Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিয়াদের চোখে শান্ত অধিনায়ক হিসেবে ভালো

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতে, অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল শান্ত খুব ভালো। তিনি ম্যাচ বোঝেন, টেম্পারমেন্ট ভালো। এখন তাকে বাকি ক্রিকেটারদের সমর্থন দিতে হবে ও সহায়তা করতে হবে।

বিসিবির ভিডিও বার্তায় রিয়াদ বলেন, সে খুব ভালো নেতা, ভালো অধিনায়ক। ওর গেম সেন্স, টেম্পারমেন্ট খুব ভালো। অল্প কিছু দিন ওকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওকে সময় দিতে হবে। ওর যে নেতৃত্বগুন আমি আশা করি ওর অধীনে দল ভালো করবে। বিশ্বকাপে দল হিসেবে আমরা ভালো শুরু পেলে পরবর্তীতে ভালো করবো আশা করি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ছিলেন না। এমনকি ভারতে গত বছরের শেষে অনুষ্ঠিত পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপেও অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। যদিও আসরে দলের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি রিয়াদের ব্যাট থেকেই এসেছে। তিনি মনে করেন, গত টি-২০ বিশ্বকাপে তার জায়গা পাওয়া উচিত ছিল। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ নেই ডানহাতি এই ব্যাটারের।

তিনি বলেন, জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করা সব সময় বিশেষ কিছু। আমার ক্যারিয়ার জুড়ে কম-বেশি স্ট্রাগল ছিল। আমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করি, আল্লাহ সেরা পরিকল্পনাকারী। গত টি-২০ বিশ্বকাপে ছিলাম না, খারাপ লেগেছে। মনে হয়েছিল- দলে থাকতে পারতাম। যদিও ওটার জন্য কোন আক্ষেপ নেই। দলের জন্য সামর্থ্য, অভিজ্ঞতা সবটা নিঙড়ে দিতে চাই।’

মাহমুদউল্লাহ বলেন, সুযোগ সবসময় থাকে, কখনও আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। ইনশাআল্লাহ হয়তো এবার আমরা ভালো কিছু করব। ট্রফি জিনিসটা এটা আমার মনে হয় যে, একটু ভাগ্যেরও সাহায্য লাগে। আমরা কয়েকটা ইভেন্টে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। তবে, দুর্ভাগ্যজনক আমরা পারিনি। আমাদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপে। আমাদের সমর্থন করুন, বিশ্বকাপে যা সম্ভব সবই করব আমরা।

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে খেলতে যায় বাংলাদেশ। যদিও মূল পর্বের সব ম্যাচ হেরে যায়। পারফরম্যান্সের অবনতিতে সুযোগ হয়নি পরের বছর ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে নিজের ফর্ম ফিরিয়ে ২০২৪ সালের বিশ্বকাপের দলেও ফিরেছেন রিয়াদ।

নিজের এই লড়াই নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে না থেকে খুবই খারাপ লেগেছিল। মনে হয়েছিল আমি দলে থাকতে পারতাম। কিন্তু কোনো কারণে হয়নি। সেটার জন্য আমার কোনো আফসোসও নেই। সবসময় যেটা বলি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। সবসময় নিজের সর্বোচ্চটাই নিংড়ে দেই। ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য যদি অর্জন হয় ওটাতেই খুশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলা যায় না, যেকোনো কিছু হতে পারে। আমাদের যেমন প্রস্তুতি দেখা যাকৃসব কিছু নির্ভর করছি কীভাবে আমরা শুরু করছি। শুরুটা ভালো হলে অনেক দূর যাব।

বাংলাদেশ এখনো জিতেনি বড় কোনো ট্রফি। এর মাঝে ভাগ্যের কিছুটা সহায়তাও খুঁজছেন মাহমুদউল্লাহ, ট্রফি জিততে আমার মনে হয় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটি মেগা ইভেন্টে হয়তো খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এখন আরেকটি সুযোগ সামনে। সমর্থন আছে ইনশা আল্লাহ। যা যা করা সম্ভব আমরা করব।

নিজের ক্রিকেটে আসার পেছনের গল্প বলতে গিয়ে বড় ভাইকে স্মরণ করলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার আপন ভাই, উনি ক্রিকেট খেলতেন। ওনার হাত ধরেই আমার পথচলা। আমার ছোটবেলার পথচলা শুরু। আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি—সবকিছুই উনার মাধ্যমে। ভাইয়াই সব সময় আমার অনুপ্রেরণা ছিল।’

ভালো লাগার খেলোয়াড়দের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘সাঈদ আনোয়ারের খেলা খুব ভালো লাগত, যখন আস্তে আস্তে খেলা বুঝতে শুরু করেছি। এমএস ধোনির খেলা খুব ভালো লাগে। আমি তার অনেক বড় ভক্ত। উনার টেম্পারামেন্ট এবং শান্ত মেজাজ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই জিনিসগুলো আমার খুব ভালো লাগে।’
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। ৫০টি টেস্ট, ২৩২টি ওয়ানডে ও ১৩১টি টি-টুয়েন্টি খেলার বিশাল অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে। মার্কিন মুলুকে এবারের বিশ্বকাপেও তাকে ঘিরে রয়েছে বড় প্রত্যাশা।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

রিয়াদের চোখে শান্ত অধিনায়ক হিসেবে ভালো

প্রকাশের সময় : ০৪:১৯:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

বাংলাদেশ জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতে, অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল শান্ত খুব ভালো। তিনি ম্যাচ বোঝেন, টেম্পারমেন্ট ভালো। এখন তাকে বাকি ক্রিকেটারদের সমর্থন দিতে হবে ও সহায়তা করতে হবে।

