Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীতে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মচ্চ নদীর অলিরঘাট পারাপারে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। নড়বড়ে এই সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারও মানুষ।

সম্প্রতি ওই স্থানে দেখা গেছে- চলাচলরত মানুষদের ভোন্তির দৃশ্য। এই সাঁকোতে উঠলে অনেকের ভয়ে কাঁপে বুক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরানো গনকপাড়া গ্রাম সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলিরঘাট। নদীর ঘাট থেকে ঘাটের কিনারা অনেক উচু হওয়ায় নদী পারাপারে রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পারাপারে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকেনা। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

অলিরঘাট হতে ঘাট পেড়িয়ে পাশ্ববর্তী ঘোড়াঘাটের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার, যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিঃমিঃ এর স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এই ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাটবাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের।

ভুক্তভোগীরা জানায়, নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। এখানে প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি সেতু নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

স্থানীয় বাসিন্দা আলম জানান, আশপাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বাণিজ্য ও হাট-বাজার করে। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ি, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।

স্থানীয় কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনা স্থল খতিয়ে দেখে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

 

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

পলাশবাড়ীতে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো

প্রকাশের সময় : ০৪:০৬:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের সীমানা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া মচ্চ নদীর অলিরঘাট পারাপারে ৫ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। নড়বড়ে এই সাঁকোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাজারও মানুষ।

সম্প্রতি ওই স্থানে দেখা গেছে- চলাচলরত মানুষদের ভোন্তির দৃশ্য। এই সাঁকোতে উঠলে অনেকের ভয়ে কাঁপে বুক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৪০ বছরের পুরানো গনকপাড়া গ্রাম সীমানা সংলগ্ন মচ্চ নদীর অলিরঘাট। নদীর ঘাট থেকে ঘাটের কিনারা অনেক উচু হওয়ায় নদী পারাপারে রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এ কারণে পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের গনকপাড়া, জাফর, মুংলিশপুর, পালপাড়া, শীলপাড়া, জাইতরসহ বিভিন্ন পেশা-শ্রেণির মানুষ এপার থেকে ওপারে চলাচলের জন্য তাদের শুকনো মৌসুমে বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া পারাপারে ভোগান্তির যেন শেষ নেই।

নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার ব্যবস্থাও থাকেনা। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন আরো বেড়ে যায়। প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, এনজিওকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

অলিরঘাট হতে ঘাট পেড়িয়ে পাশ্ববর্তী ঘোড়াঘাটের দুরুত্ব ২ কিলোমিটার, যাতায়াতের বিকল্প রাস্তা ব্যবহারে ২ কিঃমিঃ এর স্থলে পথচারীদের ঘুরতে হয় অন্তত ৮ কিলোমিটার রাস্তা। তাই এ ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, কৃষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হয়। পথচারীরা এই ঘাট পার হয়ে বৃহত্তর হাটবাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে একটি ব্রীজ নির্মাণের।

ভুক্তভোগীরা জানায়, নদীর পানি শুকিয়ে গেলে চলাচলের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয় এবং নদীতে পানি বেড়ে গেলে পারাপারের জন্য নৌকার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। তখন সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। এখানে প্রতিদিন যাতায়াত করা স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চলাচল করে থাকেন এই অলিরঘাট দিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও আজও একটি সেতু নির্মাণ হয়নি। এ ভোগান্তি যেন পথচারীদের নিত্যদিনের সঙ্গী।

স্থানীয় বাসিন্দা আলম জানান, আশপাশের গ্রামের মানুষও এই ঘাট দিয়ে পার হয়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ পার্শ্ববর্তী ঘোড়াঘাট ব্যবসা বাণিজ্য ও হাট-বাজার করে। তারা অন্য ঘাট দিয়ে পার হয়ে গিয়ে দুপুরে বাড়িতে যখন আসে তখন নদীর ওই পারে গাড়ি, সাইকেল রেখে আসতে হয়। শুকনা মৌসুম বাঁশের সাঁকো আর বর্ষা মৌসুমে পারাপারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় অনেক সমস্যা পোহাতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণ খুব দরকার।

স্থানীয় কিশোরগাড়ী ইউপি সদস্য আলমগীর জানান, এই এলাকার মানুষের পারাপারে জন্য একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলে সবার অনেক উপকার হবে। তখন আর কারো সমস্যায় পড়তে হবে না। মানুষের যাওয়া আসা অনেক সহজ হবে।

এ বিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনা স্থল খতিয়ে দেখে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।