Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়ার বনানীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোররাতে বনানীর লিচুতলা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাভার্ডভ্যানচালক, ঢাকার পল্লবী থানার টিটু খানের ছেলে মো. হৃদয় (২২), নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জেসমিন (৩৫), বগুড়া সদরের সুত্রাপুর এলাকার মাহবুব হোসেনের ছেলে শামীম হাসান (৪৫) ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান। নিহতদের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন- নওগাঁ সদরের মো. শাওন হোসেন (৩০), মো. বাবুল মিয়া (৩৫), বরিশালের হিজলার মো. আলিফ (৩৫), বগুড়া সদরের মো. রেজাউল করিম (৪৫), কাহালু উপজেলার মো. সুজন মিয়া (৩৫), শেরপুর উপজেলার মোহাম্মদ সৈকত (১৮) ও রংপুরের ডিমলা উপজেলার মো. অমিত (১০)।

কুন্দুরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সোমবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁগামী শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাভার্ড ভ্যানের চালক হৃদয় ও অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়।’

তিনি আরও বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীম ও হাসপাতালে জামাল মারা যান। নিহতদের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মিলাদুন্নবী জানান, ঢাকা থেকে নওগাঁগামী শাহ ফতেহ আলী পরিবহের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাভার্ড ভ্যানের চালক হৃদয় ও অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীম নামে আরও একজন মারা যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।’

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আহত আটজনের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি সাতজন বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

বগুড়ায় বাস-কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪

প্রকাশের সময় : ১১:৫২:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি : 

বগুড়ার বনানীতে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোররাতে বনানীর লিচুতলা এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কাভার্ডভ্যানচালক, ঢাকার পল্লবী থানার টিটু খানের ছেলে মো. হৃদয় (২২), নীলফামারীর ডোমার উপজেলার নতুনপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী জেসমিন (৩৫), বগুড়া সদরের সুত্রাপুর এলাকার মাহবুব হোসেনের ছেলে শামীম হাসান (৪৫) ও বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার রিধইল গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে আব্দুল হান্নান। নিহতদের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন- নওগাঁ সদরের মো. শাওন হোসেন (৩০), মো. বাবুল মিয়া (৩৫), বরিশালের হিজলার মো. আলিফ (৩৫), বগুড়া সদরের মো. রেজাউল করিম (৪৫), কাহালু উপজেলার মো. সুজন মিয়া (৩৫), শেরপুর উপজেলার মোহাম্মদ সৈকত (১৮) ও রংপুরের ডিমলা উপজেলার মো. অমিত (১০)।

কুন্দুরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘সোমবার রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁগামী শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাভার্ড ভ্যানের চালক হৃদয় ও অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়।’

তিনি আরও বলেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীম ও হাসপাতালে জামাল মারা যান। নিহতদের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মিলাদুন্নবী জানান, ঢাকা থেকে নওগাঁগামী শাহ ফতেহ আলী পরিবহের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই কাভার্ড ভ্যানের চালক হৃদয় ও অজ্ঞাত এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে আহতের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শামীম নামে আরও একজন মারা যান। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামাল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়।’

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া চারজনের মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। আহত আটজনের একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। বাকি সাতজন বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন।