Dhaka রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই কিন্তু অধীনতা চান না : নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই কিন্তু অধীনতা চান না। আমাদের প্রতিবেশী তো আর বদলানো যাবে না। তাই আমরা চাই বন্ধুত্ব। তার জন্য আমাদের প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, স্বার্থের ভিত্তি। সেটা যেন হয় তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ইসলামি আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতাবোধ আছে, কিন্তু সেটা তো আমাদের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু সেটাই যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, আমাদের জনগণের স্বার্থ যদি প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তাহলে ভালোবাসা আর থাকে না।

তিনি বলেন, যখনই আমাদের সরকার তিস্তা প্রকল্পে রাজি হবে তখনই বুঝতে হবে সরকার পানি বণ্টনের যে প্রসঙ্গ সেটা শেষ করে এসেছে। কারণ, তিস্তার পানি আসছে না বলেই এই প্রকল্প। আমরা যদি তিস্তার পানি পাই তাহলে তো আর আমাদের প্রকল্পের প্রয়োজন হচ্ছে না। তো আমরা যদি প্রকল্পের জন্য রাজি হয়ে যাই তাহলে ধরেই নিচ্ছি যে আমরা তিস্তার পানি পাচ্ছি না। ভারতের একটা রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, তার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি, তিনি মুখের ওপর বলেন, চিৎকার বলেন, চিঠি দিয়ে বলেন যে আমার রাজ্যের লোকের পানি দরকার। অতএব আপনি আমার সাথে কথা না বলে কোথাও পানি দেবেন না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা একটা আন্দোলন করেছি। ওই আন্দোলনে আমরা সবাই যুক্ত ছিলাম। কখনও যুগপৎ, কখনও যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন করছি। তবে দাবি কিন্তু আমাদের একটাই, সেটা হলো অনির্বাচিত এ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

তিনি বলেন, এমন একটি সরকার প্রয়োজন, জনগণের কাছে যার জবাবদিহি থাকবে। সে রকম একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন তীব্র লড়াই। যতটুকু ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা লড়াই করেছি, তার চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমার দেশ একটা স্বাধীন দেশ; তাহলে আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রী বা সরকার কেন জোর গলায় শক্ত করে বলতে পারে না যে আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে নদী প্রবাহিত হয় সেই নদীর প্রবাহ উজানে বন্ধ করার কোনো অধিকার কোনো দেশের নাই। আপনারা (ভারত) যেটা করছেন সেটা অন্যায় করছেন, সেটা ঠিক করেন নাই।

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউর রহমান গাজীর সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর, নায়েবে আমীর ফয়জুল করিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণফোরামে (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

দেশের বিচার ও আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন : শিল্প উপদেষ্টা

ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই কিন্তু অধীনতা চান না : নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশের সময় : ১০:৩১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুলাই ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চাই কিন্তু অধীনতা চান না। আমাদের প্রতিবেশী তো আর বদলানো যাবে না। তাই আমরা চাই বন্ধুত্ব। তার জন্য আমাদের প্রয়োজন পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস, স্বার্থের ভিত্তি। সেটা যেন হয় তা আমাদের চিন্তা করতে হবে।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ইসলামি আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতাবোধ আছে, কিন্তু সেটা তো আমাদের স্বাধীনতার জন্য। কিন্তু সেটাই যদি প্রশ্নবিদ্ধ হয়, আমাদের জনগণের স্বার্থ যদি প্রশ্নের সম্মুখীন হয় তাহলে ভালোবাসা আর থাকে না।

তিনি বলেন, যখনই আমাদের সরকার তিস্তা প্রকল্পে রাজি হবে তখনই বুঝতে হবে সরকার পানি বণ্টনের যে প্রসঙ্গ সেটা শেষ করে এসেছে। কারণ, তিস্তার পানি আসছে না বলেই এই প্রকল্প। আমরা যদি তিস্তার পানি পাই তাহলে তো আর আমাদের প্রকল্পের প্রয়োজন হচ্ছে না। তো আমরা যদি প্রকল্পের জন্য রাজি হয়ে যাই তাহলে ধরেই নিচ্ছি যে আমরা তিস্তার পানি পাচ্ছি না। ভারতের একটা রাজ্য হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, তার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন মমতা ব্যানার্জি, তিনি মুখের ওপর বলেন, চিৎকার বলেন, চিঠি দিয়ে বলেন যে আমার রাজ্যের লোকের পানি দরকার। অতএব আপনি আমার সাথে কথা না বলে কোথাও পানি দেবেন না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, কয়েকদিন আগে আমরা একটা আন্দোলন করেছি। ওই আন্দোলনে আমরা সবাই যুক্ত ছিলাম। কখনও যুগপৎ, কখনও যার যার অবস্থান থেকে আন্দোলন করছি। তবে দাবি কিন্তু আমাদের একটাই, সেটা হলো অনির্বাচিত এ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।

তিনি বলেন, এমন একটি সরকার প্রয়োজন, জনগণের কাছে যার জবাবদিহি থাকবে। সে রকম একটি সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন তীব্র লড়াই। যতটুকু ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা লড়াই করেছি, তার চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আমার দেশ একটা স্বাধীন দেশ; তাহলে আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রী বা সরকার কেন জোর গলায় শক্ত করে বলতে পারে না যে আন্তর্জাতিক নদী আইন অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মধ্যে যে নদী প্রবাহিত হয় সেই নদীর প্রবাহ উজানে বন্ধ করার কোনো অধিকার কোনো দেশের নাই। আপনারা (ভারত) যেটা করছেন সেটা অন্যায় করছেন, সেটা ঠিক করেন নাই।

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আতাউর রহমান গাজীর সঞ্চালনায় সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম চরমোনাই পীর, নায়েবে আমীর ফয়জুল করিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্য সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদিন, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, গণফোরামে (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।