপুর থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এটা বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে করেছে অপারেটররা। তার জানামতে সব অপারেটরকে একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মীর রায়হান মাসুদ নামে একজন ব্যবহারকারী দুপুর ১২টা ৫৭ মিনিটে তার ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে লিখেছেন, মোবাইল ডাটা ব্যবহারে শুধু কি আমার ফেসবুক চালাতে সমস্যা হচ্ছে নাকি অন্যরাও এ অসুবিধায় পড়েছেন?

তার পোস্টে দেওয়া কমেন্টে অন্তত ১০ জন কমেন্ট করে মোবাইল ইন্টারনেটে ফেসবুক চালাতে না পারার কথা জানিয়েছেন। শামীম আরা শিউলি জানান, এটা এরিয়াভিত্তিক বন্ধ করেছে মনে হয়। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে, আবার কোথাও ব্লক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির বেশি। ফেসবুক মোবাইল ডেটায় বন্ধ থাকলে আবার ভিপিএনের ব্যবহার বাড়বে এবং তা ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই রাত থেকে ৩১ জুলাই দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই বেলা ২টার পর থেকে তা চালু হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুপুর সোয়া ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ বন্ধ করা হয়।

গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে ফেরে। ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু হয়েছে। কিন্তু বন্ধ ছিল মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রাম। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়। অন্যদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিল। গত ৩১ জুলাই ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা সকল সামাজিক মাধ্যম মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা হয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন। তিনি গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সঙ্গে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন।