Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত নেপালের প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

নেপালের সংসদে আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল। জোটের অন্যতম অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউএমএল) সমর্থন প্রত্যাহারের পর হেরে গেছেন তিনি। ফলে ১৯ মাস ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করতে হচ্ছে তাকে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশটির সংসদে এই আস্থাভোট হয়। ভোটে হারায় এখন বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে পুষ্প দাহালকে।

গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দাহালের জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় জোটের সবচেয়ে বড় দল ইউএমএল। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে পুষ্পকে সংসদে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়।

নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে আসন রয়েছে ২৭৫টি। কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি আস্থাভোটে জিততে চায় তাহলে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু শুক্রবারের এই ভোটে পুষ্প দাহাল পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৪ আইনপ্রণেতা। একজন না ভোট দিয়েছেন। এদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন ২৫৮ আইনপ্রণেতা।

পুষ্প দাহালের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল হাত মেলায় দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে। ইউএমএল এবং নেপালি কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে চুক্তি করেছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খড়গ প্রসাদ অলিকে নির্বাচিত করবে তারা।

২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড।

২০২৩-এর মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একসময়ের এই গেরিলা যোদ্ধা। কিন্তু এবার ‘চীনপন্থী’ ওলি ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার পাটিগণিতের হিসাবে প্রচণ্ড এখন ‘ব্যাকফুটে’।

প্রচণ্ডের নেতৃত্বেই নব্বইয়ের দশকে নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে মাওবাদীরা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির পর দেড় দশক আগে নেপাল থেকে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। কিন্তু তারপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

নেপালে ২০০৮ থেকে সেখানে ১৩ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। আরও একবার পরিবর্তন দেখতে চলেছে নেপালিরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১৪তম প্রধানমন্ত্রীর নাম স্থির করতে বৈঠক করেন দেউবা ও ওলি। শুক্রবার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটের পরীক্ষায় হেরে যান প্রচণ্ড।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত নেপালের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৯:৫২:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুলাই ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

নেপালের সংসদে আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কামাল দাহাল। জোটের অন্যতম অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের (ইউএমএল) সমর্থন প্রত্যাহারের পর হেরে গেছেন তিনি। ফলে ১৯ মাস ক্ষমতায় থাকার পর পদত্যাগ করতে হচ্ছে তাকে।

শুক্রবার (১২ জুলাই) দেশটির সংসদে এই আস্থাভোট হয়। ভোটে হারায় এখন বাধ্যতামূলকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে হবে পুষ্প দাহালকে।

গত ৩ জুলাই প্রধানমন্ত্রী পুষ্প দাহালের জোট সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয় জোটের সবচেয়ে বড় দল ইউএমএল। এরপর সংবিধান অনুযায়ী বাধ্য হয়ে পুষ্পকে সংসদে আস্থাভোটের আয়োজন করতে হয়।

নেপালের সংসদের নিম্নকক্ষে আসন রয়েছে ২৭৫টি। কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি আস্থাভোটে জিততে চায় তাহলে কমপক্ষে ১৩৮টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু শুক্রবারের এই ভোটে পুষ্প দাহাল পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট। তার বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯৪ আইনপ্রণেতা। একজন না ভোট দিয়েছেন। এদিন সংসদে উপস্থিত ছিলেন ২৫৮ আইনপ্রণেতা।

পুষ্প দাহালের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে ইউএমএল হাত মেলায় দেশটির সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে। ইউএমএল এবং নেপালি কংগ্রেস নিজেদের মধ্যে চুক্তি করেছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খড়গ প্রসাদ অলিকে নির্বাচিত করবে তারা।

২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড।

২০২৩-এর মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একসময়ের এই গেরিলা যোদ্ধা। কিন্তু এবার ‘চীনপন্থী’ ওলি ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার পাটিগণিতের হিসাবে প্রচণ্ড এখন ‘ব্যাকফুটে’।

প্রচণ্ডের নেতৃত্বেই নব্বইয়ের দশকে নেপালে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে মাওবাদীরা। দীর্ঘ গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির পর দেড় দশক আগে নেপাল থেকে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। কিন্তু তারপর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিরতার শিকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি।

নেপালে ২০০৮ থেকে সেখানে ১৩ বার প্রধানমন্ত্রী বদল হয়েছে। আরও একবার পরিবর্তন দেখতে চলেছে নেপালিরা। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ১৪তম প্রধানমন্ত্রীর নাম স্থির করতে বৈঠক করেন দেউবা ও ওলি। শুক্রবার হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসে অনুষ্ঠিত আস্থা ভোটের পরীক্ষায় হেরে যান প্রচণ্ড।