Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় নিজ বাসায় ছেলে বিষ্ণু সরকারের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বাবা উমেশ সরকার (৬৫)।

সোমবার (২৭ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উমেশ সরকারের নাতি আকাশ সরকার জানান, আমার বাবা দাদার উপরে নির্যাতন করতেন। বাবা দুই বিয়ে করেছেন। আরেকটি বিয়ে করার জন্য দাদাকে চাপ দেন। এ নিয়ে দাদা আমার বাবাকে বকাঝকা করলে বাবা উত্তেজিত হয়ে দাদাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, আমার মামা বিষ্ণু মাদকাসক্ত। পরিবারের কাউকেই সে সহ্য করতে পারতো না। বোনদেরকেও তাদের বাড়িতে যেতে নিষেধ করতো। এ ঘটনার পর থেকে বিষ্ণু পলাতক। ১ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক উমেশ চন্দ্র সরকার আগে একটি জুট মিলে চাকরি করতেন। আর অভিযুক্ত ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র সরকার স্টাফ কোয়ার্টার এরাকায় মোটর মেকানিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় বাড়িটিতে বাবা-ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিলে না। নিহত উমেশ চন্দ্রের স্ত্রী গিতা রানীও মেয়ের বাসায় ছিলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, সকালের ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে উমেশ সরকার নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে তারা বলে তিনি পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যান। এরপর ইসিজি করতে গিয়ে দেখা যায় তার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রথমে তার আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি স্বীকার না করলেও পরে জানান তার ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি আহত হন। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে মরদেহটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ভুলে করাচির বদলে সৌদি আরবে পৌঁছে গেলেন পাকিস্তানি যাত্রী

রাজধানীতে ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা খুন

প্রকাশের সময় : ০৩:০৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

রাজধানীর ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় নিজ বাসায় ছেলে বিষ্ণু সরকারের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন বাবা উমেশ সরকার (৬৫)।

সোমবার (২৭ মে) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উমেশ সরকারের নাতি আকাশ সরকার জানান, আমার বাবা দাদার উপরে নির্যাতন করতেন। বাবা দুই বিয়ে করেছেন। আরেকটি বিয়ে করার জন্য দাদাকে চাপ দেন। এ নিয়ে দাদা আমার বাবাকে বকাঝকা করলে বাবা উত্তেজিত হয়ে দাদাকে ছুরিকাঘাত করেন। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, আমার মামা বিষ্ণু মাদকাসক্ত। পরিবারের কাউকেই সে সহ্য করতে পারতো না। বোনদেরকেও তাদের বাড়িতে যেতে নিষেধ করতো। এ ঘটনার পর থেকে বিষ্ণু পলাতক। ১ ছেলে ও ৩ মেয়ের জনক উমেশ চন্দ্র সরকার আগে একটি জুট মিলে চাকরি করতেন। আর অভিযুক্ত ছেলে বিষ্ণু চন্দ্র সরকার স্টাফ কোয়ার্টার এরাকায় মোটর মেকানিকের কাজ করেন। ঘটনার সময় বাড়িটিতে বাবা-ছেলে ছাড়া আর কেউ ছিলে না। নিহত উমেশ চন্দ্রের স্ত্রী গিতা রানীও মেয়ের বাসায় ছিলেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, সকালের ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে উমেশ সরকার নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। প্রথমে তারা বলে তিনি পড়ে গিয়ে অচেতন হয়ে যান। এরপর ইসিজি করতে গিয়ে দেখা যায় তার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রথমে তার আত্মীয়-স্বজন বিষয়টি স্বীকার না করলেও পরে জানান তার ছেলের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তিনি আহত হন। পরে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে মরদেহটি হাসপাতালে জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ডেমরা থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।