Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১০ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল তিনটা থেকে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হয়।

এদিকে, দেশে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, এক্স (সাবেক টুইটার) বন্ধ রয়েছে। তবে অধিকাংশ ব্যবহারকারী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ফেরার তথ্য জানিয়েছেন। তারা মূলত ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন।

ব্যবহারকারীরা জানান, দেশের ৫টি অপারেটর কোম্পানির (বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, গ্রামীণফোন) সব সিম থেকে এখন ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে ধীরগতির কারণে ডাটা ব্যবহার করে স্বস্তি পাচ্ছেন না।

অপরদিকে, সকাল ৯টায় মোবাইল ডাটা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ থাকার বিকেল ৩টার পর থেকে মোবাইল ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই সময়ে যে গ্রাহকেরা মোবাইলে ইন্টারনেটে যুক্ত হবেন তারা তিন দিনের জন্য ৫জিবি বোনাস ডেটা পাবেন।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকেই শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমে থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিসেবা। ফলে আজ প্রায় ১১ দিন ধরে গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে কোনো কাজ করতে পারছেন না।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতেই সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি করতে চাচ্ছে। সেজন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরে। পরদিন বুধবার রাতে সারাদেশে বাসাবাড়িতে ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।

মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে আজ অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। বৈঠকের পর তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আজ বিকেল তিনটা থেকে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।

কয়েকদিন ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের কারণ হিসেবে সন্ত্রাসীদের হামলায় ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দেওয়ায় কথা জানান তিনি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়ক চার লেন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন 

১০ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট চালু

প্রকাশের সময় : ০৬:২০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে ১০ দিন বন্ধ থাকার পর মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) বিকেল তিনটা থেকে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হয়।

এদিকে, দেশে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টিকটক, এক্স (সাবেক টুইটার) বন্ধ রয়েছে। তবে অধিকাংশ ব্যবহারকারী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মোবাইল ইন্টারনেট ফেরার তথ্য জানিয়েছেন। তারা মূলত ভিপিএন ব্যবহার করে ফেসবুকে সক্রিয় রয়েছেন।

ব্যবহারকারীরা জানান, দেশের ৫টি অপারেটর কোম্পানির (বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, গ্রামীণফোন) সব সিম থেকে এখন ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে ধীরগতির কারণে ডাটা ব্যবহার করে স্বস্তি পাচ্ছেন না।

অপরদিকে, সকাল ৯টায় মোবাইল ডাটা চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, গত ১৮ জুলাই থেকে বন্ধ থাকার বিকেল ৩টার পর থেকে মোবাইল ৪জি নেটওয়ার্ক চালু করে দেওয়া হবে। একই সঙ্গে এই সময়ে যে গ্রাহকেরা মোবাইলে ইন্টারনেটে যুক্ত হবেন তারা তিন দিনের জন্য ৫জিবি বোনাস ডেটা পাবেন।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকেই শুরু হয় মোবাইল ইন্টারনেটের ধীরগতি। এরপর সহিংসতা ও গুজব প্রতিরোধ করতে সরকারের মৌখিক নির্দেশে ১৭ জুলাই (বৃহস্পতিবার) থেকে বন্ধ হয়ে যায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সিমে থ্রি-জি ও ফোর-জি পরিসেবা। ফলে আজ প্রায় ১১ দিন ধরে গ্রাহকরা মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে অনলাইনে কোনো কাজ করতে পারছেন না।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতেই সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বার্থান্বেষী মহলের নানা গুজব ছড়াচ্ছে। তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির তৈরি করতে চাচ্ছে। সেজন্য সাময়িকভাবে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে। এর জন্য পূর্বে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি। পরিস্থিতি বুঝেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই মঙ্গলবার রাতে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরে। পরদিন বুধবার রাতে সারাদেশে বাসাবাড়িতে ব্রন্ডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া গেলেও এখন পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে।

মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে আজ অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। বৈঠকের পর তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আজ বিকেল তিনটা থেকে মোবাইল ফোরজি ইন্টারনেট সেবা চালু হবে।

কয়েকদিন ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিতের কারণ হিসেবে সন্ত্রাসীদের হামলায় ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দেওয়ায় কথা জানান তিনি।