Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপার ওভারে ওমানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় নামিবিয়ার

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুর্দান্ত এক থ্রিলার ম্যাচের সাক্ষী হলো বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভাল। যেখানে টাই হওয়া ম্যাচের পর সুপার ওভারে ওমানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় নামিবিয়া। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ফিরল অতীত এক স্মৃতি। সবশেষ ১২ বছর আগে এমন টাই দেখেছিল শর্টার ফরম্যাটের বিশ্বকাপ।

নামিবিয়ার ইনিংসের শেষ ওভার থেকেই রোমাঞ্চের শুরু। শেষ ওভারে দলটির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। ওভারের প্রথম বলেই ইয়ান ফ্রাইলিংককে বোল্ড করেন ওমানের পেসার মেহরান খান। তৃতীয় বলে জেন গ্রিনকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন মেহরান। শেষ বলে যখন ২ রান দরকার, তখন ডেভিড ভিজে কাট করতে গেলে বল মিস করেন। ওমানের উইকেটরক্ষক নাসিম খুশি প্রথমে বল তালুবন্দী করতে পারেননি। এমনকি যে রান আউট করলে ম্যাচ ‘খুশি’ মনে ওমান জিতে যেত, সেটা করতেও ব্যর্থ দলটির উইকেটরক্ষক। ভিজে এক রান নিলে নামিবিয়ার স্কোর হয়েছে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৯ রান।

রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় বলেই মাইকেল ফন লিংগেনকে হারায় নামিবিয়া। শুরুর এই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন নিকোলাস ডাভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক। নবম ওভারে আকিবের বল খেলতে গিয়ে নাদিমের ক্যাচে ডাভিন ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। ৩১ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন নামিবিয়া ব্যাটার। এরপর এরাসমান নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। আয়ানের বলে তিনি ক্যাচ তুলে দেন জিসানের হাতে। ১৬ বলে ১৩ রান করেন নামিবিয়া অধিনায়ক।

পাঁচে নামা জেজে স্মিতও অবশ্য টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মেহরানের বল ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি তিনি। আয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৮ রানেই। এদিকে একপ্রান্ত সামলে লড়তে থাকেন ফ্রাইলিঙ্ক। তবে ফিফটি স্পর্শ করা হয়নি তার। শেষ ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। শেষ হয় তার ৪৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।

শেষ ৫ বলে নামিবিয়ার দরকার ছিল ৫ রান। ওভারের প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে কোনো রান দেননি মেহরান খান। তৃতীয় বলে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টা করতে গিলে এলবিডব্লিউ হন ইয়ান গ্রিন। মেহরানের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি নামিবিয়ার। চতুর্থ বলে এক রান পায় তারা। স্ট্রাইকে থাকা ভিসে পঞ্চম বলে জোরে ব্যাট চালালেও বল লাগে অপরপাশের স্ট্যাম্পে। দুই রান নিয়ে তিনি পান আবারও স্ট্রাইক। শেষ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ভিসে। তবে দৌড়ে এক রান নেন তিনি। উইকেটরক্ষক স্ট্যাম্পে বল লাগাতেই পারেননি। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে বল করতে আসেন বিলাল খান। আগে ব্যাট করতে নেমে ২১ রান নেয় নামিবিয়া। ভিসে ৪ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় নেন ১৩ রান। আর দুই বলে ২ চারে ৮ রান নেন এরাসমাস। বোলিংয়ে এসেও আলো ছড়ান ভিসে। সুপার ওভারে তিনি ১ উইকেট নিয়ে দেন ১০ রান। জেতান দলকেও।

টস হেরে ওমানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় তারা। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে ওমান। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে সমান রান করে নামিবিয়া। পরে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ব্যাট ও বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে জেতান ডেভিড ভিসে।

প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলেই উইকেট হারিয়ে ইনিংস শুরু করে ওমান। রুবেন ট্রাম্পেলম্যানের প্রথম বল খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন কাশ্যপ প্রজাপতি। দ্বিতীয় বলে একইভাবে আউট হন আকিব ইলিয়াস। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি ওমানের। তৃতীয় উইকেটটিও শিকার করেন নামিবিয়ার এই বোলার। তৃতীয় ওভারে তার বলে এরাসমাসের হাতে ক্যাচ তুলে নাসিম খুশি বিদায় নেন ৬ রানে।

চতুর্থ উইকেটে কিছুক্ষণ লড়াই করেন জিসান ও খলিল। ২৪ বলে তাদের গড়া ২৭ রানের জুটিটি ভাঙেন স্কলটজ। ২০ বলে ২২ রান করে তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন জিসান। এরপর আয়ান খানের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরার চেষ্টা করেন খলিল। কিন্তু আয়ান ১৫ রানে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। কিছুক্ষণ পর লড়ে থাকা খলিল ডেভিড ভিসের বল তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন। ৩৯ বলে ৩৪ রান করে খলিলের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে ওমান। দলটি গুটিয়ে যায় অল্প রানেই।

নামিবিয়ার হয়ে দারুণ বোলিং করেন ট্রাম্পেলম্যান। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় তিনি নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ৩.৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ভিসে। জোড়া উইকেট পান এরাসমাস। একটি উইকেট নেন স্কলটজ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সুপার ওভারে ওমানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় নামিবিয়ার

প্রকাশের সময় : ০২:৩০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুর্দান্ত এক থ্রিলার ম্যাচের সাক্ষী হলো বার্বাডোসের কেনসিংটন ওভাল। যেখানে টাই হওয়া ম্যাচের পর সুপার ওভারে ওমানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় নামিবিয়া। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে ফিরল অতীত এক স্মৃতি। সবশেষ ১২ বছর আগে এমন টাই দেখেছিল শর্টার ফরম্যাটের বিশ্বকাপ।