বিসিবির ভিডিও বার্তায় রিয়াদ বলেন, সে খুব ভালো নেতা, ভালো অধিনায়ক। ওর গেম সেন্স, টেম্পারমেন্ট খুব ভালো। অল্প কিছু দিন ওকে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওকে সময় দিতে হবে। ওর যে নেতৃত্বগুন আমি আশা করি ওর অধীনে দল ভালো করবে। বিশ্বকাপে দল হিসেবে আমরা ভালো শুরু পেলে পরবর্তীতে ভালো করবো আশা করি।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে ছিলেন না। এমনকি ভারতে গত বছরের শেষে অনুষ্ঠিত পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপেও অনিশ্চিত ছিলেন তিনি। যদিও আসরে দলের হয়ে একমাত্র সেঞ্চুরি রিয়াদের ব্যাট থেকেই এসেছে। তিনি মনে করেন, গত টি-২০ বিশ্বকাপে তার জায়গা পাওয়া উচিত ছিল। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ নেই ডানহাতি এই ব্যাটারের।

তিনি বলেন, জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করা সব সময় বিশেষ কিছু। আমার ক্যারিয়ার জুড়ে কম-বেশি স্ট্রাগল ছিল। আমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস করি, আল্লাহ সেরা পরিকল্পনাকারী। গত টি-২০ বিশ্বকাপে ছিলাম না, খারাপ লেগেছে। মনে হয়েছিল- দলে থাকতে পারতাম। যদিও ওটার জন্য কোন আক্ষেপ নেই। দলের জন্য সামর্থ্য, অভিজ্ঞতা সবটা নিঙড়ে দিতে চাই।’

মাহমুদউল্লাহ বলেন, সুযোগ সবসময় থাকে, কখনও আমাদের চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। ইনশাআল্লাহ হয়তো এবার আমরা ভালো কিছু করব। ট্রফি জিনিসটা এটা আমার মনে হয় যে, একটু ভাগ্যেরও সাহায্য লাগে। আমরা কয়েকটা ইভেন্টে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। তবে, দুর্ভাগ্যজনক আমরা পারিনি। আমাদের জন্য একটি সুযোগ রয়েছে বিশ্বকাপে। আমাদের সমর্থন করুন, বিশ্বকাপে যা সম্ভব সবই করব আমরা।

২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে খেলতে যায় বাংলাদেশ। যদিও মূল পর্বের সব ম্যাচ হেরে যায়। পারফরম্যান্সের অবনতিতে সুযোগ হয়নি পরের বছর ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। তবে নিজের ফর্ম ফিরিয়ে ২০২৪ সালের বিশ্বকাপের দলেও ফিরেছেন রিয়াদ।

নিজের এই লড়াই নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে না থেকে খুবই খারাপ লেগেছিল। মনে হয়েছিল আমি দলে থাকতে পারতাম। কিন্তু কোনো কারণে হয়নি। সেটার জন্য আমার কোনো আফসোসও নেই। সবসময় যেটা বলি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে দলের জন্য অবদান রাখতে চাই। সবসময় নিজের সর্বোচ্চটাই নিংড়ে দেই। ব্যক্তিগত লক্ষ্য নিয়ে চিন্তা করি না। দলের লক্ষ্য যদি অর্জন হয় ওটাতেই খুশি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলা যায় না, যেকোনো কিছু হতে পারে। আমাদের যেমন প্রস্তুতি দেখা যাকৃসব কিছু নির্ভর করছি কীভাবে আমরা শুরু করছি। শুরুটা ভালো হলে অনেক দূর যাব।

বাংলাদেশ এখনো জিতেনি বড় কোনো ট্রফি। এর মাঝে ভাগ্যের কিছুটা সহায়তাও খুঁজছেন মাহমুদউল্লাহ, ট্রফি জিততে আমার মনে হয় ভাগ্যেরও একটু সহায়তা লাগে। আমরা কয়েকটি মেগা ইভেন্টে হয়তো খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা পারিনি। এখন আরেকটি সুযোগ সামনে। সমর্থন আছে ইনশা আল্লাহ। যা যা করা সম্ভব আমরা করব।

নিজের ক্রিকেটে আসার পেছনের গল্প বলতে গিয়ে বড় ভাইকে স্মরণ করলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার আপন ভাই, উনি ক্রিকেট খেলতেন। ওনার হাত ধরেই আমার পথচলা। আমার ছোটবেলার পথচলা শুরু। আমার ক্রিকেটের হাতেখড়ি—সবকিছুই উনার মাধ্যমে। ভাইয়াই সব সময় আমার অনুপ্রেরণা ছিল।’

ভালো লাগার খেলোয়াড়দের কথা বলতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘সাঈদ আনোয়ারের খেলা খুব ভালো লাগত, যখন আস্তে আস্তে খেলা বুঝতে শুরু করেছি। এমএস ধোনির খেলা খুব ভালো লাগে। আমি তার অনেক বড় ভক্ত। উনার টেম্পারামেন্ট এবং শান্ত মেজাজ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। এই জিনিসগুলো আমার খুব ভালো লাগে।’
২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় মাহমুদউল্লাহর। ৫০টি টেস্ট, ২৩২টি ওয়ানডে ও ১৩১টি টি-টুয়েন্টি খেলার বিশাল অভিজ্ঞতা তার ঝুলিতে। মার্কিন মুলুকে এবারের বিশ্বকাপেও তাকে ঘিরে রয়েছে বড় প্রত্যাশা।