Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তায় করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যাংক, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা করছি। গত ১০ দিনে ৫০ হাজারেরও বেশিবার হামলা চালিয়ে ৮টি ওয়েবসাইটের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও হামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি কো-অর্ডিনেট কমিটি গঠন করব। যারা বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

পলক বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে হামলা হয়নি। এমনকি কোনো ওয়েবসাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্যও নিতে পারেনি সাইবার হামলাকারীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পর্যালোচনা করে আমরা চারটি বড় খাতে সাইবার হামলা হওয়ার আশঙ্কা করছি। খাত ৪টি হচ্ছে— ব্যাংকিং সেক্টর, তৈরি পোশাকশিল্প, টেলিকম সেক্টর এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টর।

তিনি বলেন, আমাদের ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলো যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না। আমরা একটি কো-অর্ডিনেট কমিটি গঠন করবো, যেটি বৈঠক করে ব্যবস্থা নেবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভুল কিংবা মিথ্যা কনটেন্ট নিয়ে একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে ইমেইলে জবাব দিয়েছে টিকটক। আগামীকালের মধ্যে ফেসবুক ও ইউটিউবকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
পলক বলেন, সাইবার হামলা মোকাবিলার জন্য আমরা তিন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি ১. প্রিভেনটিভ মেজার, ২. ইনসিডেন্ট রেসপন্স ও ৩. পোস্ট ইনসিডেন্ট রেসপন্স। পাশাপাশি সাইবার হামলার ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি– আক্রান্ত হলে ওয়েবসাইটটা অফলাইনে নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত পাসওয়ার্ড আপডেট করা, যেকোনো পোর্টালে লগইনের ক্ষেত্রে মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করা, সিকিউরিটি অডিট করা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি, টেলিকম, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করার পরামর্শ দিয়ে পলক বলেন, লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৬:২৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে সমসাময়িক পরিস্থিতিতে সাইবার নিরাপত্তায় করণীয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ব্যাংক, গার্মেন্টস, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সাইবার হামলার আশঙ্কা করছি। গত ১০ দিনে ৫০ হাজারেরও বেশিবার হামলা চালিয়ে ৮টি ওয়েবসাইটের ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের ৭০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটেও হামলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একটি কো-অর্ডিনেট কমিটি গঠন করব। যারা বৈঠক করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন।

পলক বলেন, এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে হামলা হয়নি। এমনকি কোনো ওয়েবসাইট থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্যও নিতে পারেনি সাইবার হামলাকারীরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে পর্যালোচনা করে আমরা চারটি বড় খাতে সাইবার হামলা হওয়ার আশঙ্কা করছি। খাত ৪টি হচ্ছে— ব্যাংকিং সেক্টর, তৈরি পোশাকশিল্প, টেলিকম সেক্টর এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সেক্টর।

তিনি বলেন, আমাদের ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলো যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে না। আমরা একটি কো-অর্ডিনেট কমিটি গঠন করবো, যেটি বৈঠক করে ব্যবস্থা নেবে।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ভুল কিংবা মিথ্যা কনটেন্ট নিয়ে একাধিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে ইমেইলে জবাব দিয়েছে টিকটক। আগামীকালের মধ্যে ফেসবুক ও ইউটিউবকে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
পলক বলেন, সাইবার হামলা মোকাবিলার জন্য আমরা তিন ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি ১. প্রিভেনটিভ মেজার, ২. ইনসিডেন্ট রেসপন্স ও ৩. পোস্ট ইনসিডেন্ট রেসপন্স। পাশাপাশি সাইবার হামলার ঝুঁকি মোকাবিলায় আমরা কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি– আক্রান্ত হলে ওয়েবসাইটটা অফলাইনে নিয়ে যাওয়া, নিয়মিত পাসওয়ার্ড আপডেট করা, যেকোনো পোর্টালে লগইনের ক্ষেত্রে মাল্টি ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ব্যবহার করা, সিকিউরিটি অডিট করা।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি, টেলিকম, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে।

প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মিত সিকিউরিটি অডিট করার পরামর্শ দিয়ে পলক বলেন, লাইসেন্সবিহীন পাইরেটেড সফওয়্যার ব্যবহার না করতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান সাইবার হামলার শিকার হলে তা আইসিটি বিভাগকে জানাতে হবে।