Dhaka মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

জিম্মিদশা থেকে মুক্তির একমাস পর স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছে এমভি জাহান মনি-৩। এরপর তাদেরকে বরণ করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় নাবিকদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি জেটিতে পৌঁছায়।

এসময় নাবিকদের স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম সোহায়েল। নাবিকদের স্বাগত জানাতে ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

এই নাবিকরা ইতোমধ্যে স্বজনদের সাথে কথাও বলেছেন। দীর্ঘ দিন পর কাছে পেয়ে এই নাবিকদের অনেক স্বজন কেঁদে ফেলেন। নাবিকদের বরণ করতে ফুল হাতে জেটিতে এসেছিলেন স্বজনরা।

বন্দরে পৌঁছার পর সেখানে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান নাবিকরা। সেখানে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজদের বাড়ির উদ্দেশ্যে নাবিকদের রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে নাবিকদের নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়ে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়।

এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। সেই হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছায়।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক

জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের চ্যাম্পিয়ন একটি রাজনৈতিক দল : রিজভী

স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি : 

জিম্মিদশা থেকে মুক্তির একমাস পর স্বজনদের কাছে ফিরলেন এমভি আব্দুল্লাহ ২৩ নাবিক। জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিককে নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এসে পৌঁছেছে এমভি জাহান মনি-৩। এরপর তাদেরকে বরণ করে নেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় নাবিকদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি জেটিতে পৌঁছায়।

এসময় নাবিকদের স্বাগত ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান এম সোহায়েল। নাবিকদের স্বাগত জানাতে ঢাকা থেকে অনলাইনে যুক্ত হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

এই নাবিকরা ইতোমধ্যে স্বজনদের সাথে কথাও বলেছেন। দীর্ঘ দিন পর কাছে পেয়ে এই নাবিকদের অনেক স্বজন কেঁদে ফেলেন। নাবিকদের বরণ করতে ফুল হাতে জেটিতে এসেছিলেন স্বজনরা।

বন্দরে পৌঁছার পর সেখানে উপস্থিত সকলের প্রতি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান নাবিকরা। সেখানে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজদের বাড়ির উদ্দেশ্যে নাবিকদের রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি জাহান মনি-৩। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে নাবিকদের নিয়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কুতুবদিয়া বহির্নোঙরে ভিড়ে। সেখানে চলছে চুনাপাথর খালাস কার্যক্রম।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়।

এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। সেই হিসেবে আমিরাত থেকে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছায়।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক

জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।