চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গায় বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তৌহিদুল ইসলাম জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিএনপির এসব নেতাকর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন।
জামিন না পাওয়া নেতাকর্মীর মধ্যে রয়েছেন জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মোকাররম হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু, সহসাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক সাঈদ বিশ্বাস। এ ছাড়া নতিপোতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান বাচ্চু, সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মিল্টন, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আরিফুল ইসলাম আরিফ, যুবদল নেতা আবদুর রাজ্জাক এবং বিএনপি কর্মী হাতেম ও রফিকের জামিন নামঞ্জুর হয়েছে।
আদালত থেকে জানা গেছে, দামুড়হুদা মডেল থানায় নাশকতা মামলার আসামি বিএনপির এসব নেতাকর্মী।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর ভোরে দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা মোড়ে যাত্রী ছাউনির পাশের মাঠে বেশ কয়েকজন মিলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়ার জন্য জড়ো হন। তাদের কাছে ছিল বোমা। তারা সরকারি সম্পদ নষ্ট করতে সেখানে অবস্থান করছিলেন। খবর পেয়ে দামুড়হুদা থানা পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে বোমা সদৃশ বস্তু, বিস্ফোরিত বোমা ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।
পরে দামুড়হুদা মডেল থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান বাদী হয়ে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত এ ১৩ জন উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন।
গত ২৭ মার্চ জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। এজন্য মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে, বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।