Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফাঁকা জায়গা পেয়ে হাট বসালে সংশ্লিষ্টদের আটক করা হবে : ডিএমপি কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে অনুমোদন ছাড়া ফাঁকা জায়গায় হাট বসালে পশু জব্দ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। ফাঁকা জায়গা পেয়ে হাট বসালে সংশ্লিষ্টদের আটক করা হবে।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটে ঢাকা মহানগর পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সব ইজারাদারকে বলে দিয়েছি, তারা যে এলাকায় হাট করবে সেখানে যদি কোনো সংলগ্ন রাস্তা থেকে থাকে, কোনো অবস্থায় যেন গরু রাস্তার ওপরে না আসে। রাস্তার ওপর ট্রাক থেকে যেন গরু নামানো না হয়। হাটের সীমানা বাঁশের বেড়া দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে।

তিনি বলেন, যদি সেটি না করে বা বাইরে হাট বসায় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি মনে করি, অন্যান্যবার যা হয়েছে এবার সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এবার পুলিশের পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। পাশাপাশি সাইবার টহলও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভেতরে পশুর হাটে যারা (স্বেচ্ছাসেবীসহ হাট ইজারাদার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কাজ করবেন তাদের সমন্বয় থাকবে। পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে। হাট ও হাটের আশপাশে এমন অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যক্তি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি জাল টাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা তাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন পশুর হাটগুলোতে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা গরু কেনা বেচা করবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি যারা ঢাকার বাইরে থেকে ট্রাকে গরু আনবেন তাদের হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পথে যারা গরু আনবেন তাদের জন্য নৌ পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও পশুর হাটগুলোতে ড্রোন পেট্রোলিং থাকবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, পশুর হাটগুলোতে ইজারাদাররা যেন নির্ধারিত টাকার পরিমাণের বাইরে অতিরিক্ত হাশিল আদায় না করেন। রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে।

তিনি বলেন, যদি কেউ এক হাটের কোরবানির পশু অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করেন, পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকার বাইরে থেকে যে গাড়িতে কোরবানির পশু আনবেন ব্যবসায়ীরা তারা গাড়ির সামনে নির্দিষ্ট হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশু হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। হাটের বাইরে কোনোভাবেই রাস্তায় পশু নিয়ে বসা যাবে না। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।

এছাড়াও কোরবানির পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

সরাসরি পশুর হাটের পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে পশু কিনছেন অনেক ক্রেতারাই। তাদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আমাদের সাইবার টিম অনলাইনের গরুর হাট মনিটরিং করবে। পাশাপাশি আপনারাও অনলাইনে গরু সতর্কতার সঙ্গে জেনে বুঝে কিনবেন।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান এবং উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবেক মন্ত্রী দস্তগীরের ৪০০ কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ফাঁকা জায়গা পেয়ে হাট বসালে সংশ্লিষ্টদের আটক করা হবে : ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশের সময় : ০৪:২০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে অনুমোদন ছাড়া ফাঁকা জায়গায় হাট বসালে পশু জব্দ করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। ফাঁকা জায়গা পেয়ে হাট বসালে সংশ্লিষ্টদের আটক করা হবে।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে পশুর হাটে ঢাকা মহানগর পুলিশের গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সব ইজারাদারকে বলে দিয়েছি, তারা যে এলাকায় হাট করবে সেখানে যদি কোনো সংলগ্ন রাস্তা থেকে থাকে, কোনো অবস্থায় যেন গরু রাস্তার ওপরে না আসে। রাস্তার ওপর ট্রাক থেকে যেন গরু নামানো না হয়। হাটের সীমানা বাঁশের বেড়া দিয়ে চিহ্নিত করে রাখবে।

তিনি বলেন, যদি সেটি না করে বা বাইরে হাট বসায় তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আমি মনে করি, অন্যান্যবার যা হয়েছে এবার সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এবার পুলিশের পোশাকে ও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। পাশাপাশি সাইবার টহলও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার ভেতরে পশুর হাটে যারা (স্বেচ্ছাসেবীসহ হাট ইজারাদার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) কাজ করবেন তাদের সমন্বয় থাকবে। পশুর হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে। হাট ও হাটের আশপাশে এমন অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যক্তি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি জাল টাকার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা তাদের জাল টাকা শনাক্তকরণ মেশিন পশুর হাটগুলোতে রাখবেন বলে জানিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা গরু কেনা বেচা করবেন তাদের নিরাপত্তার জন্য গোয়েন্দা পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি যারা ঢাকার বাইরে থেকে ট্রাকে গরু আনবেন তাদের হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পথে যারা গরু আনবেন তাদের জন্য নৌ পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবে। এছাড়াও পশুর হাটগুলোতে ড্রোন পেট্রোলিং থাকবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, পশুর হাটগুলোতে ইজারাদাররা যেন নির্ধারিত টাকার পরিমাণের বাইরে অতিরিক্ত হাশিল আদায় না করেন। রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাটগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে।

তিনি বলেন, যদি কেউ এক হাটের কোরবানির পশু অন্য হাটে নেওয়ার চেষ্টা করেন, পুলিশ এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকার বাইরে থেকে যে গাড়িতে কোরবানির পশু আনবেন ব্যবসায়ীরা তারা গাড়ির সামনে নির্দিষ্ট হাটের নাম লিখে ব্যানার টানাবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশু হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। হাটের বাইরে কোনোভাবেই রাস্তায় পশু নিয়ে বসা যাবে না। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।

এছাড়াও কোরবানির পশুর হাটে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।

সরাসরি পশুর হাটের পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে অনলাইনে পশু কিনছেন অনেক ক্রেতারাই। তাদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আমাদের সাইবার টিম অনলাইনের গরুর হাট মনিটরিং করবে। পাশাপাশি আপনারাও অনলাইনে গরু সতর্কতার সঙ্গে জেনে বুঝে কিনবেন।

এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দীন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান এবং উপ-পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত উপ-কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।