Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ করে দিতেই এই বাজেট করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ করে দিতেই বাজেট করেছে সরকার। কারণ, রাগব-বোয়ালদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত।

শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাঙালির জাগরণে করণীয় ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণের কল্যাণে নয়, প্রতি মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। এ সময় এক ব্যক্তির অবদান ছাড়া অন্য কারও অবদান আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এক সাংবাদিক বললেন, ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন (এখানে প্রধানমন্ত্রী হবে) ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা হবে, এটা নাকি মাছের টোপ। দুর্নীতিবাজদের ধরার জন্য টোপ দিচ্ছে। আসলে এটা হাস্যকর। আপনার নিজেরাই এর সঙ্গে জড়িত। আপনি বাজেট দেখলেই বোঝতে পারবেন, রাঘববোয়ালদের লুট করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক বছর একই ব্যবস্থা করে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করবে না। এসব কথা বলে একটা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে মানুষের সঙ্গে আর কতদিন প্রতারণা করবেন?

সিরাজুল আলম খান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রামের যে চালিকা শক্তি সেখানে তিনি কাজ করেছেন। আমি ভিন্ন রাজনীতি করেছি, তিনি ভিন্ন রাজনীতি করেছেন কিন্তু তার যে অবদান সেটা কখনও অস্বীকার করা যাবে না। যারা অস্বীকার করতে চায় তারা আসলে বাংলাদেশে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়।

সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ থেকে কোনো শোকবার্তা দেয়া হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কত বড় অকৃতজ্ঞ হলে একটি দল তার মূল চালিকার মধ্যে ছিলেন, তাকে পর্যন্ত স্মরণ করেনি। শুধু সিরাজুল আলম খানই নন, একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারে না। যারা প্রত্যেককে স্বাধীনতার সংগ্রামে কাজ করেছে আজকের এই ৫৩ বছরে তাদের অস্বীকার করাটা অকৃতজ্ঞ ছাড়া আর কিছু নয়।

বাংলাদেশে স্বাধীনতাকে বিকৃতি করা হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি দল একজন ব্যক্তির অবদান ছাড়া আর কারও কোনো অবদান স্বীকার কারতে চায় না। এ জন্য তারা বাংলাদেশ স্বাধীনতার পেছনে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে অবলীলায় অস্বীকার করে। শুধু অস্বীকার করে না, তাদের তারা ছোট করে কথা বলে। একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকেও সহ্য করতে পারে না।

বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যেখানে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। এমন একটি শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে যারা দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন দূরে থাক, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন থেকে বহু দূরে বাংলাদেশকে ছিটকে ফেলে দিয়েছে। শাসকগোষ্ঠী এখন মানুষের কল্যাণে কাজ করছে না, তারা শোষণ ও নির্যাতন করছে।

দল মত নির্বিশেষে সবাইকে একসাথে হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা, যে স্বপ্ন ছিল সেগুলোকে বাস্তবায়িত করতে, আমরা সবাই আবার এক জোট হয়ে লড়াই শুরু করি। যে লড়াইয়ে অবশ্যই আমরা তাদের পরাজিত করতে সক্ষম হবো।

আজকে সবাই দেশের ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে আমরা একসাথে কাজ করছি। বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর সঙ্কটে ভূপাতিত হয়েছে। এ দেশের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। এমন একটা গোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা বসে আছে, যারা দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে।

এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন থেকে দূরে ছিটকে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের উন্নয়ন দূরে থাক, তারা মানুষকে নিগৃহ করছে, নির্যাতন করছে। প্রতি মুহূর্তে তারা দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ করে দিতেই এই বাজেট করেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশের সময় : ০৪:৫৯:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাঘব-বোয়ালদের লুটে খাওয়ার সুযোগ করে দিতেই বাজেট করেছে সরকার। কারণ, রাগব-বোয়ালদের সঙ্গে ক্ষমতাসীনরাই জড়িত।

