Dhaka সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গুলশানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশেরই এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কাউসার নামে অপর এক পুলিশ কনস্টেবলকে গুলশান থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে গুলশানে ঢাকাস্থ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন গণমাধ্যমকর্মী হাসান আহমেদ বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। এতে তাদের চালক গাড়ির গতি কমাতেই পুলিশের একজন সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময়ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। তবে কি নিয়ে এমন ঘটনা, তা তাৎক্ষণিক বুঝতে পারেননি, ঘটনা জানারও পরিস্থিতি ছিল না।

রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে গুলশান থানার ওসি গণমাধ্যমকে বলেন, সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। এই ঘটনায় পথচারী আহত হয়েছে বলে শুনেছেন। কিন্তু ওই পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকায় সামনের দিকে যেতে পারছেন না।

গুলি নিক্ষেপকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

গুলি করা এবং গুলির শিকার হয়ে নিহত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যের নামও জানা গেছে। তারা হলেন কনস্টেবল মনির এবং কনস্টেবল কাউসার। তবে আহত সাইকেল আরোহীর নাম জানা যায়নি।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্য পড়ে থাকার খবর পাওয়া মাত্র ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে রাত পৌনে ১২টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে এলোপাথাড়ি গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবল মারা গেছেন। গুলি করেছে কনস্টেবল কাউসার আহমেদ। তাকে নিরস্ত্র করে আমরা হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়েছি।’

‘একই ঘটনায় একজন সাইকেল আরোহী পথচারী ও আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি জাপানি দূতাবাসের চালক সাজ্জাদ হোসেন। কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের সমানের সড়কে ওই পুলিশ সদস্যের নিথর দেহ পড়ে আছে। পাশেই ছোপছোপ রক্তের দাগ। বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোন এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে সোয়াট টিম।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

গুলশানে পুলিশের গুলিতে পুলিশ সদস্য নিহত

প্রকাশের সময় : ১২:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর গুলশানে পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশেরই এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে কাউসার নামে অপর এক পুলিশ কনস্টেবলকে গুলশান থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) রাত ১২টার দিকে গুলশানে ঢাকাস্থ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন গণমাধ্যমকর্মী হাসান আহমেদ বলেন, তারা ডিউটি শেষ করে অফিসের গাড়িতে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের এক সদস্যকে পড়ে থাকতে দেখেন। এতে তাদের চালক গাড়ির গতি কমাতেই পুলিশের একজন সদস্য এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। তারা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময়ও বেশ কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান। তবে কি নিয়ে এমন ঘটনা, তা তাৎক্ষণিক বুঝতে পারেননি, ঘটনা জানারও পরিস্থিতি ছিল না।

রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে গুলশান থানার ওসি গণমাধ্যমকে বলেন, সম্ভবত মানসিক সমস্যার কারণে আমাদের এক কনস্টেবল আরেক কনস্টেবলকে গুলি করেছে। এই ঘটনায় পথচারী আহত হয়েছে বলে শুনেছেন। কিন্তু ওই পুলিশের হাতে অস্ত্র থাকায় সামনের দিকে যেতে পারছেন না।

গুলি নিক্ষেপকারী মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।

গুলি করা এবং গুলির শিকার হয়ে নিহত হওয়া দুই পুলিশ সদস্যের নামও জানা গেছে। তারা হলেন কনস্টেবল মনির এবং কনস্টেবল কাউসার। তবে আহত সাইকেল আরোহীর নাম জানা যায়নি।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম বলেন, ‘গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশ সদস্য পড়ে থাকার খবর পাওয়া মাত্র ঊর্ধ্বতনরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি যে রাত পৌনে ১২টার দিকে ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে উত্তর পাশের গার্ডরুমে এলোপাথাড়ি গুলিতে মনিরুল ইসলাম নামে এক কনস্টেবল মারা গেছেন। গুলি করেছে কনস্টেবল কাউসার আহমেদ। তাকে নিরস্ত্র করে আমরা হেফাজতে নিতে সক্ষম হয়েছি।’

‘একই ঘটনায় একজন সাইকেল আরোহী পথচারী ও আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি জাপানি দূতাবাসের চালক সাজ্জাদ হোসেন। কূটনৈতিক এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’

ঘটনাস্থলে সরেজমিনে দেখা যায়, ফিলিস্তিন দূতাবাসের সমানের সড়কে ওই পুলিশ সদস্যের নিথর দেহ পড়ে আছে। পাশেই ছোপছোপ রক্তের দাগ। বারিধারা ডিপ্লোম্যাটিক জোন এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে সোয়াট টিম।