Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেকোনও সময় সরকারের পতন ঘটতে পারে : শামসুজ্জামান দুদু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যেকোনও সময় সরকারের পতন ঘটতে পারে। এই ফ্যাসিবাদের পতন হতে পারে।

শুক্রবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও প্রকৌশলী ইশরাকসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যেকোনও সময় সরকারের পতন ঘটতে পারে। এই ফ্যাসিবাদের পতন হতে পারে। এত বড় লুণ্ঠনকারী, বেহায়া, স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও ক্ষমতায় আসেনি।

পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করেছে জানিয়ে দুদু বলেন, তারা (সরকার) এমন এক লোককে (বেনজির) পুলিশ প্রধান করেছিল, যিনি বাংলাদেশের এমন কোনও জায়গা নেই যে লুটপাট করেননি। নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ও তার পরিবার বিদেশে যেতে পারবে না। তারপরও এ সরকার তাকে বিদেশে যেতে দিয়েছে। আজিজকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিল। সে সেনাবাহিনীকে কলুষিত করেছে। এ ছাড়া দেশের ১০ থেকে ১২টি ব্যাংক ধ্বংস করে ফেলেছে সরকার।

তিনি বলেন, গায়ের জোরে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে যে ক্ষমতায় বসে আছে সেই সরকার বৈধ সরকার নয়। সেই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। কেয়ারটেকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে সেই সংকটের হাত থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের আলোচিত নেতা। বাংলাদেশের মানুষও যার ওপর নির্ভর করে। যিনি বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ দূর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন এই কথাটি বাংলাদেশের মানুষ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ বিশ্বাস করে। যাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সবকিছু প্রত্যাহার করে তার (তারেক রহমান) দেশে আসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।

হরিজনদের সম্পর্কে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যারা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার করে, সেই হরিজনদের এই সরকার উচ্ছেদ করেছে। এই পদক্ষেপ থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে দুদু বলেন, আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। তাকে মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ লজ্জিত হওয়ার কথা।

এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইসরাকসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিও জানান।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, কৃষক দলের সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

 

 

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

যেকোনও সময় সরকারের পতন ঘটতে পারে : শামসুজ্জামান দুদু

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যেকোনও সময় সরকারের পতন ঘটতে পারে। এই ফ্যাসিবাদের পতন হতে পারে।

শুক্রবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও প্রকৌশলী ইশরাকসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। যেকোনও সময় সরকারের পতন ঘটতে পারে। এই ফ্যাসিবাদের পতন হতে পারে। এত বড় লুণ্ঠনকারী, বেহায়া, স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনও ক্ষমতায় আসেনি।

পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করেছে জানিয়ে দুদু বলেন, তারা (সরকার) এমন এক লোককে (বেনজির) পুলিশ প্রধান করেছিল, যিনি বাংলাদেশের এমন কোনও জায়গা নেই যে লুটপাট করেননি। নিষেধাজ্ঞার কারণে তিনি ও তার পরিবার বিদেশে যেতে পারবে না। তারপরও এ সরকার তাকে বিদেশে যেতে দিয়েছে। আজিজকে সেনাবাহিনী প্রধান করেছিল। সে সেনাবাহিনীকে কলুষিত করেছে। এ ছাড়া দেশের ১০ থেকে ১২টি ব্যাংক ধ্বংস করে ফেলেছে সরকার।

তিনি বলেন, গায়ের জোরে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে যে ক্ষমতায় বসে আছে সেই সরকার বৈধ সরকার নয়। সেই সরকারকে অবশ্যই পদত্যাগ করতে হবে। কেয়ারটেকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের যে সংকট তৈরি হয়েছে সেই সংকটের হাত থেকে মুক্তির কোনো পথ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের আলোচিত নেতা। বাংলাদেশের মানুষও যার ওপর নির্ভর করে। যিনি বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ দূর করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন এই কথাটি বাংলাদেশের মানুষ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ বিশ্বাস করে। যাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সবকিছু প্রত্যাহার করে তার (তারেক রহমান) দেশে আসার ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।

হরিজনদের সম্পর্কে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, যারা ঢাকা শহরকে পরিষ্কার করে, সেই হরিজনদের এই সরকার উচ্ছেদ করেছে। এই পদক্ষেপ থেকে সরকারের সরে আসা উচিত।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানিয়ে দুদু বলেন, আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। তাকে মিথ্যা মামলায় তথাকথিত বিচারের নামে যে সাজা দেওয়া হয়েছে, তাতে বাংলাদেশ লজ্জিত হওয়ার কথা।

এ সময় তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইসরাকসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিও জানান।

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ নেছারুল হক, কৃষক দলের সহসভাপতি ভিপি ইব্রাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।