Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারালো জিম্বাবুয়ে

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
  • ১৯৬ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারারের মাঠে আজ মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে আসা ভারত হেরে গিয়েছে ১৩ রানে। জয় দিয়েই ঘরের মাঠে সিরিজ শুরু করল সিকান্দার রাজার দল।

শক্তিমত্তা বিবেচনায় জিম্বাবুয়ের থেকে ভারত এগিয়ে, এ কথা যে কেউই স্বীকার করবেন বিনা যুক্তিতর্কে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের চ্যাম্পিয়ন দল ভারত। অথচ সেই ভারতকেই হারিয়ে দিয়ে ঘরের মাঠে নিজেদের দাপট দেখালো জিম্বাবুয়ে। যদিও বিশ্বকাপ দলের কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারই এই সিরিজের স্কোয়াডে নেই। তবুও প্রায় সকলেরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাই ভারতকেই বেশিরভাগ দর্শক এগিয়ে রেখেছিল এটাই স্বাভাবিক।

এদিন টসে জিতে শুরুতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল। ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা কেউই এদিন নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫ বলে ২৯ রান আসে উইকেটরক্ষক ক্লিভ মাদান্দের ব্যাট থেকে, শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন অপরাজিত। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১১৫ রান।

এই সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের এটি তৃতীয় জয়, ২০১৬ সালের পর প্রথম। টি-টোয়েন্টিতে এত কম রানের পুঁজি নিয়ে ভারতের বিপক্ষে জিততে পারেনি আর কেউ। ২০১৬ বিশ্বকাপে ১২৬ রানের পুঁজি নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জয় ছিল আগের রেকর্ড।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরাতে ব্যর্থ হওয়া জিম্বাবুয়ের এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক রাজা। ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ১৭ রানের পর হাত ঘুরিয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা এই অলরাউন্ডার।

১১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতের কাছে এই স্কোরই পাহাড়সম হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে। অভিষেক শর্মা (০), রুতুরাজ (৭), রিয়ান পরাগ (২), রিংকু সিং (০)— কেউ-ই নামের সুবিচার করতে পারেননি। গিল বাদে টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডারের কোনো ব্যাটার দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে।

১৭ ওভারের মধ্যে ৮৬ রানে ৯ উইকেট হারানো ভারতের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ১৮ বলে ভারতের দরকার ছিল ৩০ রান। ১৮তম ওভারে ১২ রান তুলে হারের আগে না হারার প্রত্যয় দেখানো ওয়াশিংটন শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। পেরে ওঠেনি ভারতও। শেষ ওভারের ১৬ রানের সমীকরণ না মেলাতে পারা ভারত ম্যাচ হেরেছে ১৩ রানে, সফরকারীরা ১৯.৫ ওভারে অলআউট ১০২ রানে।

সিকান্দার রাজা ব্যাটিংয়ে কিছু করতে না পারলেও বল হাতে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই অলরাউন্ডার। ১৬ রান দিয়ে তার মতো ৩ উইকেট শিকার করেন তেন্দাই চাতারাও।

হারারেতে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। থিতু হলেও কোনো ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রবি বিষ্ণোই আর ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পিন মায়াজালে আটকা পড়েন তারা। সর্বোচ্চ ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্লাইভ মাদানদে। এছাড়া ডিওন  মায়ার্স ২৩, ব্রায়ান বেনেট ২২ ও ওয়েসলি মাধেভেরে করেন ২১ রান।

ভারতের হয়ে  স্রেফ ১৩ রান খরচে ৪ উইকেট নেন বিষ্ণোই। ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার সুন্দরের। এছাড়া আভেশ  খান ও মুকেশ কুমার নেন একটি করে উইকেট।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতকে হারালো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে হারারের মাঠে আজ মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও জিম্বাবুয়ে। যেখানে সদ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে আসা ভারত হেরে গিয়েছে ১৩ রানে। জয় দিয়েই ঘরের মাঠে সিরিজ শুরু করল সিকান্দার রাজার দল।

