ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে মামলার ১৩ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অশোক কুমার দাস।
মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হচ্ছেন সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, মাহফুজ আলী, মোকাররম হোসেন সোহেল ও ইসমত আলী। ইসমত ও সোহেল পিতাপুত্র। এছাড়া আবদুল জব্বার, সিজার, ইদ্রিস আলী, বাবু, হারিছ, বকুল, লিমন, আবদুল্লাহ,শরীফ ও মিজানের যাবজ্জীবন হয়েছে।
দলীয় বিরোধে ২০১২ সালের ২১শে অক্টোবর নৃশংস হত্যাকান্ডের শিকার হন সরাইল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ কে এম ইকবাল আজাদ। এ ঘটনায় সরাইল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারন সম্পাদক মো: রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আবদুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই এ কে এম জাহাঙ্গীর আজাদ।
পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আখিতারা গ্রামের মো: সাদেক মিয়াসহ আরো ৭ জনের সম্পৃক্ততা বেড়িয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর চার্জশীট দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো: সাদেক মিয়া মারা যান।