নামিবিয়ার ইনিংসের শেষ ওভার থেকেই রোমাঞ্চের শুরু। শেষ ওভারে দলটির জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান, হাতে ছিল ৬ উইকেট। ওভারের প্রথম বলেই ইয়ান ফ্রাইলিংককে বোল্ড করেন ওমানের পেসার মেহরান খান। তৃতীয় বলে জেন গ্রিনকে এলবিডব্লুর ফাদে ফেলেন মেহরান। শেষ বলে যখন ২ রান দরকার, তখন ডেভিড ভিজে কাট করতে গেলে বল মিস করেন। ওমানের উইকেটরক্ষক নাসিম খুশি প্রথমে বল তালুবন্দী করতে পারেননি। এমনকি যে রান আউট করলে ম্যাচ ‘খুশি’ মনে ওমান জিতে যেত, সেটা করতেও ব্যর্থ দলটির উইকেটরক্ষক। ভিজে এক রান নিলে নামিবিয়ার স্কোর হয়েছে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৯ রান।

রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় বলেই মাইকেল ফন লিংগেনকে হারায় নামিবিয়া। শুরুর এই ধাক্কা সামলে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন নিকোলাস ডাভিন ও ইয়ান ফ্রাইলিঙ্ক। নবম ওভারে আকিবের বল খেলতে গিয়ে নাদিমের ক্যাচে ডাভিন ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি। ৩১ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন নামিবিয়া ব্যাটার। এরপর এরাসমান নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। আয়ানের বলে তিনি ক্যাচ তুলে দেন জিসানের হাতে। ১৬ বলে ১৩ রান করেন নামিবিয়া অধিনায়ক।

পাঁচে নামা জেজে স্মিতও অবশ্য টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। মেহরানের বল ঠিকঠাক টাইমিং করতে পারেননি তিনি। আয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ৮ রানেই। এদিকে একপ্রান্ত সামলে লড়তে থাকেন ফ্রাইলিঙ্ক। তবে ফিফটি স্পর্শ করা হয়নি তার। শেষ ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। শেষ হয় তার ৪৮ বলে ৪৫ রানের ইনিংস।

শেষ ৫ বলে নামিবিয়ার দরকার ছিল ৫ রান। ওভারের প্রথম বলে উইকেট নেওয়ার পর দ্বিতীয় বলে কোনো রান দেননি মেহরান খান। তৃতীয় বলে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টা করতে গিলে এলবিডব্লিউ হন ইয়ান গ্রিন। মেহরানের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি নামিবিয়ার। চতুর্থ বলে এক রান পায় তারা। স্ট্রাইকে থাকা ভিসে পঞ্চম বলে জোরে ব্যাট চালালেও বল লাগে অপরপাশের স্ট্যাম্পে। দুই রান নিয়ে তিনি পান আবারও স্ট্রাইক। শেষ বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি ভিসে। তবে দৌড়ে এক রান নেন তিনি। উইকেটরক্ষক স্ট্যাম্পে বল লাগাতেই পারেননি। ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

সুপার ওভারে বল করতে আসেন বিলাল খান। আগে ব্যাট করতে নেমে ২১ রান নেয় নামিবিয়া। ভিসে ৪ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় নেন ১৩ রান। আর দুই বলে ২ চারে ৮ রান নেন এরাসমাস। বোলিংয়ে এসেও আলো ছড়ান ভিসে। সুপার ওভারে তিনি ১ উইকেট নিয়ে দেন ১০ রান। জেতান দলকেও।

টস হেরে ওমানকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় তারা। আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৪ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে ওমান। জবাব দিতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে সমান রান করে নামিবিয়া। পরে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে ব্যাট ও বলে নৈপুণ্য দেখিয়ে দলকে জেতান ডেভিড ভিসে।

প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলেই উইকেট হারিয়ে ইনিংস শুরু করে ওমান। রুবেন ট্রাম্পেলম্যানের প্রথম বল খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন কাশ্যপ প্রজাপতি। দ্বিতীয় বলে একইভাবে আউট হন আকিব ইলিয়াস। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি ওমানের। তৃতীয় উইকেটটিও শিকার করেন নামিবিয়ার এই বোলার। তৃতীয় ওভারে তার বলে এরাসমাসের হাতে ক্যাচ তুলে নাসিম খুশি বিদায় নেন ৬ রানে।

চতুর্থ উইকেটে কিছুক্ষণ লড়াই করেন জিসান ও খলিল। ২৪ বলে তাদের গড়া ২৭ রানের জুটিটি ভাঙেন স্কলটজ। ২০ বলে ২২ রান করে তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে বিদায় নেন জিসান। এরপর আয়ান খানের সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরার চেষ্টা করেন খলিল। কিন্তু আয়ান ১৫ রানে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। কিছুক্ষণ পর লড়ে থাকা খলিল ডেভিড ভিসের বল তার হাতেই ক্যাচ তুলে দেন। ৩৯ বলে ৩৪ রান করে খলিলের বিদায়ের পর দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে ওমান। দলটি গুটিয়ে যায় অল্প রানেই।

নামিবিয়ার হয়ে দারুণ বোলিং করেন ট্রাম্পেলম্যান। ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় তিনি নেন ৪ উইকেট। এছাড়া ৩.৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ভিসে। জোড়া উইকেট পান এরাসমাস। একটি উইকেট নেন স্কলটজ।