শক্তিমত্তা বিবেচনায় জিম্বাবুয়ের থেকে ভারত এগিয়ে, এ কথা যে কেউই স্বীকার করবেন বিনা যুক্তিতর্কে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের চ্যাম্পিয়ন দল ভারত। অথচ সেই ভারতকেই হারিয়ে দিয়ে ঘরের মাঠে নিজেদের দাপট দেখালো জিম্বাবুয়ে। যদিও বিশ্বকাপ দলের কোনো ভারতীয় ক্রিকেটারই এই সিরিজের স্কোয়াডে নেই। তবুও প্রায় সকলেরই আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তাই ভারতকেই বেশিরভাগ দর্শক এগিয়ে রেখেছিল এটাই স্বাভাবিক।

এদিন টসে জিতে শুরুতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠান ভারতের অধিনায়ক শুবমান গিল। ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা কেউই এদিন নিজেদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৫ বলে ২৯ রান আসে উইকেটরক্ষক ক্লিভ মাদান্দের ব্যাট থেকে, শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন অপরাজিত। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে জমা হয় ১১৫ রান।

এই সংস্করণে ভারতের বিপক্ষে ৯ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের এটি তৃতীয় জয়, ২০১৬ সালের পর প্রথম। টি-টোয়েন্টিতে এত কম রানের পুঁজি নিয়ে ভারতের বিপক্ষে জিততে পারেনি আর কেউ। ২০১৬ বিশ্বকাপে ১২৬ রানের পুঁজি নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের জয় ছিল আগের রেকর্ড।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব উতরাতে ব্যর্থ হওয়া জিম্বাবুয়ের এই জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন অধিনায়ক রাজা। ব্যাটিংয়ে ১৯ বলে ১৭ রানের পর হাত ঘুরিয়ে ২৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা এই অলরাউন্ডার।

১১৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতের কাছে এই স্কোরই পাহাড়সম হয়ে যায় জিম্বাবুয়ের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কল্যাণে। অভিষেক শর্মা (০), রুতুরাজ (৭), রিয়ান পরাগ (২), রিংকু সিং (০)— কেউ-ই নামের সুবিচার করতে পারেননি। গিল বাদে টপঅর্ডার ও মিডলঅর্ডারের কোনো ব্যাটার দাঁড়াতেই পারেননি জিম্বাবুয়ের বোলারদের সামনে।

১৭ ওভারের মধ্যে ৮৬ রানে ৯ উইকেট হারানো ভারতের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ১৮ বলে ভারতের দরকার ছিল ৩০ রান। ১৮তম ওভারে ১২ রান তুলে হারের আগে না হারার প্রত্যয় দেখানো ওয়াশিংটন শেষ পর্যন্ত আর পেরে ওঠেননি। পেরে ওঠেনি ভারতও। শেষ ওভারের ১৬ রানের সমীকরণ না মেলাতে পারা ভারত ম্যাচ হেরেছে ১৩ রানে, সফরকারীরা ১৯.৫ ওভারে অলআউট ১০২ রানে।

সিকান্দার রাজা ব্যাটিংয়ে কিছু করতে না পারলেও বল হাতে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন এই অলরাউন্ডার। ১৬ রান দিয়ে তার মতো ৩ উইকেট শিকার করেন তেন্দাই চাতারাও।

হারারেতে এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১১৫ রান করে জিম্বাবুয়ে। থিতু হলেও কোনো ব্যাটারই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। রবি বিষ্ণোই আর ওয়াশিংটন সুন্দরের স্পিন মায়াজালে আটকা পড়েন তারা। সর্বোচ্চ ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্লাইভ মাদানদে। এছাড়া ডিওন  মায়ার্স ২৩, ব্রায়ান বেনেট ২২ ও ওয়েসলি মাধেভেরে করেন ২১ রান।

ভারতের হয়ে  স্রেফ ১৩ রান খরচে ৪ উইকেট নেন বিষ্ণোই। ১১ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার সুন্দরের। এছাড়া আভেশ  খান ও মুকেশ কুমার নেন একটি করে উইকেট।