Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবিকে (৪৮) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

রবিউল ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। পরপর তিনবার শরফপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তিনি। বাড়ি শরফপুর ইউনিয়নে হলেও পরিবার নিয়ে থাকতেন খুলনা নগরের নিরালা আবাসিক এলাকায়। বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রবি আওয়ামী লীগের কর্মী সভা শেষে মোটরসাইকেলে করে রাতে খুলনা নগরীর বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া এলাকায় পৌঁছালে দুই থেকে তিনজনের একদল সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রবিউল ইসলামের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনক হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রবিউলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন, হাসপাতালে নেওয়ার বেশ আগেই মারা গেছেন তিনি।

ডুমুরিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দ ঘোষ জানান, রবি তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। আগামী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

এদিকে হত্যার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মো. রায়হান ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহাগসহ জেলা ও ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। এছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

খুলনার পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, কেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। ঘটনার পরপরই আসামিদের ধরতে পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

খুলনায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০২:১৫:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

খুলনা জেলা প্রতিনিধি : 

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ রবিউল ইসলাম রবিকে (৪৮) গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত পৌনে ১০টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ওয়াপদার মোড় নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

রবিউল ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। পরপর তিনবার শরফপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান তিনি। বাড়ি শরফপুর ইউনিয়নে হলেও পরিবার নিয়ে থাকতেন খুলনা নগরের নিরালা আবাসিক এলাকায়। বিকেলে ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথেই দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান রবি আওয়ামী লীগের কর্মী সভা শেষে মোটরসাইকেলে করে রাতে খুলনা নগরীর বাড়িতে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের গুটুদিয়া এলাকায় পৌঁছালে দুই থেকে তিনজনের একদল সন্ত্রাসী তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রবিউল ইসলামের লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কনক হোসেন বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রবিউলকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন, হাসপাতালে নেওয়ার বেশ আগেই মারা গেছেন তিনি।

ডুমুরিয়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোবিন্দ ঘোষ জানান, রবি তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান। এলাকায় জনপ্রিয় ছিলেন। আগামী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন।

এদিকে হত্যার খবর পেয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মো. রায়হান ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক সোহাগসহ জেলা ও ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাসপাতালে ছুটে যান। এছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ছুটে যান। তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

খুলনার পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান বলেন, কেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। ঘটনার পরপরই আসামিদের ধরতে পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।