Dhaka বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে কারসাজি হবে না : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর বারিধারায় দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। এক কোটি পরিবার প্রায় ৪-৫ কোটি লোক, এই তালিকাটা একটু সংশোধন করা দরকার। কারণ প্রত্যেক জায়গায় কিছু লোক মারা গেছেন, কিছু লোক স্থান পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলব আপনারা তালিকা সংশোধন করে যারা পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে রাখবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সবাই যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন ডলার সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৩ লাখ টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন ভোটের পরেই রমজান আসছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার চিন্তা করার দরকার নেই। যথেষ্ট খাদ্যপণ্য আছে। কিন্তু এটার ব্যবস্থাপনা যেন সুষ্ঠু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ যেন নিশ্চিত থাকে তার জন্য কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সময় জুলাই থেকে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এলাকাভিত্তিক দোকান স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যেখানে যে কয়টা দোকান প্রয়োজন সে অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের সহযেগিতায় স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য প্রদানের চেষ্টা করবো। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তা ১ জুলাই থেকে শুরু করবো।

পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজে আমাদের ঘাটতি নেই। আমরা পেঁয়াজ লোকালি কিনে দিতে চাই না। যেহেতু সব জায়গায় পেঁয়াজ যথেষ্ট পরিমাণের আছে তাই টিসিবির মাধ্যমে দিচ্ছি না। আগে আমরা বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য এই টিসিবির পণ্য বিদেশ থেকে এনে দিয়েছিলাম।

রমজান মাসে স্থায়ী দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য পাওয়া যাবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এক কোটি পরিবারকে আমরা ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দিচ্ছি। দোকানগুলো হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সবার সঙ্গে পরামর্শক্রমে ন্যায্য মূল্যে দেয়া হবে। ন্যায্যমূল্যে দেয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিব।

মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ কি নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা কারণে সারা পৃথিবীতেই এখন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে। এই জিনিসটার জন্য আমাদের অন্য মন্ত্রণালয় আছে। আমরা আশা করবো আগামী বাজেটে এটার রিফ্লেকশন দেখতে পাবেন। মূল্যস্ফীতি কমানোটা আমাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না। আমাদের দায়িত্ব বাজারে পণ্য সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা। আমরা সেটারই চেষ্টা করছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দীন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাসিবা বারী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, টিসিবির নবাগত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নেপালে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে কারসাজি হবে না : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০১:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

পণ্যের সরবরাহ ঠিক থাকলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর বারিধারায় দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে পারলে কেউ কারসাজি করতে পারবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। এক কোটি পরিবার প্রায় ৪-৫ কোটি লোক, এই তালিকাটা একটু সংশোধন করা দরকার। কারণ প্রত্যেক জায়গায় কিছু লোক মারা গেছেন, কিছু লোক স্থান পরিবর্তন করে অন্য জায়গায় চলে গেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বলব আপনারা তালিকা সংশোধন করে যারা পাওয়ারযোগ্য তাদেরকে রাখবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার ক্ষমতায় ছিল। বিশেষ করে সামরিক সরকার ক্ষমতায় থেকে টিসিবিকে একেবারে ভঙ্গুর অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিল। সেই টিসিবিকে আবার ঘুরে দাঁড় করাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু ভর্তুকি দিয়ে নয়, প্রতিটি জিনিস যেন ন্যায্যমূল্যে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারি সেজন্য টিসিবি কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, সবাই যখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিল, তখন ডলার সংকটের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে ১৩ লাখ টন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করে দিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন ভোটের পরেই রমজান আসছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার চিন্তা করার দরকার নেই। যথেষ্ট খাদ্যপণ্য আছে। কিন্তু এটার ব্যবস্থাপনা যেন সুষ্ঠু হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ যেন নিশ্চিত থাকে তার জন্য কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এ সময় জুলাই থেকে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এলাকাভিত্তিক দোকান স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, যেখানে যে কয়টা দোকান প্রয়োজন সে অনুযায়ী জনপ্রতিনিধিদের সহযেগিতায় স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবি পণ্য প্রদানের চেষ্টা করবো। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে তা ১ জুলাই থেকে শুরু করবো।

পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি প্রসঙ্গে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজে আমাদের ঘাটতি নেই। আমরা পেঁয়াজ লোকালি কিনে দিতে চাই না। যেহেতু সব জায়গায় পেঁয়াজ যথেষ্ট পরিমাণের আছে তাই টিসিবির মাধ্যমে দিচ্ছি না। আগে আমরা বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর জন্য এই টিসিবির পণ্য বিদেশ থেকে এনে দিয়েছিলাম।

রমজান মাসে স্থায়ী দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য পাওয়া যাবে কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, এক কোটি পরিবারকে আমরা ভর্তুকি মূল্যে পণ্য দিচ্ছি। দোকানগুলো হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সবার সঙ্গে পরামর্শক্রমে ন্যায্য মূল্যে দেয়া হবে। ন্যায্যমূল্যে দেয়ার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিব।

মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ কি নিচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা বাজারে পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ নানা কারণে সারা পৃথিবীতেই এখন মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে। এই জিনিসটার জন্য আমাদের অন্য মন্ত্রণালয় আছে। আমরা আশা করবো আগামী বাজেটে এটার রিফ্লেকশন দেখতে পাবেন। মূল্যস্ফীতি কমানোটা আমাদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব না। আমাদের দায়িত্ব বাজারে পণ্য সরবরাহ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা। আমরা সেটারই চেষ্টা করছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা-১১ আসনের সংসদ সদস্য ওয়াকিল উদ্দীন আহমেদ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাসিবা বারী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, টিসিবি চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, টিসিবির নবাগত চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।