জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটের সদর উপজেলায় ডাকাতি করার সময় এক সদস্যকে হত্যার দায়ে ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাট অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লার সামছুল হুদা, দাদড়াজন্তি গ্রামের মো. মিজান, ভিটি দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাবু মিয়া, মুক্তিয়ার হোসেন, চকবম্বু পাতারপাড়া গ্রামের সবুর হোসেন এবং ভিটি প্রধানপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলাম। জাহিদুল ইসলাম জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদীর সঙ্গে কথা বলে রায়ের নকল তুলে এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন কি না পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৯ আগস্ট রাত ১টার দিকে সদর উপজেলার দাদড়াজন্তি গ্রামের বাবুপাড়া মহল্লায় উৎপল চন্দ্রের বাড়িতে ডাকাতি করে আসামিরা। ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে সোনার অলঙ্কার ও টাকাসহ ২ লাখ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নেয়। বাড়ির অপর সদস্য প্রতুল চন্দ্র বাধা দিলে তাকে হত্যা করে। অপর সদস্য পলাশকে মারধর করে আহত করে ডাকাতরা।
এ ঘটনায় উৎপল কুমার মণ্ডল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে জয়পুরহাট সদর থানায় ডাকাতি এবং হত্যা মামলা করেন। সদর থানার এসআই ফারুক খলিল মামলাটি তদন্ত করে ২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বিচারক এ রায় দেন।
আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন, মামলার পাঁচ আসামি হত্যা ও ডাকাতির ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর এক আসামির বাড়ি থেকে লুণ্ঠিত কিছু মালামাল উদ্ধার হওয়ায় ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হলো। বাদীপক্ষ বাকি ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি 





