শনিবার (৮ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাঙালির জাগরণে করণীয় ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারা (আওয়ামী লীগ) জনগণের কল্যাণে নয়, প্রতি মুহূর্তে দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে ফেলেছে। এ সময় এক ব্যক্তির অবদান ছাড়া অন্য কারও অবদান আওয়ামী লীগ স্বীকার করতে চায় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের এক সাংবাদিক বললেন, ওবায়দুল কাদের গতকাল বলেছেন (এখানে প্রধানমন্ত্রী হবে) ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা সাদা করা হবে, এটা নাকি মাছের টোপ। দুর্নীতিবাজদের ধরার জন্য টোপ দিচ্ছে। আসলে এটা হাস্যকর। আপনার নিজেরাই এর সঙ্গে জড়িত। আপনি বাজেট দেখলেই বোঝতে পারবেন, রাঘববোয়ালদের লুট করে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক বছর একই ব্যবস্থা করে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করবে না। এসব কথা বলে একটা ধূম্রজাল সৃষ্টি করে মানুষের সঙ্গে আর কতদিন প্রতারণা করবেন?

সিরাজুল আলম খান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের মুক্তির সংগ্রামের যে চালিকা শক্তি সেখানে তিনি কাজ করেছেন। আমি ভিন্ন রাজনীতি করেছি, তিনি ভিন্ন রাজনীতি করেছেন কিন্তু তার যে অবদান সেটা কখনও অস্বীকার করা যাবে না। যারা অস্বীকার করতে চায় তারা আসলে বাংলাদেশে স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়।

সিরাজুল আলম খানের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ থেকে কোনো শোকবার্তা দেয়া হয়নি জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কত বড় অকৃতজ্ঞ হলে একটি দল তার মূল চালিকার মধ্যে ছিলেন, তাকে পর্যন্ত স্মরণ করেনি। শুধু সিরাজুল আলম খানই নন, একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকে সহ্য করতে পারে না। যারা প্রত্যেককে স্বাধীনতার সংগ্রামে কাজ করেছে আজকের এই ৫৩ বছরে তাদের অস্বীকার করাটা অকৃতজ্ঞ ছাড়া আর কিছু নয়।

বাংলাদেশে স্বাধীনতাকে বিকৃতি করা হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একটি দল একজন ব্যক্তির অবদান ছাড়া আর কারও কোনো অবদান স্বীকার কারতে চায় না। এ জন্য তারা বাংলাদেশ স্বাধীনতার পেছনে যারা কাজ করছেন তাদের সবাইকে অবলীলায় অস্বীকার করে। শুধু অস্বীকার করে না, তাদের তারা ছোট করে কথা বলে। একই কারণে তারা জিয়াউর রহমানকেও সহ্য করতে পারে না।

বাংলাদেশ একটি ভয়াবহ সংকটের মধ্যে পড়ে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, যেখানে বাংলাদেশের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন। এমন একটি শাসকগোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছে যারা দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন বাস্তবায়ন দূরে থাক, মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন থেকে বহু দূরে বাংলাদেশকে ছিটকে ফেলে দিয়েছে। শাসকগোষ্ঠী এখন মানুষের কল্যাণে কাজ করছে না, তারা শোষণ ও নির্যাতন করছে।

দল মত নির্বিশেষে সবাইকে একসাথে হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের যে চেতনা, যে স্বপ্ন ছিল সেগুলোকে বাস্তবায়িত করতে, আমরা সবাই আবার এক জোট হয়ে লড়াই শুরু করি। যে লড়াইয়ে অবশ্যই আমরা তাদের পরাজিত করতে সক্ষম হবো।

আজকে সবাই দেশের ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি চায় জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সবাই মিলে আমরা একসাথে কাজ করছি। বাংলাদেশ একটি ভয়ঙ্কর সঙ্কটে ভূপাতিত হয়েছে। এ দেশের অস্তিত্ব আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। এমন একটা গোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা বসে আছে, যারা দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে।

এ সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন থেকে দূরে ছিটকে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষের উন্নয়ন দূরে থাক, তারা মানুষকে নিগৃহ করছে, নির্যাতন করছে। প্রতি মুহূর্তে তারা দেশের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করছে।

জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রবের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, ভাষানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব প্রমুখ।