আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অন্য কর্মীদের সঙ্গে মিলে ‘অসুস্থতাজনিত ছুটি’ নেয়ায় ৩০ জন কেবিন ক্রু’কে ছাঁটাই করেছে ভারতীয় বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস। ছাঁটাইয়ের তালিকায় আরও নাম যোগ হতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গণছুটি নেয়ার অপরাধে একসঙ্গে বহু সিনিয়র কেবিন ক্রু-কে বরখাস্ত করল ভারতের বৃহত্তম বিমান সংস্থা। ওই কর্মীদের ইমেল মারফত জানিয়ে দেয়া হয়েছে গণহারে ছুটি নিয়ে তারা দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। তাছাড়া এভাবে বিনা নোটিসে ছুটি নেয়াটা কোম্পানির নিয়মের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কর্তৃপক্ষ সংস্থাটির সব কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বৈঠক থেকে একসঙ্গে এতজন সিনিয়র কেবিন ক্রু’র ছুটি নেয়ার কারণ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আসলে টাটা গ্রুপের হাতে যাওয়ার পর থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ায় চরম অব্যবস্থা চলছে। যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে কার্যত অঘোষিত ধর্মঘটে এয়ার ইন্ডিয়ার সিনিয়র কেবিন ক্রু’রা। বুধবার ৩০০ জন সিনিয়র কেবিন ক্রু একেবারে শেষ মুহূর্তে জানান, তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় তাদের মোবাইল ফোনও। চেষ্টা করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। যারা জেরে বুধবার এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের শতাধিক আন্তর্জাতিক এবং অন্তর্দেশীয় ফ্লাইট বাতিল করে দিতে হয়।
কেন একসঙ্গে এত কর্মী ছুটিতে? আসলে টাটা গোষ্ঠীর সংস্থাটিতে নতুন যে চাকরির শর্ত দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেছেন কর্মীরা। মনে করা হচ্ছে, এদিনের ‘গণ অসুস্থতা’র পিছনেও সেটাই কারণ। গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস কেবিন ক্রুদের একটি অংশের প্রতিনিধিত্বকারী এক ইউনিয়ন অভিযোগ করে, বিমান সংস্থাটিতে চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে। এবং কর্মীদের সঙ্গে আচরণেও সমতার অভাব রয়েছে। এর পরই গণছুটি নেন কর্মীরা। এমনকী শ্রমিক কমিশনও এ নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়াকে নোটিস দেয়।
তবে কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের অসুবিধা নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি। উলটে বিক্ষোভ দমন করতে প্রতিবাদী শ্রমিকদের গণহারে ছাঁটাই করা শুরু করল টাটা গোষ্ঠীর সংস্থা।